ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ওজনিয়াকি-রাদওয়ানাস্কা কো. ফাইনালে

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ওজনিয়াকি-রাদওয়ানাস্কা কো. ফাইনালে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টোকিও ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছেন ক্যারোলিন ওজনিয়াকি এবং এ্যাগ্নিয়েস্কা রাদওয়ানাস্কা। বুধবার দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচে ডেনিশ টেনিস তারকা ক্যারোলিন ওজনিয়াকি ৭-৬ (৪), ৪-৬ এবং ৬-৪ সেটে হারান স্পেনের কার্লা সুয়ারেজ নাভারোকে। দিনের অন্য ম্যাচে দ্বিতীয় বাছাই এ্যাগ্নিয়েস্কা রাদওয়ানাস্কা ৬-৩, ৩-৬ এবং ৭-৫ গেমে হারান চেকপ্রজাতন্ত্রের শক্তিশালী প্রতিপক্ষ বারবোরা স্ট্রাইকোভাকে। ২০১০ সালে টোকিও ওপেনের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ক্যারোলিন ওজনিয়াকি। তার চার বছর পর আবারও ফাইনালে উঠে শিরোপা জয়ের আশা জাগিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রানার-আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাকে। এরপর গত মৌসুমে নিজেকে আর সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি ডেনমার্কের এই টেনিস তারকা। তবে এবার যেন বেশ ফুরফুরে মেজাজেই কোর্টে নামেন তিনি। স্পেনের ফেবারিট কার্লা সুয়ারেজ নাভারোকে হারিয়ে যেন আরও বেশি আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে তার। কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। এদিকে টোকিও ওপেনের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় ফেবারিট হিসেবে কোর্টে নামেন পোল্যান্ডের এ্যাগ্নিয়েস্কা রাদওয়ানাস্কা। শেষ পর্যন্ত তিন সেটের কঠিন লড়াই জিতে শেষ আটের টিকেট কাটেন। জয়ের পর তৃপ্ত রাদওয়ানাস্কা নিজের অভিমত প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘প্রথম ম্যাচটা সবসময়ই কিছুটা কঠিন। আর এখানে তো শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। আপনি এমন কারও বিপক্ষে খেলছেন যে কিনা টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ২০ কিংবা ৩০ নাম্বারে থাকা প্রতিদ্বন্দ্বী। তাই এটা ধরেই নিতে পারেন যে ম্যাচটা কখনই সহজ হবে না। এই ম্যাচ নিয়ে আমি খুব খুশি। জয় পাওয়াটা খুব সহজ ছিল না কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমি এগিয়ে ছিলাম। যা জেতাতে আমাকে সহায়তা করেছে।’ গত ফ্রেঞ্চ ওপেনে সর্বশেষ স্ট্রাইকোভার মুখোমুখি হয়েছিলেন রাদওয়ানাস্কা। সেবার স্ট্রাইকোভা হারলেও রীতিমতো ঘাম ঝরেছিল রাদওয়ানাস্কার। তাই চেনা প্রতিপক্ষ হওয়ার কারণে যথেষ্ট ধারণা ছিল তার। ম্যাচ শেষে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তাকে আমি দীর্ঘদিন ধরেই চিনি। তাই তার সম্পর্কে আমি বেশ ভালোই জানি যে সে প্রতিপক্ষ হিসেবে খুবই ভয়ঙ্কর। কোর্টে সে সবকিছুই করতে পারে। আজকেও সে অবিশ্বাস্য কিছু শট খেলেছে। কিন্তু শেষ পয়েন্টটা আমিই জিতি।’
×