ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সময়সূচী সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন শুধু তেরেসা মে

প্রকাশিত: ০৬:১১, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬

সময়সূচী সম্পর্কে চূড়ান্ত  সিদ্ধান্ত নেবেন শুধু  তেরেসা মে

ডাউনিং স্ট্রিট বলেছে, ব্রিটেনের ইইউ ত্যাগের সময়সূচীর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন একমাত্র প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন ব্রেক্সিটের জন্য একটি কৌশল উদ্যোগ শুরু করার পর ১০, ডাউনিং স্ট্রিট এ কথা বলেছে। খবর টেলিগ্রাফ অনলাইনের। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রে ব্রেক্সিট নিয়ে কথা বলছিলেন। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য আগামী বছরের প্রথমদিকে আনুষ্ঠানিক ব্রেক্সিট আলোচনা শুরু করবে এবং ২০১৯ সালের মধ্যে ইইউ ত্যাগ করবে। তিনি মন্তব্যে বলেন যে, দু’বছরের এ চূড়ান্ত সীমারেখা শেষ হওয়ার আগেই আলোচনা শেষ করা হবে এবং ব্রিটেন এর সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে এবং একটি বিশাল বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরে সক্ষম হবে। তার এ মন্তব্যে রক্ষণশীল দলের ইইউবিরোধী রাজনীতিবিদরা উল্লসিতই হবেন। তিনি এ প্রস্তাবও দেন যে, অস্ট্রেলিয়ার মতো বিভিন্ন দেশ বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের বিনিময়ে যুক্তরাজ্যে আরও অভিবাসী পাঠাতে পারে। তিনি বলেন যে, এটা সম্পূর্ণ বাজে কথা যে, যুক্তরাজ্যে বসবাস ও কাজ করার জন্য সকল ইইউ দেশের নাগরিকদের অনুমতি দিয়ে অবাধ যাতায়াত অক্ষুণœ না রাখলে ইউরোপীয় অভিন্ন বাজারে প্রবেশ ধরে রাখতে ব্রিটেন অসমর্থ হবে। সে যাই হোক, ডাউনিং স্ট্রিট সূত্র এটা পরিষ্কার করেছেন যে, ব্রেক্সিটের সময় সংক্রান্ত সকল সিদ্ধান্ত নেবেন শুধু তেরেসা মে। সূত্র জানায়, ইইউ’র ৫০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, তিনি তখন সিদ্ধান্তটি নেবেন যে সময়টিকে তিনি ব্রিটেনের স্বার্থের জন্য অনুকূল মনে করবেন। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান পরিবর্তিত হয়নি। মে ব্রেক্সিটের জন্য তার পরিকল্পনা প্রকাশে অসম্মতি জানিয়ে এসেছেন বারবার। তিনি মনে করেন যে, আলোচনা শুরুর আগেই পরিকল্পনা খোলাখুলি প্রকাশ করা উচিত হবে না ব্রিটেনের জন্য। ব্রিটেন অভিন্ন বাজার ত্যাগ করতে পারে বলে ব্রেক্সিট মন্ত্রী ডেভিড ডেভিস পরামর্শ ব্যক্ত করার পর তিনি তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হন এ মাসের প্রথমদিকে। তেরেসা মে মন্ত্রিপরিষদে যোগ দেয়ার পর জনসন প্রথমবারের মতো সাক্ষাতকারে বলেন, আমরা যা করছি তা আমরা বলছি আমাদের ইউরোপীয় মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে। এখন আমাদের প্রত্যাশা, আগামী বছরের শুরুতে অনুচ্ছেদ ৫০ এর একটি বার্তার বাস্তবায়ন দেখা যাবে। জনসন বলেন, ইইউ’র প্রচ- স্বার্থেই যুক্তরাজ্যের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী ব্রিটেন তার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। অথচ অনেক ইউরোপীয় দেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের অবাধ বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে এখনও। আমরা ইইউয়ে আমাদের সহযোগীদের সঙ্গে আরও ব্যাপক অবাধ বাণিজ্যের চমৎকার সুযোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছি। এখানে প্রচ- স্বার্থ রয়েছে তাদেরও।
×