ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হাসান সজীব

বিশ্বের সেরা কয়েকটি ভাইরাস

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬

বিশ্বের সেরা কয়েকটি ভাইরাস

ঘরসফধ ॥ শব্দটি এসেছে অফসরহ শব্দকে উল্টো করে। এটি আঘাত হানে ৯/১১ টুইন টাওয়ার হামলার ১ সপ্তাহ পর। ১৮ ই সেপ্টেম্বর। এই ভাইরাসের মূল কাজ ছিল ডিনায়াল ইন সার্ভিস এটাকের মাধ্যমে ইন্টারনেট কানেকশন সেøা করে দেয়া। ৪টির মাধ্যমে এই ভাইরাসের বিস্তৃতি লাভ করত। ইমেইল, হোস্টিং সারভার, ফাইল ট্রান্সফার এবং ফোল্ডার শেয়ারিং দ্বারা। সাধারণ দৃষ্টিতে এই ভাইরাসের তেমন ক্ষতিকর দিক নেই বলে মনে হয়। কিন্তু যেসব প্রতিষ্ঠানের একটানা ইন্টারনেটের মাধ্যমে কাজ করতে হয় (যেমন ব্যাংকিং সিস্টেম ) ওইসব প্রতিষ্ঠানের এই এটাকেই অনেক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যায়। গু উড়ড়॥ ২০০৪ সালের ২৬ জানুয়ারি এই ভাইরাসটি সারা বিশ্বে একটি শকওয়েভ সৃষ্টি করেছিল। অল্পসময়ের মধ্যে ২০ লাখ কম্পিউটারে এটি ছড়িয়ে পড়ে মারাত্মক আকারে ডিনায়াল অফ সারভিসেস এটাক করে কিছু সময়ের জন্য পুরো বিশ্বের ইন্টারনেট স্তব্ধ করে দিয়েছিল। এই ভাইরাসের সিস্টেম ছিল এটি ইউজারের মেইলে একটি ইনফেক্টেড মেইল পাঠাত যা খোলার সঙ্গে সঙ্গেই ওই ই-মেইল এ্যাকাউন্টের সব মেইল এড্রেসে একই মেইল চলে যেত। অবিশ্বাস্যভাবে দ্রুত গতিতে এটি ছড়িয়ে পড়েছিল সারা বিশ্বে। প্রায় ৩৮ বিলিয়ন ডলারের ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয় এই ভাইরাসের মাধ্যমে। গবষরংংধ ॥ ১৯৯৯ সালের ২৬ মার্চ এই ভাইরাসটি সারা বিশ্বে হেডলাইন হয়। স্বল্পসময়ের মধ্যেই এটি কয়েক হাজার কম্পিউটারকে আক্রমণ করে বসে। এটি কাজ করত মাইক্রোসফট আউটলুককে ব্যবহার করে ই-মেইলের মাধ্যমে সিস্টেমের ক্ষতি করত। এর এন্টি ভাইরাস বের হয়েছে, তবে মজার ব্যাপার হলো এই ভাইরাসকে ইন এ্যাকটিভ রাখা যায় তবে পুরোটাকে ধ্বংস করা যায় না। সে সময়ে এফবিআই অনেক বড় করে এই ভাইরাসের জন্মদাতার খোঁজে বের হয়। প্রায় ৩০-৬০ কোটি ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার পরও আমেরিকার আদালত তাকে মাত্র ২০ মাসের জেল এবং ৫০০০ ডলার জরিমানা করে। ঝছখ ঝষধসসবৎ ॥ এই বস ভাইরাসটি মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যমে বিশ্বের ৬ লাখ কম্পিউটার এবং সারভারকে আক্রমণ করে বসে। তবে আমেরিকা আর দক্ষিণ কোরিয়াতে বেশি আক্রমণ করে এটি। ২০০৩ সালের ২৫ জানুয়ারি এটি আক্রমণ করে। এর প্রতিটি প্যাকেট ৩৭৬ বাইট ওয়ার্ম থাকত আইপি এড্রেসগুলোকে আক্রমণ করার জন্য। ঈওঐ ॥ প্রায় ৮০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছিল এই ভাইরাসটি। এটি সর্বপ্রথম তাইওয়ানে ১৯৯৮ সালের জুন মাসে আবিষ্কৃত হয়। এই ভাইরাসটি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে এটাক করে কম্পিউটারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। ওখঙঠঊণঙট ॥ ভালবাসার বাণী ছড়িয়ে এমনই ভাল বেসেছে যে পুরো বিশ্বে প্রায় ৫০০ বিলিয়ন টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছে। এটি সর্বপ্রথম ফিলিপিন্সে ২০০০ সালের ৪ মে আবিষ্কৃত হয়। কোন সন্দেহ নেই এই ভাইরাসটি শীর্ষ ডেঞ্জারাস এবং ট্রিকি ভাইরাসের মধ্যে পড়ে। ঝঃড়ৎস ডড়ৎস ॥ এই ভাইরাসটি ব্যাপাক হারে আক্রমণ করে ২০০৬ সালে। মেইলে ২৩০ ফবধফ ধং ংঃড়ৎস নধঃঃবৎং ঊঁৎড়ঢ়ব এই সাবজেক্টের একটি মেইল আসত যেখানে একটি ভাইরাস আক্রান্ত লিঙ্ক থাকত। কেউ যদি সেখানে ক্লিক করত তাহলে তার কম্পিউটারের রিমোটলি কন্ট্রোল চলে যেত হ্যাকারের কাছে। প্রায় ১ কোটি কম্পিউটার আক্রান্ত হয় এই ভাইরাসের মাধ্যমে।
×