ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

অবসর না নিলে শচীনকে বাদ দেয়া হতো!

প্রকাশিত: ০৬:৪৮, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬

অবসর না নিলে শচীনকে বাদ দেয়া হতো!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গ্রেট শচীন টেন্ডুলকরের ওয়ানডে অবসর নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন তৎকালীন ইন্ডিয়ান বোর্ডের (বিসিসিাই) প্রধান নির্বাচক সন্দীপ পাটিল। তিনি বলেন ‘২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বরে আমরা শচীনের কাছে তার ভবিষ্যত পরিকল্পনা জানতে চাই। ও বলেছিল, অবসরের কথা ভাবছে না। কিন্তু শচীনকে নিয়ে নির্বাচকম লী এর আগেই সিদ্ধান্তে পৌঁছে গিয়েছিল, বোর্ডকেও তা জানানো হয়েছিল। আমরা জিজ্ঞেস করার পরে আসলে শচীন বুঝতে পেরেছিল কী হতে যাচ্ছে। কারণ পরের বৈঠকে আগে সে আমাকে ফোন করে জানায়, সে অবসর (ওয়ানডে থেকে) নিচ্ছে।’ পাটিলের দাবি, ‘অবসরের সিদ্ধান্ত না নিলে আমরা তাকে অবশ্যই বাদ দিতাম!’ ২০১২ সালের ডিসেম্বরে ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা দেন টেন্ডুলকর। অবশ্য ক্যারিয়ারের শেষ ওয়ানডেটা খেলেন তারও আগে, ওই বছরের মার্চে ঢাকায় এশিয়া কাপে। পরের বছর নবেম্বরে (২০১৩) আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় (টেস্ট) জানান। ১৯৮৯Ñএ পাকিস্তানের বিপক্ষে করাচী টেস্ট দিয়ে আগমনের পর গ্রেট এই ক্রিকেটার মাঝে কখনও ফর্মের কারণে বাদ পড়েননি। ঈদ পুনর্মিলনী মোহামেডান সমর্থকগোষ্ঠীর স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সমর্থকগোষ্ঠী মহাপাগলের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে শুক্রবার। মহাপাগলের কার্যালয় রামপুরায় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সাবেক তারকা ফুটবলাদের হাট বসেছিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক তারকা ফুটবলার, কিছুদিন আগে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত হাসানুজ্জামান খান বাবলু। আরও ছিলেন কায়সার হামিদ, সাঈদ হাসান কানন, আরমান মিয়া, মনু, হকির আরিফুল হক প্রিন্সসহ অনেকে। সাবেক তারকাদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে ছিলেন মহাপাগলের প্রতিষ্ঠাতা টি ইসলাম তারিক, সদস্য টিক্কু জামান, মোশারফ হোসেন, লোটাস, নজরুল ইসলাম, আকরাম এইচ শাহিন, শফিকুল ইসলাম, খোরেশদ আলমসহ অনেকে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ফুটবলের অতীত ও বর্তমান অবস্থা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন সাবেক তারকারা। স্টিভেন স্মিথ প্রস্তুত প্রোটিয়া-অসি ওয়ানডে সিরিজ, ডি ভিলিয়ার্সকে নিয়ে শঙ্কা কাটেনি স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজের চ্যালেঞ্জ নিতে পুরোপুরি প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। ‘ভাল একটা ছুটি কাটিয়ে নিজেকে বেশ চনমনে মনে হচ্ছে। জোহানেসবার্গে প্রস্তুতির জন্য আমরা কিছুটা সময় পাচ্ছি। উপমহাদেশে পরিস্থিতি ভিন্ন হলেও দক্ষিণ আফ্রিকায় আমরা গত কয়েক বছর ভাল সাফল্য অর্জন করেছি। এখানকার কন্ডিশনও পরিচিত। উইকেটে গতি ও বাউন্স আছে। আমরা সাধারণত যে ধরনের কন্ডিশনে খেলে অভ্যস্ত। এই ধরনের উইকেটে বড় স্কোর হয়। আমি নিশ্চিত শ্রীলঙ্কার চেয়ে এখানে অনেক বেশি রান হবে। মানসিকভাবে আমরা প্রোটিয়া চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত।’ বলেন স্মিথ। