ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বস্ত্র খাতের ৫ কোম্পানি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে

প্রকাশিত: ০৪:০২, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬

বস্ত্র খাতের ৫ কোম্পানি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজার তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের পাঁচ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। তাদের অনেকেই আইপিওতে শেয়ার পেয়েও লোকসানে রয়েছেন। এসব শেয়ার লেনদেন চিত্রে প্রতিদিনই দেখা যাচ্ছে ক্রেতার অভাব। বিনিয়োগকারীদের অনীহার তালিকায় থাকা এ কোম্পানিগুলো হচ্ছেÑ সোনার গাঁ টেক্সটাইল, ম্যাকসন স্পিনিং, আরএন স্পিনিং, দুলামিয়া কটন ও মেট্রো স্পিনিং। প্রতিষ্ঠানগুলো বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। এইসব কোম্পানি যাদের বিনিয়োগ রয়েছে তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, শেয়ারের দর কমে যাওয়ার পাশাপাশি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নেমে যাওয়ায় পুঁজিবাজারে এর চাহিদা কমে গেছে। ফলে প্রতিদিনই এব শেয়ারে ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতার সংখ্যা বেশি দেখা যায়। ফলে তারা পাচ্ছেন না কাক্সিক্ষত মূল্য। অন্যদিকে ভবিষ্যতে দর বাড়বে এমন আশায়ও পুনঃবিনিয়োগ করতে পারছেন না কেউ। কারণ কোম্পানির পক্ষ থেকে নেই কোন সংবেদনশীল তথ্য। প্রাপ্ত তথ্য মতে, এই পাঁচ কোম্পানির মধ্যে বর্তমানে আর এন স্পিনিংয়ের প্রতি শেয়ার ১৯ থেকে ২০ টাকা দরে লেনদেন হচ্ছে। বৃহস্পতিবারে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার সর্বশেষ হাতবদল হয় ১৯ টাকা ২০ পয়সায়। রাইট শেয়ার ছাড়তে ব্যর্থ হওয়া এই প্রতিষ্ঠানটি ২০১১ সালের পর শেয়ারহোল্ডারদের কোন ধরনের লভ্যাংশ প্রদান করেনি। এরপর থেকে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের প্রতি অনাগ্রহ তৈরি হতে থাকে বিনিয়োগকারীদের। অন্য কোম্পানি সোনার গাঁ টেক্সটাইলের প্রতিশেয়ার দীর্ঘদিন থেকে ৭ থেকে ১০ টাকার মধ্যে কেনাবেচা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার এই শেযার সর্বশেষ হাত বদল হয় ৮ টাকা ১০ পয়সায়। এ প্রতিষ্ঠানটি গত চার বছর শেয়ার হোল্ডারদের লভ্যাংশ প্রদান করেনি। ২০১২ সালে ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়ে কোম্পানিটি ‘বি’ ক্যাটাগরিতে নেমে আসে। আর ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি চলে আসে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে। কারণ এ বছর থেকে প্রতিষ্ঠানটি লভ্যাংশ দেয়া বন্ধ করে দেয়। এদিকে বস্ত্র খাতের আরেক কোম্পানি ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ের শেয়ার নিয়ে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। ‘জেড’ ক্যাটাগরির এ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারও দীর্ঘদিন থেকে ৬ থেকে ৭ টাকার মধ্যে লেনদেন হচ্ছে। দিনটিতে কোম্পানিটির প্রতিশেয়ার ৭ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হয়। ২০১৪ সালের পর এ প্রতিষ্ঠানটি বিনিয়োগকারীদের কোন নগদ লভ্যাংশ প্রদান করেনি। এই প্রতিষ্ঠানটিও বরাবর বোনাস শেয়ার প্রদান করে আসছে। একইভাবে এক যুগের বেশি সময় ধরে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে থাকা দুলামিয়া কটনের প্রতিশেয়ার এখন বিক্রি হচ্ছে ৭ টাকা থেকে ৭ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে। সর্বশেষ কার্যদিবসে প্রতিশেয়ার বিক্রি হয় ৭ টাকা ২০ পয়সায়। ২০১৪ সালের পর কোম্পানিটি কোন ধরনের লভ্যাংশ প্রদান করেনি। এদিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরির তালিকায় যোগ হওয়া নতুন কোম্পানি মডার্ন ডায়িংয়ের প্রতিশেয়ার বৃহস্পতিবার ২০৬.১০ টাকায় লেনদেন হয়। জানতে চাইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এবি মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, কিছু কোম্পানির শেয়ারের দর অনেক নিচে রয়েছে। এর বেশিরভাগ কোম্পানি কর্র্তৃপক্ষ শেয়ারহোল্ডারদের কিছু দিতে পারছেন না। এর জন্য কোম্পানির আর্থিক অবস্থা দায়ী হতে পারে। প্রতিষ্ঠানগুলোকেই এই সঙ্কট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করতে হবে।
×