ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

টেকনাফে উপবৃত্তির টাকা বিতরণে অনিয়ম

প্রকাশিত: ০৬:৫৮, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬

টেকনাফে উপবৃত্তির  টাকা বিতরণে  অনিয়ম

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ টেকনাফে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বরাদ্দকৃত উপবৃত্তির এক কোটি ২৪ লক্ষ ৮৭ হাজার ১২৫ টাকা বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের ১২ মাসের মোটা দাগের টাকা বিতরণের সুযোগে ব্যাংক নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাড়াহুড়া, ভিড়, মা অভিভাবকদের সরলতার সুযোগে অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে বলে অভিভাবকগণ জানিয়েছেন। তবে ব্যাংক কর্মকর্তা ও টেকনাফ উপজেলা শিক্ষা অফিসের দুই শিক্ষা অফিসার উপবৃত্তির টাকা বিতরণে অনিয়ম হয়নি বলে দাবি করেছেন। জানা যায়, জুলাই ২০১৫ থেকে জুন ২০১৬ পর্যন্ত এক বছরের জন্য উপজেলার ৫৫টি প্রাথমিক প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসাসহ মোট ৫৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীর উপবৃত্তির জন্য বরাদ্দ ছিল ১ কোটি ২৪ লক্ষ ৮৭ হাজার ১২৫ টাকা। অভিযোগ উঠেছে বিতরণে নিয়োজিত ব্যাংকের লোকজন কার্ডে উল্লেখিত প্রদত্ত টাকার পুরো অংশ অভিভাবকদের না দিয়ে কিছু অংশ ভাংতি নেই বলে এবং বিভিন্ন অজুহাতে কৌশলে পকেটে ভরে। স্কুল কমিটির অনেকে তাড়াহুড়ো এবং ভিড়ের মধ্যে বিতরণের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন। হ্নীলা রঙ্গীখালী গ্রামের খদিজা বেগম বলেন, আমার বাচ্চার কার্ডে ১ হাজার ৫০ টাকার পরিবর্তে আমাকে ৫৫০ টাকা দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। প্রতিবাদ করলে বিতরণকারী লোকজন বকাঝকা করে চলে যেতে বলে। পরে মাস্টার আনোয়ারকে ডেকে আনলে বাকি ৫শ’ টাকা দিতে বাধ্য হন তারা। শবে মেরাজ বলেন, আমাকে ১ হাজার টাকার পরিবর্তে ৫শ’ টাকা দিয়েছে। লায়লা বেগম বলেন ছেলে-মেয়ে দু’জনের প্রাপ্য ১ হাজার ৮শ’ টাকার পরিবর্তে আমাকে ১ হাজার ৩শ’ টাকা দেয়। উপবৃত্তির টাকা বিতরণের সময় প্রত্যেক কেন্দ্রে ব্যাংক অফিসার ছাড়াও উপজেলা শিক্ষা অফিসার, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যগণ এবং স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা উপস্থিত থাকেন। এতে অনিয়মের কোন সুযোগ নেই বলে দাবি করেন জনতা ব্যাংকের ম্যানেজার জোবায়ের হোসাইন।
×