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা সফরে দ্বিতীয় ওয়ানডের পরে স্মিথকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল। সিরিজের মাঝপথে অধিনায়ককে দেশে ফেরানোয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে (সিএ) বেশ সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। এবারের অস্ট্রেলিয়া দলে বেশ কয়েক নতুন খেলোয়াড় রয়েছেন। এর মধ্যে পেসার ড্যানিয়েল ওরাল, জো মেনি ও ক্রিস ট্রিমেইন অন্যতম। বেনোতিতে মঙ্গলবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র ওয়ানডে দিয়ে অসিরা তাদের এ সফর শুরু করবে। ৩০ সেপ্টেম্বর সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। ওদিকে ঘরের মাটিতে এই সিরিজে বড় তারকা ও নিয়মিত অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্সের খেলা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (সিপিএল) ইনজুরি আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রোটিয়া ব্যাটিং জিনিয়াস। পরে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দলের ১-০তে টেস্ট সিরিজ (দুই ম্যাচ) জয় মিস করেন তিনি। বিদায় বললেন রজার্স স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন ‘ভাগ্য বিড়ম্বিত’ ক্রিস রজার্স। অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানের নামের সঙ্গে ‘ভাগ্য বিড়ম্বিত’ শব্দটি মানিয়ে যায়! কারণ ২০০৮ সালে ৩১ বছর বয়সে টেস্ট অভিষেক। তার পরই বাদ পড়েন। ইংলিশ কাউন্টিতে রানের বন্যা বইয়ে দিয়ে ফেরেন ২০১৩ সালে। ততদিনে বয়স ৩৬ হয়ে গেছে! সব মিলিয়ে ২৫টি টেস্ট খেলে গত বছর ইংল্যান্ড সফরে এ্যাশেজের পর বিদায় বলে দেন অথচ ফর্মের তুঙ্গে ছিলেন তিনি। এবার ব্যাট-প্যাডই তুলে রাখলেন। বৃহস্পতিবার নটিংহামশায়ারের বিপক্ষে সমারসেটের হয়ে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে শেষ ম্যাচটি খেলেন ৩৯ বছর বয়সী রজার্স। প্রথম শ্রেণীতে ৭৬টি সেঞ্চুরির মালিক বিদায়ী ম্যাচের দুই ইনিংসেও উপহার দিলেন দুর্দান্ত দুটি সেঞ্চুরি! প্রথম ইনিংসে ২০৪ বলে ১৮টি চারের সাহায্যে ১৩২ রান করেন। আর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৯ বলে ১৩টি চারে ঠিক ১০০ রানে অপরাজিত ছিলেন। তার জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে সমারসেট জয় পেয়েছে ৩২৫ রানের বড় ব্যবধানে। এমন ফর্ম নিয়ে কেন হঠাৎ বিদায় বলে দিলেন রজার্স? জবাবে অসি তারকা ক্রিকেটার বলেন, ‘এটাই আমার জন্য উপযুক্ত সময় (বিদায় বলার)।’ অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের হয়ে ২৫ টেস্টে ৪২.৮৭ গড়ে ২০১৫ রান করেছেন ২০০৮ সালে অভিষিক্ত রজার্স। এর মধ্যে রয়েছে ৫টি সেঞ্চুরি ও ১৪টি হাফ সেঞ্চুরি! প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলেছেন ৩১৩টি। ৪৯.৫৫ গড়ে নামের পাশে যোগ করেছেন ২৫ হাজার ৪৭০ রান! সেঞ্চুরি ৭৬টি! প্রথম শ্রেণীতে নামের পাশে ১২২টি হাফ সেঞ্চুরি রজার্সের। ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে থেকে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট শুরু করেন। অস্ট্রেলিয়ানদের হয়ে প্রথমশ্রেণীর ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির তালিকায় নয়, নম্বরে রয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ১১৭টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে শীর্ষে কিংবদন্তি স্যার ডন ব্র্যাডম্যান, ৮৬ সেঞ্চুরি নিয়ে দুইয়ে রয়েছেন জাস্টিন ল্যাঙ্গার। আর ৮২ সেঞ্চুরি করে তৃতীয় অবস্থানে বর্তমান অসি কোচ ড্যারেন লেহমান। রজার্স আধুনিক অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান। অভিষেকের পর একটিমাত্র টেস্ট খেলে বাদ পড়ার পর অভিমানে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান। সেখানেই ইংলিশ কাউন্টিতে রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন। প্রথম শ্রেণীতে খেলেছেন নর্দাম্পটনশায়ার, ডার্বিশায়ার, মিডলসেক্স, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া এবং ভিক্টোরিয়ার হয়ে।
×