ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন ও এজেন্ট অব চেঞ্জ এ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:১৮, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬

প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন ও এজেন্ট অব চেঞ্জ এ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নে তার অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ ও ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ এ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করেছেন। জাতিসংঘ সদর দফতরে বুধবার সন্ধ্যায় জাতিসংঘ প্লাজায় তাকে দেয়া এক উচ্চপর্যায়ের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফোরাম ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ এ্যাওর্য়াড’ তার কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ‘প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ হিসেবে জাতিসংঘ উইমেন স্বীকৃতি পেলেন। খবর বাসসর। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি মাল্টার প্রেসিডেন্ট মারিয়ে লুইস কোলিরো প্রেসা ও জাতিসংঘের ফার্স্ট লেডি বান সুক তায়েককেও এই ‘প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ ও ‘এজেন্ট অব এ্যাওয়ার্ড’ দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ উইমেন ডেপুটি ডিরেক্টর লক্ষèী পুরি শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এবং এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তদের উদ্দেশে সম্মাননাপত্র পাঠ করেন। জাতিসংঘ উইমেন এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফুমঝিলে লাম্বো জিচুকা এবং গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফোরাম প্রেসিডেন্ট ও সিইও আমির ডোসাল সমাপনী বক্তব্য রাখেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে এ সম্মাননা প্রদানের জন্য জাতিসংঘ উইমেন এবং গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফোরামকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এ স্বীকৃতি প্রদানে তিনি গর্ববোধ করছেন। তিনি বাংলাদেশের নারীদের জন্য এ সম্মাননাকে সত্যিকারের পরিবর্তনের স্বীকৃতি হিসেবে উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি আমাদের পুরুষের সমান অংশীদারিত্বে আমাদের নারীর কাজের স্বীকৃতি। শেখ হাসিনা তার এ ভিশন উত্থাপন করার জন্য তার পিতা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে পরিবর্তনের জন্য তার ভিশনে আস্থা রাখায় তিনি এ এ্যাওয়ার্ড বাংলাদেশের জনগণের উদ্দেশে উৎসর্গ করেন। তিনি বলেন, আমি মনে করি, আমাদের প্লানেটের টেকসই ভবিষ্যত শেয়ার করা আমাদের নারী ও পুরুষের দায়িত্ব। তিনি বলেন, আমরা আমাদের ইতিহাসের এমন একটি সময়ে এখানে এসেছি, যখন লিঙ্গসমতা প্রত্যাশা নয়, তবে এর প্রকৃত সম্ভাবনা সর্বত্র রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন খুব সহজ বিষয় নয় এবং কখনই এটি স্বাভাবিকভাবে হবে না। তবে আমরা সাহস ও দৃঢ়তার সঙ্গে এগিয়ে যাব। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে (এসডিজিএস) ক্রস কাটিং জেন্ডার এজেন্ডা উন্নয়ন প্রচেষ্টায় আমাদের প্রেরণা যোগাবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এমন একটি বিশ্বের স্বপ্ন দেখি, যেখানে সকলেই নারীকে সম্মান জানাবে। যেখানে নারীর বিরুদ্ধে কোন প্রকার সহিংসতা ও বৈষম্য থাকবে না। তিনি মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল (এমডিজি) অর্জনে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখায় দেশের সকল নারী-পুরুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। শেখ হাসিনা লিঙ্গসমতা বজায় রাখার মাধ্যমে এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যেÑ স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ডাঃ দীপু মনি ও যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম জিয়াউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
×