ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস চার্জ সিঙ্গেল ডিজিট করার দাবি

প্রকাশিত: ২২:৪৩, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬

মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস চার্জ সিঙ্গেল ডিজিট করার দাবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার॥ দেশে বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে। তবে এর জন্য হাজারে প্রায় ২০ টাকা করে চার্জ দিচ্ছেন গ্রাহকরা; যা সাধারণ ব্যাংকিং লেনদেন চার্জের কয়েকগুণ বেশি। মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস চার্জ সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনলে এ সার্ভিস দেশব্যাপী আরও জনপ্রিয় হবে। শনিবার রাজধানীর শিশু কল্যাণ পরিষদে ‘মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যৎ, নিরাপত্তা ঝুকি ও প্রান্তি জনগোষ্ঠীর প্রাপ্তি: আমাদের ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা এ দাবি জানান। অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, মোবাইল ব্যাংকিক ব্যবস্থাপনা অনেকগুলো মাধ্যেমে হয়। ১ম মোবাইল অপারেটরদের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে, ২য় ডিস্ট্রিবিউটর, ৩য় এজেন্ট/রিটেইলর, ৪র্থ বিক্রয় কর্মী, ৫ম বাংলাদেশ ব্যাংক, ৬ষ্ট এনবিআর এবং ৭ম বিটিআরসি। এই মাধ্যম ব্যবহারের কারণে ব্যয় অনেক বেশি হয়। এর ব্যয় ভার বা কমিশন সম্পূর্ণ গ্রাহকদেরই পরিশোধ করতে হয়। তিনি বলেন, বিকাশের কমিশনের দিকে যদি তাকাই তাহলে দেখা যাবে, যে কোম্পানি কমিশন কেটে নেয় ১ দশমিক ৮৫ শতাংশ; আবার বেশিরভাগ রিটেইল ২ শতাংশ করে নেয়। সংগঠনের সভাপতি বলেন, একজন গ্রাহক মোবাইল টু মোবাইল ক্যাশ আউট করে তাহলে তার কাছে ১০ হাজার টাকা লেনদেনের জন্য কমিশন গুনতে হয় ২০০ টাকা। আর ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করলে ব্যয় করতে হয় ১ হাজার টাকা। সেখানে ব্যাংকের মাধ্যেমে লেনদেন করলে শহরাঞ্চলের ক্ষেত্রে কোনো সার্ভিস চার্জ লাগে না; শহরের বাইরে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত স্থানান্তর করতে কমিশন লাগে মাত্র ২৩ টাকা। তাই মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস চার্জ সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়ে মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা সাধারণত একটি ম্যাসেজের মাধ্যমে স্থানান্তরিত হয়; যেই ম্যাসেজে খরচ হয় ২৫ পয়সা। সেখানে কি উদ্দেশ্যে কাদের স্বার্থে এতো বেশি সার্ভিস চার্জ নেওয়া হচ্ছে- তা আমাদের বোধগম্য নয়। সরকার যদি সত্যিকার অর্থে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে এ সেবা পৌঁছে দিতে চায়, তবে অবশ্যই এর সার্ভিস চার্জ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সাধ্যের মধ্যে আনতে হবে। নতুবা এর মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতি প্রান্তিক পর্যায়ের অর্থনীতি ধ্বংসের সম্মুখীন হয়ে পড়বে। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব আবু বকর সিদ্দিক, বাসদ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।
×