ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সোনাহাট স্থলবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ শুরু হচ্ছে আজ

প্রকাশিত: ০৬:১২, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬

সোনাহাট স্থলবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ শুরু হচ্ছে আজ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ভারতের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে এবার সোনাহাট স্থলবন্দরের অবকাঠামোসহ উন্নয়ন কাজ শুরু করছে সরকার। আজ শুক্রবার দেশের উত্তরের সীমান্ত জেলা কুড়িগ্রামের বুরুঙ্গমারী উপজেলার সোনাহাট নামক স্থানে এই স্থলবন্দরের কজের উদ্বোধন করবেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। এই স্থলবন্দরের ভারত সীমান্ত হচ্ছে আসামের দুবরী জেলার সোনাহাট এলাকা। এটি হবে দেশের ১৫তম স্থলবন্দর। নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান একই দিন কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী নদী বন্দরের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করবেন। এ দুটি বন্দরের কার্যক্রম চালু করার দাবি এ এলাকার জনগণের দীর্ঘদিনের। এটি প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত প্রকল্পও। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, বাংলাদেশ ব্যবসা-বাণিজ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে বন্দর কার্যক্রম চালু থাকলে বাণিজ্য প্রসারিত হয়। অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া যায়। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এখানে স্থলবন্দরের জন্য ভূমি উন্নয়ন, সীমানা দেয়াল, স্থলবন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অফিস ভবন, ওয়্যার হাউস, কাস্টমস ওয়্যার হাউস, অভ্যন্তরীণ সড়ক, ওপেন ইয়ার্ড, ওয়াচ টাওয়ার, দুটি ওজন সেতু, ডরমেটরি ভবন নির্মিত হবে। মোট ১৪ দশমিক ৬৮ একর জমিতে স্থলবন্দরের সব অবকাঠামো নির্মাণে সরকারের ব্যয় হবে ৩৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর দেশের ১৫তম স্থলবন্দর হিসেবে সোনাহাট স্থলবন্দরের গেজেট প্রকাশ করে সরকার। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে স্থলবন্দরের কাজ শেষ হয়ে বন্দরের কার্যক্রম শুরু হতে সময় লাগবে আনুমানিক দুবছর। উল্লেখ্য, দেশে বর্তমানে ১৪টি স্থলবন্দরের মাধ্যমে বাণিজ্যিক কাজকর্ম চলছে। এগুলো হচ্ছেÑ বেনাপোল, বুড়িমাড়ি, আখাউড়া, টেকনাফ, সোনামসজিদ, হিলি, বিবির বাজার, নাকুগাঁও, ভোমড়া, হালুয়াঘাট, তামাবিল, দর্শনা, বাংলাবান্ধা ও বিলনিয়া। এছাড়া ময়মনসিংয়ের গোবড়াকুড়া করইতলা, শেওলা, টেগামুখ, ও বাল্লা স্থলবন্দরের কার্যক্রম শুরুর কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
×