ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

লিচেস্টারকে হারিয়ে ইংলিশ লীগ কাপের শেষ ষোলোতে চেলসি

প্রকাশিত: ০৭:১৪, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬

লিচেস্টারকে হারিয়ে ইংলিশ লীগ কাপের শেষ ষোলোতে চেলসি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দুই গোলে এগিয়ে যেয়েও ইংলিশ লীগ কাপের তৃতীয় পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে লিচেস্টার সিটি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের চ্যাম্পিয়নদের অতিরিক্ত সময়ে ৪-২ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্টের চতুর্থ পর্ব অর্থাৎ শেষ ষোলোতে পৌঁছে গেছে চেলসি। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ২-২ গোলে অমীমাংসিত থাকে। মঙ্গলবার রাতে নিজেদের মাঠ কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে চেলসির মুখোমুখি হয় লিচেস্টার। প্রথম ৩৪ মিনিটের মধ্যেই দুই গোলে এগিয়ে যায় ক্লাউডিও রানিয়েরির দল। তখন হয়ত অনেকেই মনে করেছিলেন, সহজেই পরের পর্বে যাচ্ছে লিচেস্টার। কিন্তু প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে এক গোল ফিরিয়ে দেয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ম্যাচে সমতা ফেরায় চেলসি। শেষ পর্যন্ত ২-২ সমতাবস্থায় শেষ হয় নির্ধারিত সময়ের খেলা। এরপর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলা হয়। সেখানে ৯২ ও ৯৪ মিনিটে দুটি দর্শনীয় গোল করে চেলসিকে স্মরণীয় জয় উপহার দেন স্প্যানিশ তারকা চেস ফেব্রিগাস। তৃতীয় পর্বের ম্যাচে সহজ জয় পেয়ে চতুর্থ পর্বে নাম লিখিয়েছে লিভারপুল ও আর্সেনালও। ডার্বির প্রাইড পার্ক স্টেডিয়ামে স্বাগতিক ডার্বি কাউন্টিকে ৩-০ গোলে হারায় আসরের সেরা সাফল্যের দল লিভারপুল। দ্য রেডসদের হয়ে গোলগুলো করেন রাগনার ক্লাভান, ফিলিপ কাউটিনহো ও ডিভক অরিজি। নটিংহামের সিটি গ্রাউন্ডে স্বাগতিক নটিংহাম ফরেস্টকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেয় আর্সেনাল। গানার্সদের হয়ে জোড়া গোল করেন লুকাস পেরেজ। একটি করে গোল করেন গ্রানিট জাকা ও অক্সলেড চেম্বারলেইন। অন্য ম্যাচে প্রেস্টন নর্থ অতিরিক্ত সময়ে ৩-২ গোলে বোর্নমাউথকে, রির্ডিং ২-১ গোলে ব্রাইটন এ্যান্ড হোভকে, নরউইচ সিটি ২-০ গোলে এভারটনকে, লিডস ইউনাইটেড ১-০ গোলে ব্লাকবার্ন রোভার্সকে ও নিউক্যাসল ইউনাইটেড ২-০ গোলে ওয়ান্ডারার্সকে হারিয়ে সেরা ষোলোর ছাড়পত্র পেয়েছে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে সময়টা ভাল যাচ্ছে না চেলসির। লিচেস্টার মাঠে লীগ কাপেও শুরুটা অশনিসংকেত দিয়েছিল। তবে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় খরা কাটিয়েছে এ্যান্টোনিও কন্টের দল। ইপিএলে গত সপ্তাহে সোয়ানসি সিটির সঙ্গে ড্র করার পর লিভারপুলের কাছে ২-১ হেরেছিল দ্য ব্লুজরা। কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে অবশ্য দাপুটে শুরু করেছিল স্বাগতিকরাই। ১৭ মিনিটে হেডে গোল করে লিচেস্টারকে এগিয়ে নেন জাপানী ফরোয়ার্ড শিনজি ওকাজাকি। ঠিক ১৭ মিনিট পর আবারও লিচেস্টারকে উচ্ছ্বাসে ভাসান জাপানী তারকা। এবার দুরূহ কোণ থেকে দুর্দান্ত গোল করেন তিনি। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর যেন হুঁশ ফেরে চেলসির। প্রাণান্ত প্রচেষ্টা চালাতে থাকে ম্যাচে ফিরতে। ফল আসে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে। (৪৫+২) মিনিটে ফেব্রিগাসের কর্নার থেকে হেডে ব্যবধান ২-১ করেন গ্যারি কাহিল। বিরতির পর ৪৯ মিনিটে অতিথিদের সমতায় ফেরান সেজার আসপিলিকুয়েটা। ২০ গজ দূর থেকে দুর্দান্ত ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার। সমতা ফেরার পর দু’দলই গোলের জন্য চেষ্টা চালাতে থাকে। ৭৫ মিনিটে সহজ দুটি সুযোগ হারায় লিচেস্টার। প্রথমে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লিওনার্ডো উলোয়া গোলরক্ষককে একা পেয়েও বাইরে শট মারেন। কিছুক্ষণ পর গোলমুখ থেকে মিডফিল্ডার এ্যান্ডি কিংয়ের হেড ক্রসবারের ওপর দিয়ে চলে যায়। ৮৪ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত চেলসি। কিন্তু দিয়াগো কোস্তার শট রুখে দেন স্বাগতিক গোলরক্ষক। ম্যাচের শেষদিকে বড় ধাক্কায় খায় লিচেস্টার। কোস্তাকে অহেতুক বিপজ্জনক ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন পোলিশ ডিফেন্ডার মার্সিন ভাসিলেভস্কি। ফলে লালকার্ড দেখে মাঠের বাইরে যেতে হয় তাকে। যে কারণে নির্ধারিত সময়ে সমতা থাকায় বাড়তি ৩০ মিনিটে একজন কম নিয়ে খেলতে হয় রানিয়েরির দলকে। এই সুযোগটাই দারুণভাবে কাজে লাগায় স্টামফোর্ড ব্রিজের দলটি। ৯২ ও ৯৪ মিনিটে দুটি গোল করে চেলসিকে দারুণ জয় উপহার দেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। এই ধাক্কা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি লিচেস্টার। ম্যাচ শেষে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন চেলসির জয়ের নায়ক ফেব্রিগাস। তিনি বলেন, আসলে ম্যাচে শুরু থেকে খেলতে পেরে আমি দারুণ খুশি। এরপর সংবাদমাধ্যমকে একহাত দিয়ে বলেন, আমি মনে করি, আমার পারফর্মেন্স কিছু সাংবাদিকের মুখ বন্ধ করে দেবে। যারা সব সময় আমার বিরুদ্ধে ফালতু কথাবার্তা লিখে থাকে।
×