নিজস্ব সংবাদদাতা, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে স্কুল ছাত্রীকে অপহরনের পর গণধর্ষন করা হয়েছে। শনিবার রাতে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে ওই স্কুল ছাত্রী গণধর্ষনের শিকার হয়।
পুলিশ ও ধর্ষিতার পরিবার জানায়, ওইদিন সন্ধ্যায় উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে মা আসমা খাতুনের সাথে ইনসাফনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেনীর ছাত্রী গোপালপুর গ্রামে নানা ফরজ মোল্লার বাড়িতে যাচ্ছিল। পথের মধ্যে গোপালপুর গ্রামের নাহারুল ইসলামের লম্পট ছেলে শাহীন (২৫), মৃত আবুল মন্ডলের ছেলে শিপন (২৩) ও শহিদুল ইসলামের ছেলে সুজন (২৪) তাদের গতিরোধ করে এবং মা আসমা খাতুনকে মারপিট করে তার মেয়েকে অস্ত্রের মুখে অপহরন করে। পরে তারা পার্শ্ববতী মাঠে নাসিরের বাগানে নিয়ে পালাক্রমে গণধর্ষন করে। এসময় ধর্ষিতা জ্ঞান হারালে ধর্ষকরা তাকে ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। স্কুল ছাত্রীকে অপহরনের খবরে তার নানার বাড়ির লোকজন রাতে মাঠের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে সন্ধান চালিয়ে নাসিরের বাগান থেকে রাত ৮টার দিকে ধর্ষিতাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে দৌলতপুর হাসপাতালে নেয়। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা আসমা খাতুন বাদী হয়ে রবিবার দুপুরে দৌলতপুর থানায় ধর্ষন মামলা দায়ের করেছে যার নং ২৮।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি মোল্লা মো. খবির উদ্দিন জানান, স্কুল ছাত্রী ধর্ষনের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষিতাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়ায় প্রেরন করা হয়েছে। তবে ধর্ষকদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
