ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে বৃদ্ধকে গাছে বেঁধে নির্যাতন

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬

বরিশালে বৃদ্ধকে গাছে বেঁধে নির্যাতন

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ মেয়ে জামাইয়ের কাছে পাওনা টাকার জন্য বৃদ্ধ শ্বশুরকে গাছের সঙ্গে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে। মুমূর্ষ অবস্থায় আহতকে শুক্রবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাটি জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার জবসেন গ্রামের। জানা গেছে, ওই গ্রামের হাবিব সিকদারের মেয়ে জামাই বরগুনা জেলার আমতলী এলাকার হারুন-অর-রশিদ জবসেন এলাকার ৭-৮ যুবককে বিদেশে পাঠানোর জন্য প্রায় দশ লাখ টাকা হাতিয়ে আত্মগোপন করে। এ ঘটনা নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে জবসেন ক্লাবে সালিশ বৈঠক বসে। বৈঠকে পাওনাদারসহ স্থানীয় কয়েকজন হাবিব সিকদারের কাছ থেকে জোরপূর্বক সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর আদায়ের চেষ্টা করে। তিনি স্বাক্ষর না দিয়ে মেয়ে জামাইকে তিনদিনের মধ্যে হাজির করার মুচলেকা দেন। হাসপাতালে শয্যাশায়ী হাবিব সিকদার অভিযোগ করেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি মসজিদ থেকে নামাজ আদায় করে বাড়ি ফেরার সময় একই এলাকার হালিম পাইক, পলাশ পাইক, লোকমান সিকদার ও মাসুম সিকদার জোরপূর্বক তাকে আম গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন করে। তাকে সাবেক ইউপি সদস্য সরোয়ার সিকদারের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পরও পাওনাদার মনু সিকদার লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ফেলে রাখে। তিনি আরও জানান, হামলাকারীদের বাধা দিতে গিয়ে ইউপি সদস্য সরোয়ার সিকদারের স্ত্রী মুকুল বেগম ও তার ছোট ভাই ফজলু সিকদারও আহত হয়। রাতেই স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। রূপগঞ্জে কিশোর ও গৃহবধূকে নিজস্ব সংবাদদাতা রূপগঞ্জ থেকে জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হৃদয় ও রাব্বি দুই কিশোরকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে নির্যাতন করেছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার খাদুন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হৃদয়ের বাবা খোকন জানান, খাদুন এলাকার জাহাঙ্গীর মিয়ার সঙ্গে খোকন মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ। শনিবার দুপুরে হৃদয় ও তার বন্ধু রাব্বি আনোয়ার মিয়ার জমিতে খেলতে যায়। এ সময়ে প্রতিপক্ষ জাহাঙ্গীর মিয়া, মানজারুল, মুন্না, ফজলুল হক, রমজান দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হৃদয় ও রাব্বিকে এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে আহত করে। একপর্যায় জাহাঙ্গীর ও তার লোকজন হৃদয় ও রাব্বিকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে নির্যাতন করে। আহতদের চিৎকারে মালু মিয়া বাঁচাতে এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাকেও পিটিয়ে আহত করে। তবে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন। এদিকে মাদক সেবনের টাকা না পেয়ে মাদকাসক্ত স্বামী সেলিনা আক্তার বিলকিছ নামে গৃহবধূর ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। শনিবার দুপুরে তারাব পৌরসভার বরপা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গৃহবধূ সেলিনা আক্তার জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ থানার মালিচর এলাকার আব্দুর ছামাদ মিয়ার মেয়ে। গৃহবধূর ভাই বেলাল হোসেন জানান, ৬ বছর আগে টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর থানার জলছত্র এলাকার সামিউল ইসলাম চানুর ছেলে রিপন সরকারের সঙ্গে সেলিনা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা রূপগঞ্জ উপজেলার বরপা এলাকার আলমগীর মিয়ার বাসায় ভাড়া থাকে। সাভারে স্কুলছাত্র নিজস্ব সংবাদদাতা সাভার থেকে জানান, ইব্রাহিম খলিল (১২) নামের ৭ম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দিয়েছে তিন শিক্ষক। ইব্রাহীম সাভার পৌর এলাকার ছায়াবীথি মহল্লার মুদি দোকানদার বজলুর রহমানের ছেলে। শনিবার দুপুরে পৌর এলাকার ব্যাংক কলোনি মহল্লায় অবস্থিত টাঙ্গাইল থেকে পরিচালিত ‘শহীদ ক্যাডেট একাডেমি’ সাভার শাখায় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে দুপুরে স্কুল ভবনের নিচে আবাসিক শিক্ষার্থী ইব্রাহিম তার সহপাঠী অনাবাসিক শিক্ষার্থী সালমানকে পিটুনি দেয়। পরে সালমান বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানালে স্কুলের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম স্কুল ভবনে দুপুরে ডেকে নিয়ে ইব্রাহীমকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এতে ইব্রাহীমের বাম পা ভেঙ্গে যায়। মারধরে অধ্যক্ষকে সহযোগিতা করে স্কুলের সহকারী শিক্ষক শহিদুল ও রায়হান। বেধড়ক মারধরের ফলে বিকেলে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে অন্য শিক্ষার্থীরা ইব্রাহীমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনার পর থেকে স্কুলের অধ্যক্ষ ও দুই শিক্ষক পলাতক রয়েছে। ইব্রাহীমের অভিভাবকদের অভিযোগ, এ ব্যাপারে তাদের কিছুই জানানো হয়নি। দুই শিক্ষক ইব্রাহীমের হা ও পা ধরে রাখে এবং অধ্যক্ষ বেধড়ক পিটুনি দেয়।
×