ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নারী ফুটবলের জাগরণ

প্রকাশিত: ০৩:৪১, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬

নারী ফুটবলের জাগরণ

মনের জোর ও সাহস থাকলে কল্পনাও সত্যি হয় দেখাল কৃষ্ণা, সানজিদা ও মারিয়ারা। তারা একের পর এক ম্যাচ জিতে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে। ফলে এএফসি অনুর্ধ ১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের মূলপর্বে খেলা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। সুযোগ ও পরিবেশ পেলে মেয়েরাও যে ভাল কিছু করে দেখাতে পারে তাই প্রমাণ করল কৃষ্ণারা। এসব মেয়েদের ভালভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তুললে এরাই লাল সবুজের পতাকা বিশ্বের মাঝে তুলে ধরতে সক্ষম হবে। কিছুদিন আগেও মারিয়া আক্তার ও মাহফুজা খাতুন শিলা এসএ গেমসে দেশের হয়ে পদক ছিনিয়ে আনেন। রক্ষণশীল সমাজের বেড়াজাল ভেঙ্গে মেয়েদের খেলাধুলায় উপস্থিতি বর্তমানে চোখে পড়ার মতো। এখন ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও খেলাধুলাকে গুরুত্ব দিচ্ছে। খেলাধুলায় মেয়েদের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশের নারীর ক্ষমতায়নে যার ভূমিকা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত। নারী খেলোয়াড়দের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘মেয়েরা যা পারছে, ছেলেরা তা পারছে না। মেয়েরা ১০ গোল দেয়, ছেলেরা ৫ গোল খেয়ে আসে।’ আজ মেয়েরা যে খেলতে পারে, ছেলেদের তুলনায় মোটেই কম নয়, সেটাই প্রমাণ করল, এখন প্রশ্ন হলো মেয়েরা এবার থেকে খেলার সমান সুযোগ পাবে তো? পৃথিবীর অষ্টম জনবহুল রাষ্ট্র বাংলাদেশ আজ পর্যন্ত কোন বিশ্ব অলিম্পিকে কোন পদক পায়নি। এমনকি পদক পাওয়ার কাছাকাছিও যেতে পারেনি। সেই গ্লানিও কিছুটা কেটে গেছে গত (২০১৬) অলিম্পিকে। বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত রুশ জিমন্যাস্ট মার্গারিতা মামুনের সাফল্যের খবরে। তিনি স্বর্ণপদক জয় করেন এবং এই মুহূর্তে তিনি বিশ্বের সেরা জিমন্যাস্ট। তার ডাকনাম নাকি বাংলার বাঘ (বেঙ্গল টাইগার)। যর্থাথ নামই বটে! এর মধ্য দিয়ে তার ‘বাঙালী’ পরিচয়টিও যেন প্রকাশ পাচ্ছে। মার্গারিতা দেখিয়ে দিলেন ধমনীতে বাঙালীর রক্ত নিয়েও অলিম্পিকে সেরা হওয়া যায়। আজ কৃষ্ণাদের ফুটবল দেখে সর্বস্তরের জনগণ প্রশংসা করছেন। অনেকেই বলছেনÑ এই নারীদের খেলা দেখে মনে হচ্ছে তারা বহুদূর যাবে।
×