ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:২০, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬

উবাচ

মানব না স্টাফ রিপোর্টার ॥ কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ আগামী ফেব্রুয়ারিতেই শেষ হচ্ছে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে সরকারকে। এর মধ্যেই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মতো গৃহপালিত ইসি হলে মানবে না বিএনপি। এখনও ইসি গঠনের ৪ মাস বাকি। কে হচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কারা নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন তাও ঠিকঠাক হলো না। এমনকি আলোচনাও হলো না। সেখানে এত আগে অবজ্ঞার ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। এক সময় বাজেট ঘোষণার আগের দিনই ব্যানার লিখে শুকাতে দেয়া হতো। ‘গণবিরোধী বাজেট মানি না।’ এখন যুগ বদলে যাওয়ায় ঘণ্টাখানেকের মধ্যে তৈরি ব্যানার পাওয়া যায়। যাই হোক এসব কিছু বিরোধিতার মানসিক প্রস্তুতি। মির্জা ফখরুলও তাই করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা নির্বাচন চাই, অবশ্যই নির্বাচন চাই। অবশ্যই একটি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে ও স্বাধীন নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন কমিশনের অধীনে আমরা সেই নির্বাচন চাই। গৃহপালিত নির্বাচন কমিশন দিয়ে আপনি নির্বাচন পরিচালনা করবেন, আপনি আপনার মতো করে সব কিছু সাজিয়ে নেবেন, সেই নির্বাচনে আমরা বিশ্বাস করি না। সার্চ কমিটি করেন, আর যাই করেন, জনমতের বাইরে গিয়ে কোন কমিটি এদেশের মানুষ মেনে নেবে না। পরামর্শ দরকার নেই স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি সরকার নির্বাচনে গোঁজামিল দিতে এমএ আজিজকে নির্বাচন কমিশনে বসিয়েছিলেন। এমএ আজিজ একটি বিতর্কিত ভোটার তালিকা করে কেলেঙ্কারি বাধিয়েছিলেন। বিতর্কিত আজিজের নির্বাচন কমিশন নিয়ে আন্দোলন করে সুফল পেয়েছিল মহাজোট। এখন নির্বাচন কমিশনকে যে কোন প্রক্রিয়ায় বিতর্কিত করতে পারলে ওরা ভাবছেন, সুবিধা পাবে তাদের জোট। ফলে কমিশন গঠনের আগেই মানি না, মানব না ঘোষণা দিচ্ছে বিএনপি। এই প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ বলেন, নতুন ইসি গঠনের জন্য তাদের কাছে শিখতে হবে না। তাদের সময় নির্বাচন কমিশনের নামে আজিজ মার্কা তামাশা গঠন করেছিল। জাতি আর এ রকম তামাশার নির্বাচন কমিশন দেখতে চায় না। তাই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য ফখরুল সাহেবদের পরামর্শও শুনতে চান না তারা। হানিফ আগের প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন সার্চ কমিটির মাধ্যমে নেয়া হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটির মাধ্যমে সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে গঠন করেছিলেন। তখন সবচেয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়েছিল। এবারও তেমনটা হবে বলে তিনি আশা করেন। প্রার্থী নই স্টাফ রিপোর্টার ॥ এগিয়ে আসছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের দিনক্ষণ। স্বাভাবিকভাবেই ক্ষমতাসীন দলের সম্মেলনকে ঘিরে মানুষের আগ্রহ রয়েছে। সংবাদপত্রগুলো সেই আগ্রহ মেটানোর চেষ্টা করেছে। কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক? কারা সেই দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন সেই নামগুলো সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সাধারণ সম্পাদকের দৌড়ে নাম এসেছে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের। অবশ্য ও. কাদের বলছেন তিনি আসলে প্রার্থী নন। আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে কি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রার্থী হওয়ার তেমন সুযোগ আছে? অতীতে খুব একটা এই রীতি দেখা যায়নি। যাই হোক মন্ত্রী এ বিষয়ে নিজের কোন সম্পৃক্ততা না থাকার কথা বলেছেন। ভাবখানা অনেকটা এমন যে, এ বিষয়ে উনি কিছু জানেন না। ও. কাদের সম্প্রতি বলেন, তিনি দলের জাতীয় সম্মেলনে কোন পদেই প্রার্থী নন। তিনি বলেন, আমাদের পার্টিতে কোন বিভেদ নেই। কে, কী পেল তা নিয়ে মান-অভিমান থাকতে পারে, এখানে নেত্রীর ওপর আস্থা রয়েছে শতভাগ। আমরা সবাই তার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল। কাদের বলেন, আমি আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ি, মাঝে মধ্যে লজ্জাও পাই। সেটা হচ্ছে সম্মেলনকে সামনে রেখে নানা আলাপ-আলোচনা আসে। পত্রিকায় ছবি বের হয় ওমুকের প্রতিদ্বন্দ্বী। আমি আপনাদের স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমি আওয়ামী লীগের কোন পদে প্রার্থী নই।
×