ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বেড়ায় চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের ভরসা শিক্ষাতরী

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬

বেড়ায় চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের ভরসা শিক্ষাতরী

সংবাদদাতা, বেড়া, পাবনা, ২৪ সেপ্টেম্বর ॥ বেড়া উপজেলার চরাঞ্চলের পানিবন্দী এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে শিক্ষাতরী (ভাসমান নৌ-বিদ্যালয়)। এতে উপজেলায় ৫টি নৌ-বিদ্যালয় স্কুলের প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থী শিক্ষা লাভের সুযোগ পাচ্ছে। প্রত্যন্ত জনপদের হতদরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত, ঝরে পড়া ও পানিবন্দী শিশুরা ১ম শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত বিনামূল্যে শিক্ষা লাভ করতে পারছে। ভ্রাম্যমাণ এসব বিদ্যালয় পরিচালনা করছে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক। আগামীতে বেড়ার চরাঞ্চল এলাকায় আরও বেশি শিশুকে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান সংস্থার এক কর্মকর্তা। সিংহাসন গ্রামের ফেরদৌস আলম তপন জানান, যমুনার তীরবর্তী বেড়ার প্রত্যন্ত ও জলমগ্ন এলাকার শিক্ষার্থীদের বলতে গেলে বিদ্যালয়ে যেতে হয় না। শিক্ষাতরীই তাদের কাছে প্রতিদিন চলে আসে। উপজেলার বসন্তপুর, সিংহাসন, বক্তারপুর ও হাটুরিয়া-নাকালিয়ায় যমুনা নদীর ঘাটে ঘাটে নোঙ্গর করা রয়েছে এ নৌ-বিদ্যালয়। সম্প্রতি পুরানভারেঙ্গা ইউনিয়নের বক্তারপুর ও বসন্তপুর গ্রামে ব্র্যাকের নৌ-বিদ্যালয় সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, বিশেষভাবে তৈরি নৌকার পুরোটাজুড়েই শ্রেণীকক্ষ। ৩০ শিক্ষার্থী সে শ্রেণীকক্ষে বেশ ভালভাবেই বসে পড়ালেখা করছে। নৌকা বিদ্যালয় দুটিতে ৩০ জনের প্রতিটি ব্যাচের শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল শতভাগ। শিশুশিক্ষার্থী রাইসুল বলে, বই-খাতা-কলম সবই আমাদের বিনামূল্যে দেয়া হয় এবং বাড়ির ওপর থেকে নিয়ে আসা হয়; তাই এই বিদ্যালয়ে পড়তে আমাদের কোন খরচই লাগে না। শিক্ষার্থীরা আরও বলে, বর্ষাকালে আমাদের এলাকার প্রায় বিদ্যালয়েই পানি উঠে বন্ধ হয়ে যায়। শুধু নৌকা বিদ্যালয় বন্ধ হয় না। বোরামারা এলাকার নৌ-বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা আসমা খাতুন বলেন, নৌ-বিদ্যালয়ে একটি টয়লেট আছে। আছে একটি বিশুদ্ধ পানির ট্যাপ। তরীতে ১০টি জানালা আছে। তাই স্বাভাবিকভাবে আলো-বাতাস চলাচল করতে পারে। শ্রীপুরে ব্যবসায়ীদের আন্দোলন স্থগিত স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ শ্রীপুরের বন্দর নগরী বরমী বাজারের তিন ব্যবসায়ীর মুক্তিসহ পুলিশের দায়ের দুটি মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো দোকানপাট বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করেছে ব্যবসায়ীরা। একপর্যায়ে দুপুর হতে ব্যবসায়ীরা আমরণ অনশন শুরু করে। এ সময় গোয়েন্দা পুলিশের ওসি ব্যবসায়ীদের হয়রানি না করার প্রতিশ্রুতি দিলে তারা কর্মসূচী স্থগিত করে। বরমী বাজার বণিক সমিতির সভাপতি অহিদুল হক ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন মোড়লসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের নামে পুলিশের চাঁদাবাজি ও হয়রানি বন্ধ এবং আটক তিন ব্যবসায়ীকে মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে শুক্রবার হতে বরমী বাজারে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করে ব্যবসায়ীরা।
×