ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কামালপুর স্থলবন্দরে ৬ মাস ধরে পাথর আমদানি-রফতানি বন্ধ

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬

কামালপুর স্থলবন্দরে ৬ মাস ধরে পাথর আমদানি-রফতানি বন্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর ॥ জামালপুরের বকশীগঞ্জের কামালপুর স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও ভারতীয় বন বিভাগের ছাড়পত্র না পাওয়ায় ৬ মাস ধরে পাথর আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। এতে কামালপুর স্থলবন্দরের ৫ হাজার নারী-পুরুষ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। কামালপুর স্থলবন্দরে পাথর আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকার ফলে তিন কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে সরকার। কামালপুর স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র থেকে জানা যায়, স্থলবন্দরের স্বাভাবিক অবস্থায় পাথর আমদানি-রফতানি খাত থেকে বছরে ৫-৬ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়ে থাকে। এ স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে পাথরবোঝাই কমপক্ষে ৮০-১০০ ট্রাক পাথরসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে বাংলাদেশের কামালপুর স্থলবন্দরে প্রবেশ করে। এতে ওই স্থলবন্দর দিয়ে প্রতি মাসে প্রায় ১৫-২০ হাজার মেট্রিক টন পাথর রফতানি হয়ে থাকে। ছয় মাস ধরে ভারতীয় বন বিভাগের কিছু সমস্যা ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে স্থলবন্দরটি এখন স্থবির হয়ে পড়েছে। স্থানীয় কয়েকজন পাথর ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হলে তারা জানায়, পাথর আমদানি-রফতানি নিয়ে ছয়-সাত মাস ধরে স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক সমিতির নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। তাদের দ্বন্দ্বের সমাধান না হওয়ার কারণেও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারছে স্থলবন্দরটি। কয়েক দফায় আলোচনায় বসেও স্থানীয় প্রশাসন দ্বন্দ্ব সমাধান করতে পারেনি। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার অজুহাতে ছাড়পত্র না দিয়ে ভারতের বন বিভাগ পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছে। স্থলবন্দরের শ্রমিক শফিক বলেন, ছয় মাস আগেও স্থলবন্দরে কর্মরত প্রায় ৫ হাজার শ্রমিকের পাথর ভাঙ্গার কাজে মুখরিত ছিল। নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও ভারতীয় বন বিভাগের ছাড়পত্র না থাকায় ওই সব শ্রমিক এখন বেকার হয়ে পড়েছেন। তারা কোন কাজকর্ম না থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। কামালপুর এলাকার মানুষের একমাত্র কর্মস্থল স্থলবন্দরটি বন্ধ থাকায় ধারদেনা করে কোনরকম সংসার চালাতে হচ্ছে তাদের। অনেকেই আবার এলাকা ছেড়ে ঢাকায় চাকরি করছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সমস্যা সমাধান করে বন্দরটি চালুর দাবি জানান তারা। এ ব্যাপারে ধানুয়াকামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও পাথর ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমদানি-রফতানি আবার চালু করতে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা চলছে। সমস্যা সমাধান করে দ্রুত সময়ের মধ্যে আমদানি-রফতানি শুরু হবে। তবে সকল ব্যবসায়ীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি। কামালপুর স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, ‘গত ছয় মাস ধরে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। ভারতীয় ছাড়পত্র না দেয়ার বিষয়টি থাকলেও স্থলবন্দরের নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণটি এখন বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সমস্যাটি সমাধান করতে স্থানীয় প্রশাসনকে নিয়ে দফায় দফায় আলোচনা চলছে। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, পাথর আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় গত ছয় মাসে প্রায় তিন কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে সরকার। এছাড়া ছাড়পত্র পেতে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও যোগাযোগ চলছে। নওগাঁ চেম্বারের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ ॥ শনিবার বিপুল উৎসবমুখর পরিবেশে নওগাঁ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। শহরের বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ করা হয়। ৪টার মধ্যে যেসব ভোটার এনক্লোজারে প্রবেশ করেন তাদের ভোট সন্ধ্যা পর্যন্ত নেয়া হয়। ভোটগ্রহণের পর গণনা শুরু হয়। জেলার ব্যবসায়ী ভোটারগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এই ভোটকে কেন্দ্র করে গত ক’দিন ধরেই চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এবার ভোটার সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৮৭০ জন। নির্বাচনে ১৬টি পদে মোহাম্মদ আলী দ্বীনের নেতৃত্বে ‘সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ’ প্যানেলে ১৬ জন এবং মোঃ ইকবাল শাহরিয়ার রাসেলের নেতৃত্বে ‘শিল্প ও ব্যবসায়ী কল্যাণ পরিষদ’ প্যানেলে ১৬ জন সর্বমোট ৩২ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন।
×