ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকার পরিচ্ছন্ন কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে মোবাইল ট্র্যাকিং

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ঢাকার পরিচ্ছন্ন কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে মোবাইল ট্র্যাকিং

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং পরিচ্ছন্নকর্মীরা সঠিক সময়ে কর্মস্থলে অবস্থান করছে কিনা, তা নিশ্চিত করতে মোবাইল ট্র্যাকিং পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে। সেই লক্ষ্যে ডিএসসিসির মোট ৫ হাজার ২১৬ পরিচ্ছন্নকর্মীর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৪ হাজার ৯২৭ জনকে গ্রামীণফোন অপারেটরের সিম দেয়া হয়েছে। পরিচ্ছন্নকর্মীদের কাজের স্থান এবং নির্দিষ্ট সময়ে কাজে যোগদানের বিষয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য মোবাইল ট্র্যাকিং পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএসসিসির অতিরিক্ত প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক খন্দকার মিল্লাতুল ইসলাম। তিনি বলেন, পরিচ্ছন্নকর্মীদের ডিউটি রোস্টার ম্যাপ রয়েছে। সেই অনুযায়ী ভোর রাত ৩টা, সকাল ৫টা ও ৭টায় মনিটর করা হয়। এ ছাড়া কে কোথায় কাজ করছে তা মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায়। কাজের রোস্টার অনুযায়ী কোন পরিচ্ছন্নকর্মীকে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ে পাওয়া না গেলে ওই দিনের হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত দেখানো হয় এবং সেই দিনের বেতন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানান তিনি। চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে মোবাইল ট্র্যাকিং পদ্ধতি গ্রহণ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। এ জন্য আলাদা কন্ট্রোল শাখা খোলা হয়েছে এবং যাদের এই সিম দেয়া হয়েছে, সেই সকল পরিচ্ছন্নকর্মীকে মোবাইল অন রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ডিএসসিসি এলাকার রাস্তা, ড্রেন, পার্ক, ময়লার ডিপো পরিষ্কার করাসহ কর্পোরেশন অফিস পরিষ্কারের দায়িত্বে রয়েছেন ৫ হাজার ২১৬ কর্মী। এদের মধ্যে পুরুষ ২ হাজার ৯০৫ এবং নারী ২ হাজার ৩১১ জন। যাদের সকলকে পর্যায়ক্রমে গ্রামীণফোনের সিম দেয়া হবে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে। তবে মোবাইল ব্যক্তিগতভাবে কিনতে হবে। পরিচ্ছন্নকর্মীরা কীভাবে তাদের বেতন পান, এমন এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপক বলেন, জোন অনুযায়ী পরিচ্ছন্নকর্মীদের ছবি সহকারে ফাইল করা হয়েছে। এ ছাড়া সকল পরিচ্ছন্নকর্মীর নিজের নামেই ব্যাংক হিসাব খোলা হয়েছে। নিজের ব্যাংক এ্যাকাউন্ট থেকে সবাই বেতন-ভাতা তোলেন। এ কারণে পূর্বের মতো বেশি সংখ্যায় পরিচ্ছন্নকর্মী দেখিয়ে কেউ অর্থ হাতিয়ে নিতে পারবে না। এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ইমার্জেন্সি রেসপন্স পরিচ্ছন্ন টিম গঠন করা হয়েছে। এই সিটির আওতায় ৫৭টি ওয়ার্ড রয়েছে। আর প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে ১০ সদস্য নিয়ে এ টিম গঠন করা হয়েছে। সিম বিতরণ এবং মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মতো আধুনিক পদ্ধতি চালু করায় সঠিকভাবে কাজ হচ্ছে এবং শহর পরিচ্ছন্ন থাকছে বলে জানান খন্দকার মিল্লাতুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আগে কর্মস্থলে সময়মতো পরিচ্ছন্নকর্মীকে খুঁজে পাওয়া যেত না। কিন্তু এখন সবাই নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী কাজে চলে যায় এবং ভালভাবে কাজ করেন।’
×