ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পানি সঙ্কটে সিরিয়ার ২০ লাখ নাগরিক

প্রকাশিত: ১৯:৩০, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬

পানি সঙ্কটে সিরিয়ার ২০ লাখ নাগরিক

অনলাইন ডেস্ক ॥ ত্রাণের আশা প্রায় নেই বললেই চলে। আলেপ্পোয় বন্ধ হয়ে গেল পানির জোগানটুকুও । আলেপ্পো এখনও বিদ্রোহীদের দখলে রয়েছে। বিদ্রোহীদের দখলে থাকা এই শহরের অন্তত ২০ লক্ষ মানুষ পানির অভাবে ধুকে ধুকে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আর পানির অভাবে জলবাহিত রোগের সম্ভাবনও বাড়ছে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে। আন্তর্জাতিক কূটনীতিক মহলের একটা বড় অংশেরই আশঙ্কা দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতি ছাড়া সিরিয়াকে কোনও ভাবেই বাঁচানো সম্ভব নয় বলে। শহরের সব চেয়ে বড় পাম্পিং স্টেশন বাব আল-নয়রাব। সেখানে মেরামতির কাজ চলছিল । বৃহস্পতিবার লাগাতার বোমাবর্ষণে ফলে সেটির বর্তমান অবস্থা খুবই খারাপ। পাশেই অবশ্য সুলেমান আল-হালাবি পাম্পিং স্টেশন। কিন্তু সেটিও এখন বন্ধ। মূলত সরকার-বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে কোণঠাসা করতে সেটিও বন্ধ বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। স্থানীয়দের দাবি, শহরের সবাই এখন কূপের পানি খাচ্ছে। এমনকি শিশুরাও আজকাল কূপের পানিই খাচ্ছে। অথচ সেই পানি কোনও ভাবেই নিরাপদ নয়। প্রতিদিনের বোমা বিস্ফোরণে ক্রমশ দূষণ বাড়ছে সেখানে। যার ফলে সিরিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউনিসেফ কর্তা হালা সিঙ্গার অনেক বেশি চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘এই অবস্থায় বিকল পাম্পিং স্টেশনের মেরামতি করতেই হবে। একই সঙ্গে সুলেমান আল-হালাবি পাম্পিং স্টেশনটিও চালু করতে হবে।’’ আকাশ জুড়ে যুদ্ধবিমানের প্রতিনিয়ত আনাগোনাতে অবশ্য নিজেরাও তেমন ভরসা পাচ্ছেন না। এদিকে কূটনৈতিক স্তরে এর সমাধান পেতে রাশিয়া আবার আমেরিকাকেই পাশে চাইছে। রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লেভেরভ গত কাল এক সাধারণ সভায় বলেন, ‘‘সিরিয়াকে বাঁচাতে এই মুহূর্তে আমাদের একজোট হওয়া ছাড়া আর কোনও বিকল্প পথ খোলা নেই।’’ তবে বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় আমেরিকার উপরেই যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যাওয়ার দায় চাপিয়েছেন তিনি। যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে ঠিক হয়েছিল, ইসলামিক স্টেট এবং আল-নুসরা জঙ্গিদের দমনে একটি যৌথ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করবে ওয়াশিংটন ও মস্কো। সিরিয়ার সরকার-বিরোধী গোষ্ঠীদের নির্দিষ্ট কয়েকটি ঘাঁটিতে সামরিক অভিযান বন্ধেও সম্মত হয়েছিল দুই দেশ। কিন্তু আমেরিকা সেই শর্ত মানেনি বলে অভিযোগ করে রাশিয়া। রাশিয়াকে পাল্টা দোষারোপ করে গিয়েছে। ওয়াশিংটনও গৃহযুদ্ধের পাশাপাশি, এখন এই যুদ্ধেরও শেষ দেখতে চাইছে সিরিয়া।
×