ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এক ইনজেকশনের গায়ে আরেকটির লেবেল লাগিয়ে বিক্রি!

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬

এক ইনজেকশনের গায়ে আরেকটির লেবেল লাগিয়ে বিক্রি!

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে এক ইনজেকশনের গায়ে আরেক ইনজেকশনের লেবেল লাগিয়ে বেশি দামে বিক্রি করে ধরা পড়েছেন এক ফার্মেসি ব্যবসায়ী। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তারের চোখে ধরা পড়ায় বড় রকমের স্বাস্থ্যের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে সাত বছরের এক শিশু। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, ওইদিন দুপুরে উপজেলার আটপাড়া গ্রামের মনির হোসেনের সাত বছরের ছেলে মেহেদী হাসানের পায়ে তারকাঁটা বিঁধলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার রাশেদুল হাসান প্রেসক্রিপশনে টিটাগাম ইনজেকশন লিখে দেন। এ সময় মনির হোসেন হাসপাতালের পার্শ¦বর্তী জয় ফার্মেসি থেকে ইনজেকশনটি কিনে আনেন। ফার্মেসিটির মালিক হাসপাতালের সিনিয়র নার্স রানু বেগমের স্বামী সিরাজুল ইসলামের। ডাক্তার ইনজেকশনটি পুশ করার আগে দেখতে পান ইনজেকশনের গায়ে টিটাগামের লেবেল লাগানো থাকলেও খোদাই করে লেখা রয়েছে এট্রোপিন ইনজেকশনের নাম। ডাঃ রাশেদ জানান, টিটাগাম ইনজেকশনের বাজার মূল্য প্রায় ৮০০ টাকা। এটি ধনুষ্টকরের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অপরদিকে এট্রোপিন ইনজেকশনের বাজারমূল্য ৭ টাকার মতো। এট্রোপিন সাধারণত বিষ খাওয়া রোগীদের হৃদস্পন্দন বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। এ ঘটনায় মেহেদী হাসানের বাবা মনির হোসেন হাসপাতাল বরাবর জয় ফার্মেসির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
×