অনলাইন ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের বার্লিংটন শহরে একটি বিপণি বিতানে গুলিবর্ষণ করে পাঁচজনকে হত্যার ঘটনায় পলাতক সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঘটনার একদিন পর শনিবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাকে ওক হারবারের বাসিন্দা আরকান সেটিন (২০) বলে শনাক্ত করেছে পুলিশ।
সেটিনকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্য টহল পুলিশের মুখপাত্র কেইথ লিয়েরি। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেননি তিনি।
সিয়াটলের টেলিভিশন স্টেশন কেওএমও ট্যুইটারে দেওয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বার্লিংটন থেকে ৪৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ওক হারবার এলাকা থেকে সন্দেহভাজন গুলিবর্ষণকারীকে (সেটিন) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সিয়াটলের টেলিভিশন স্টেশন কেওএমও ট্যুইটারে দেওয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বার্লিংটন থেকে ৪৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ওক হারবার এলাকা থেকে সন্দেহভাজন গুলিবর্ষণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্য পুলিশের কর্মকর্তারা ট্যুইটারে দেওয়া এক বার্তায় জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরতে কর্তৃপক্ষ একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করবে।
ঘটনার রাতে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে গুলিবর্ষণকারী বিপণি বিতানটি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বার্লিংটনের ক্যাসকেড মলে গুলিবর্ষণে চার নারী ও এক পুরুষকে হত্যার জন্য গ্রেপ্তাকৃত সন্দেহভাজনই দায়ি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্য টহল পুলিশের মুখপাত্র সার্জেন্ট মার্ক ফ্রান্সিস জানিয়েছিলেন, মলের ম্যাকি’র স্টোর নামে একটি দোকানে ঢুকে হামলাকারী চার নারীকে গুলি করে হত্যা করে। গুরুতর আহত অপর একজন (পুরুষ) পরে হাসপাতালে মারা যান।
পুলিশ সন্দেহভাজন বন্দুকধারীর ছবি প্রকাশ করেছিল। ওই ব্যক্তিকে একটি রাইফেল হাতে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে দেখা যায়।
তবে বিপণি বিতানে হেঁটে প্রবেশ করার সময় তার হাতে কোনো রাইফেল দেখা যায়নি, কিন্তু পরে গোয়েন্দা ক্যামেরায় তাকে রাইফেলসহ দেখা যায় বলে শনিবার জানিয়েছেন মাউন্ট ভেরনন পুলিশ বিভাগের লেফটেন্যান্ট ক্রিস ক্যামোক।
পুলিশ আসার আগেই গুলিবর্ষণকারী ঘটনাস্থল থেকে সরে পড়ে। গুলিবর্ষণকারী একজনই ছিল বলে পুলিশের ধারণা।
বার্লিংটন ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের (রাজধানী ওয়শিংটন নয়) প্রধান শহর সিয়াটল থেকে প্রায় ৬৫ মাইল উত্তরে।
সন্দেহভাজন বন্দুকধারীকে ধরতে শুক্রবার সারারাত ধরে অভিযানের পর শনিবারও বার্লিংটনের ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
ক্যাসকেড মল ও আশেপাশের দোকানগুলো খালি করে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ সাধারণ জনগণকে নিজ বাড়িতে দরজা বন্ধ করে থাকতে এবং ঘটনাস্থল থেকে দূরে অবস্থানের পরামর্শ দিয়েছিল।
কী কারণে হামলা হয়েছে তা শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পরিষ্কার হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের অপর এক বিপণি বিতানে এক ব্যক্তির ছুরিকাঘাতে নয়জন আহত হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই বার্লিংটনের এ ঘটনা ঘটল। মিনেসোটার ঘটনায় হামলাকারী পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনাকে সন্ত্রাসী তৎপরতা ধরে নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এফবিআই।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: