ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভিভিআইপিদের নিরাপত্তায় এন্টি ড্রোন সিস্টেম সংযোজনের পরিকল্পনা

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ভিভিআইপিদের নিরাপত্তায় এন্টি ড্রোন সিস্টেম সংযোজনের পরিকল্পনা

সংসদ রিপোর্টার ॥ ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ‘এন্টি ড্রোন সিস্টেম’ সংযোজনের পরিকল্পনা করেছে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই। সংস্থাটি গোয়েন্দা সংগ্রহ ও নজরদারির কাজে ‘সার্ভেল্যান্স ড্রোন’ সংযোজনের পরিকল্পনাও করছে। বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ পরিকল্পনার কথা জানান হয়। কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য মোঃ ইলিয়াস আলী মোল্লাহ, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, হোসনে আরা বেগম এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কমিটির বৈঠকে উত্থাপিত ‘ডিজিএফআইয়ের আধুনিকায়নের লক্ষ্যে গৃহীত পদক্ষেপসমূহ এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। কর্নেল মোঃ সাজেদুর রহমান স্বাক্ষরিত ওই প্রতিবেদনে সংস্থাটির কার্যক্রম ‘যুগোপযোগী, গতিশীল, কার্যকর এবং আধুনিকায়নের’ জন্য নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘প্রতিকূল পরিবেশে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও সার্ভেল্যান্স কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সার্ভেল্যান্স ড্রোন এবং সকল ভিভিআইপি নিরাপত্তা নিশ্চিতের নিমিত্তে এন্টি ড্রোন সিস্টেম সংযোজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিজিএফআইয়ের সকল পদবীর বাসস্থান সমস্যা সমাধানে গত ২৩ আগস্ট একনেকে ১৫০ কোটি টাকার অফিসার মেস, বাসস্থান ও অন্যান্য পদবীর বাসস্থানের প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। ২০১৯ সালে এই প্রকল্প শেষ হবে। সেনা সদর ঢাকা সেনানিবাসের বিভিন্ন স্থানে ভবন নির্মাণের জন্য মোট দুই দশমিক নয় একর জমি ব্যবহারের অধিকার দিয়েছে। গত বছরের ১৮ অক্টোবর নতুন আটটি শাখা খোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ডিজিএফআই ‘বিগডাটা এনালাইটিং’য়ের জন্য মেইনফ্রেম কম্পিউটার স্থাপন এবং এর সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাটাবেজ, এমআরপি ডাটাবেজ ও মেশিন রিডেবল ভিসা ডাটাবেজ, ইমিগ্রেশন ডাটাবেজ, ক্রিমিনাল ডাটাবেজ ও ফরেইনার ডাটাবেজের সংযোগ নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া সিগন্যাল ইন্টেলিজেন্স ও সাইবার সিকিউরিটিতে সক্ষমতা অর্জনের জন্য চারটি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি সুবিদ আলী ভুঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবেদনটি কমিটির বৈঠকে উত্থাপনের পর আলোচনা হয়েছে। আগামীতে আরও আলোচনা হবে। এরপর প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়ন করা হবে। তবে কমিটি দ্রুত জনবল বাড়ানোর বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েছে। কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে দেশের অভ্যন্তরে ও আন্তঃসীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ নির্মূলে দেশের নিরাপত্তা সংস্থাসমূহকে আরও তৎপর হওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। বৈঠকে সাম্প্রতিককালে দেশে সংগঠিত সন্ত্রাসী হামলার মাস্টারমাইন্ডদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার তাগিদ দেয়া হয়েছে।
×