ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রূপগঞ্জে কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গৃহবধূকে নির্যাতন

প্রকাশিত: ০৬:০১, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬

রূপগঞ্জে কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গৃহবধূকে নির্যাতন

নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ ২৪ সেপ্টেম্বর ॥ কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ইউপি সদস্যসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রকাশ্যে এক গৃহবধূসহ তার স্বামীকে জুতা ও লাঠিপেটা করেছে। এ সময় গৃহবধূর ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুটের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদ করায় গৃহবধূকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। শনিবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মধুখালী এলাকায় ঘটে এ ঘটনা। নির্যাতিতরা জানান, গুতিয়াবো এলাকার শাহিনুর মিয়ার মেয়ে সানজিদা ইয়াছমিনের সঙ্গে কাঞ্চন এলাকার ইব্রাহীম মোল্লার ছেলে আব্দুল্লাহ মোল্লার বিয়ে হয়। গুতিয়াবো এলাকার ইউপি সদস্য মোরশেদ কয়েক মাস ধরে সানজিদা ইয়াছমিনকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। কুপ্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় দীর্ঘদিন ধরে ওই গৃহবধূকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। ৬ দিন আগে বাবার বাড়ি গুতিয়াবোতে বেড়াতে আসেন সানজিদা ইয়াছমিনসহ তার স্বামী আব্দুল্লাহ মোল্লা। শনিবার বিকেলে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা যোগে সানজিদার দাদার বাড়ি মধুখালী এলাকায় যাচ্ছিলেন স্বামী-স্ত্রী। মধুখালী এলাকায় পৌঁছাবামাত্র ইউপি সদস্য মোরশেদ, সহযোগী পারভেজসহ ১৫/২০ জনের একদল সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সানজিদা ইয়াছমিন ও তার স্বামী আব্দুল্লাহ মোল্লার গতিরোধ করে। একপর্যায়ে তাদের জুতা ও লাঠিপেটা করে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হুমকি-ধমকি দেয়া হয়। ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করেনি। একপর্যায়ে সানজিদা ও আব্দুল্লাহ মোল্লাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এ সময় সানজিদার স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয়। তারা মধুখালী এলাকার দাদার বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। সেখানে দাদা আবুল হোসেনকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেন সানজিদা ইয়াছমিন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মোরশেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মন্তব্য না করে তার স্ত্রী আলেমা বেগম রিতুর সঙ্গে কথা বলতে বলেন। আলেমা বেগম রিতু বলেন, আমার স্বামী মোরশেদকে মোবাইল ফোনে কুপ্রস্তাব দেয় সানজিদা ইয়াছমিন। এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে গেলে উল্টো আমাদের ওপর হামলা চালায় তারা। গোপন বৈঠক ॥ শিবির কর্মীসহ আটক ৬৬ স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ নগর ও পবা থানা পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের পাঁচ নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন অপরাধে ৬৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে পবা উপজেলার বড়গাছি পশ্চিমপাড়ার এক মসজিদে গোপন বৈঠক করার সময় শিবিরের পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে জিহাদী বইপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া নগর পুলিশ শুক্রবার রাতভর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬১ জনকে গ্রেফতার করে। বড় ধরনের নাশকতা ঘটানোর জন্য তারা সেখানে গোপন বৈঠক করছিল বলে ওসি জানান।
×