ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে সহ-শিক্ষা চালুর দাবি

প্রকাশিত: ০৯:০৩, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬

গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে সহ-শিক্ষা চালুর দাবি

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ রাজধানীর আজিমপুরে গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে সহ-শিক্ষা (কো-এডুকেশন) চালুর দাবি জানিয়েছেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। বুধবার এ দাবিতে ঢাবি উপাচার্যের কাছে তারা স্মারকলিপি দিয়েছেন। একই দাবিতে বেলা এগারোটা থেকে দুপুর পর্যন্ত কলেজের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে ভেতরে বিক্ষোভ করেন ছাত্রীরা। এর আগে তারা একাধিকবার ঢাবির অধীনে স্বতন্ত্র ইনস্টিটিউটের মর্যাদা দাবি করে আন্দোলন করেছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও তাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় তারা ইনস্টিটিউট হওয়ার পূর্বশর্ত হিসেবে নতুন দাবির কথা জানান। আন্দোলনরত একাধিক ছাত্রী জানিয়েছেন, কয়েক বছর ধরে গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজগুলোতে ঢাবি কর্তৃপক্ষ একটি আলাদা ইউনিটের অধীনে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা চালু করে। কিন্তু পরীক্ষার বাইরে এর কোন দায়-দায়িত্ব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নেয় না। প্রতিষ্ঠানের বেতন, হোস্টেল? ফিসহ সবকিছু ঢাবির তুলনায় অনেক বেশি। এসব সমস্যা সমাধানে তারা সব বিষয়ে সরাসরি ঢাবির হস্তক্ষেপ কামনা করে কলেজটিকে ইনস্টিটিউট করার দাবি জানান। ছাত্রীরা বলেন, তারা জানতে পেরেছেন, কলেজে সহ-শিক্ষা না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কলেজটিকে ইনস্টিটিউট করতে পারছে না। এমন তথ্যের ভিত্তিতে তারা এই কলেজে ছাত্রদেরও ভর্তি করার দাবি জানান। এ বিষয়ে ঢাবি ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ছাত্রীরা তাকে বলেছেন, সারাবিশ্বেই গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিষয়টি শুধু মেয়েদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। তাই তারা চায়, এখানে সহশিক্ষা চালু হোক। কিন্তু এবার তারা ইনস্টিটিউটের দাবির কথা তাকে বলেনি। শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষরসহ স্মারকলিপিটি সংযুক্ত করে কলেজের অধ্যক্ষ শামসুন্নাহার শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষাসচিব, ঢাবি ভিসি ও জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিনের কাছে পাঠিয়েছেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, অত্র কলেজে ১৯৬১ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত মহিলাদের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে। বর্তমানে কলেজের ছাত্রীরা কো এডুকেশন চালুর ব্যাপারে একটি আবেদনপত্র দাখিল করেছে। গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের অধ্যক্ষ শামসুন্নাহার বলেন, ছাত্রীরা তার কাছে স্মারকলিপি নিয়ে এসে তাতে সই করার জন্য চাপ দেয়ায় তিনি সই করেছেন। তবে এ বিষয়ে তার কোন সায় নেই। এতে কলেজটির ঐতিহ্য নষ্ট হতে পারে।
×