ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রাইমারী স্কুলে অষ্টম শ্রেণী চালুর দাবি

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬

প্রাইমারী স্কুলে অষ্টম শ্রেণী চালুর দাবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মানসম্মত শিক্ষার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ২০১৮ সালের মধ্যে দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আষ্টম শ্রেণী চালুর দাবি জানিয়েছেন সরকারী প্রাথমিক শিক্ষকরা। বাংলাদেশ সরকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা এ দাবি জানান। তারা একই সঙ্গে মাস্টার্স সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীদের সরকারী কর্ম কমিশনের মাধ্যমে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়াসহ ১১ দফা দাবি তুলেছেন। সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সমিতির নির্বাহী সভাপতি ওয়েছ আহম্মেদ চৌধুরী, মহাসম্পাদক মোঃ আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, সমিতির উপদেষ্টা মক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতা একাডেমির প্রেসিডেন্ট মোঃ নরুল ইসলাম ঠা-ু। আরও উপস্থিত ছিলেনÑ সমিতির সভাপতি মুহাঃ আঃ আউয়াল তালুকদার, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আবুল হোসেন, আলী আক্কাছ, সহ-সভাপতি মনসুর আলী দেওয়ান, আইয়ুব উল্যাহ ভূঁইয়া, রাবেয়া খাতুন, রাজিব লোচন সরকার, রাধা রানী ভৌমিক, প্রভাত রঞ্জন বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম প্রমুখ। তাই সরকারের ডিজিটাল বাংলদেশ, প্রণীত শিক্ষানীতি দ্রুত বাস্তাবায়ন, বিশ্বমানের শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর সঙ্গে মিল রেখে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বিভিন্ন দাবি তুলে ধরছে। দাবির মধ্যে আছেÑ ২০১৮ সালের মধ্যে প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণী চালু করতে হবে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুধু সহকারী শিক্ষক পদে এমএ পাস বা সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যত্যাসম্পন্ন ব্যক্তিকে (ছেলে/মেয়ে উভয়কে) পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগ দিতে হবে, সহকারী শিক্ষক পদ থেকে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা ক্যাডার সার্ভিস এবং শুরুতে নবম গ্রেড ২২ হাজার টাকা স্কেল প্রদান করতে হবে, সহকারী শিক্ষক থেকে মেধা, যোগ্যতা যাচাইসাপেক্ষে বিভাগীয় উচ্চপদে শতভাগ পদোন্নতির মাধ্যমে মহাপরিচালক পদ পর্যন্ত নিয়োগ দিতে হবে, দীর্ঘদিন পদোন্নতি বঞ্চিত সিনিয়র সহকারী শিক্ষকদের অবিলম্বে প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদে নিয়োগ প্রদান করতে হবে, একই কারিকুলাম ও পাঠ্যসূচীর আওতায় অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত সারাদেশে একীভূত শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে হবে, প্রতিটি বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও পাঠদানের উপকরণসামগ্রী প্রদান করতে হবে, বিদ্যালয়ের কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য একজন অফিস সহকারী নিয়োগ দিতে হবে, শিক্ষকদের বকেয়া পাওনাসহ সকল পাওনা পরিশোধ করতে হবে, বিদ্যালয়ভিত্তিক প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও পরীক্ষা পরিচালনার ক্ষমতা প্রদান করতে হবে, আইএলও এবং ইউনোস্কো সনদ অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কিত বিষয়ে ফলপ্রসূ সিদ্ধান্তের জন্য বৈধ শিক্ষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
×