স্টাফ রিপোর্টার ॥ ফরাসী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ধানম-ির আলিয়ঁস ফ্রঁসেসে চলছে কঠিন অনুভব শীর্ষক ভাস্কর্য প্রদর্শনী। শুধু শিল্পের জন্য শিল্পের সৃজন নয়, মানবতার কল্যাণে ভাস্কর্যগুলো নির্মাণ করেছেন শিল্পী আরহামউল হক। এই ভাস্কর্যগুলো বিক্রির অর্থ ব্যয় করা হবে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের কল্যাণে। প্রদর্শনীতে উপস্থাপিত শিল্পকর্মের বিক্রয়লব্ধ অর্থ পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রের (সিআরপি) কল্যাণ তহবিলে প্রদান করা হবে।
সিআরপির পুনর্বাসন কেন্দ্রে শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য হুইল চেয়ার, স্ট্রেচার, লংট্রলি ও ক্রাচের মতো বিভিন্ন গতিশীল উপকরণ তৈরি করা হয়। সেই ওয়ার্কশপের এসব উপকরণের ফেলে দেয়া ভাঙ্গা ও উচ্ছিষ্ট অংশ দিয়ে ভাস্কর্যগুলো তৈরি করেছেন আরহাম। ভাস্কর্যগুলোর প্রতিটি ইস্পাত খ- যেন বহন করে এক তীব্র মানসিক অনুভব, যেখানে প্রকাশিত হয় এ সময়ের সমাজব্যবস্থা। সব মিলিয়ে প্রদর্শনীর প্রতিটি শিল্পকর্মই যেন দর্শনার্থীদের মননে ছড়িয়ে দেয় গভীর অনুভূতি। নৃবিজ্ঞানে শিক্ষাপ্রাপ্ত শিল্পী আরহাম আসবাবপত্র, বাংলা-ক্যালিগ্রাফি, প্রাকৃতিক- রং এবং বনসাইয়ের মতো বিভিন্ন মাধমে এককভাবে বৈচিত্র্যপূর্ণ প্রদর্শনী উপস্থাপনে অগ্রদূত। এর আগে ২০০৫ সালে শিল্পীর ‘ভস্ম থেকে’ শিরোনামে একই ধরনের ভাস্কর্যের প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে বেঙ্গল গ্যালারিতে। আরহাম স্থাপত্যিক-নৃবিজ্ঞান পটভূমিতে শিকড় ধারণ করে বলেই তার শিল্পকর্মে মানবিতার সম্পর্ক উপস্থাপিত হয়। ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য থেকে বের হয়ে অন্যদের নিয়ে চিন্তা-ভাবনায় অনুপ্রাণিত করাই এ প্রদর্শনীর মূল উদ্দেশ্য।
জাদুঘরে গান ও কবিতার যুগলবন্দী পরিবেশনা ॥ শনিবার শরৎ সন্ধ্যায় ভেসে বেড়ালো গানের সুর। সেই সঙ্গে ছিল কবিতার শিল্পিত উচ্চারণ। সব মিলিয়ে সঙ্গীতসন্ধ্যাটি হয়ে ওঠে আরও বেশি আকর্ষণীয়। গান ও কবিতার এই যুগলবন্দী আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হলো জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে। কণ্ঠশিল্পী নাসিমা শাহীন ফ্যান্সীর এই গানের সন্ধ্যায় কবিতা আবৃত্তি করেন বাচিকশিল্পী শিরিনা বীথি। শ্রোতাদের জন্য উন্মুক্ত এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সাংস্কৃতিক সংগঠন আমরা সূর্যমুখী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক সেনাপ্রধান ও সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সহ-সভাপতি লে. জেনারেল হারুন-অর-রশিদ (অব)। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন একুশে পদকপ্রাপ্ত কণ্ঠযোদ্ধা শাহীন সামাদ, কণ্ঠশিল্পী সাদিয়া আফরিন মল্লিক ও কণ্ঠশিল্পী ড. নাশিদ কামাল। সভাপতিত্ব করেন আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী ট্রাইবুনালের সমন্বয়ক মুহঃ আবদুল হান্নান খান। সূচনা বক্তব্য দেন সংস্কৃতিকর্মী শফিকুল ইসলাম সেলিম।
ছিন্নমূল শিশুদের ক্যামেরাবন্দী আলোকচিত্র প্রদর্শনী ॥ তারা সবাই ছিন্নমূল শিশু। অনাদরে-অবহেলায় কেটে যায় দিন। উদ্বাস্তু হয়ে ঘুরে বেড়ায় শহরময়। সেই শিশুদের একটি দলের হাতে তুলে দেয়া হলো ক্যামেরা। অবহেলিত শিশুগুলো পরিণত হলো আলোকচিত্রীতে। নগরের নানা স্থান ঘুরে ক্যামেরাবন্দী করল নিজেদের খুব চেনা দৃশ্যগুলো। সেখানে উঠে এলো যাপিত জীবনের চালচিত্র থেকে শুরু করে নাগরিক জীবনের নানা চিত্র। সেসব ছবি নিয়ে ধানম-ির গ্যালারিতে চলছে আলোকচিত্র প্রদর্শনী।
এশিয়াটিক সোসাইটিতে আলোচনাসভা ॥ বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি আয়োজিত সভায় বক্তারা বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা অর্জিত হলেও আজও আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে পারিনি। যার ফলশ্রুতিতে দেশে আজকে আমরা সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় এবং জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার উত্থান লক্ষ্য করছি। সময় এসেছে এখনই এই সমস্ত প্রতিকূল পরিস্থিতির বিরুদ্ধে আমাদের ঐকবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ানোর। শনিবার বিকেলে এশিয়াটিক সোসাইটি আয়োজিত আলোচনাসভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: