ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

দেশীয় কৌশলগত বিনিয়োগকারীর ব্যাপারে আগ্রহী সিএসই

প্রকাশিত: ০৪:৩২, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬

দেশীয় কৌশলগত বিনিয়োগকারীর ব্যাপারে আগ্রহী সিএসই

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশী প্রতিষ্ঠানকে কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে পেতে আগ্রহ দেখাচ্ছে অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ। বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলো খুব বেশি আগ্রহ না দেখানোর কারণেই সিএসইকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাইরের কোন প্রতিষ্ঠান নয়, দেশের টাকা দেশে রাখার লক্ষ্যে একচেঞ্জটি দেশীয় বিনিয়োগকারীই খুঁজছে। ইতোমধ্যে তিনটি প্রতিষ্ঠান সিএসইর কৌশল বিনিয়োগকারী হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি), লঙ্কা বাংলা এবং আইডিএলসি। এছাড়া ব্র্যাক ইপিএলসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে পেতে যোগাযোগ করছে সিএইসি। সূত্র জানায়, সিএসইর সঙ্গে আইসিবি, লঙ্কা বাংলা এবং আইডিএলসির সঙ্গে পৃথকভাবে কথা বলেছে। অচিরেই এ প্রতিষ্ঠানগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে সিএসইতে তাদের প্রস্তাব উপস্থাপন করবে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো ছাড়া ব্র্যাক ইপিএলের ও প্রস্তাব দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া সিঙ্গাপুরের একটি প্রতিষ্ঠান কৌশলগত বিনিয়োগকারী খুঁজে দিতে আগ্রহ প্রকাশ বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, আমি মনে করি দেশী প্রতিষ্ঠান আমাদের দেশের পুঁজিবাজার, অর্থনৈতিক গতিপ্রকৃতি এবং মুদ্রা বাজারের সার্বিক অবস্থা ভাল বুঝবে। সেই ক্ষেত্রে বিদেশী প্রতিষ্ঠানের চেয়ে দেশী প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে রয়েছে। তাছাড়া বাইরের কোন প্রতিষ্ঠান কৌশলগত বিনিয়োগকারী হলে তারা যে কোন সময় মুনাফা করে টাকা নিয়ে চলে যেতে পারে। সেই টাকা আমাদের অর্থনীতিতে কোন ভূমিকা রাখবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, যে প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ চলছে আশা করছি এসব প্রতিষ্ঠানকে আমরা কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে পাব। ২০১৩ সালে কার্যকর ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইনে তিন বছরের মধ্যে কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের কাছে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের সংরক্ষিত ২৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রির বাধ্যবাধকতা আছে। এ সময়সীমা শেষ হচ্ছে আগামী ডিসেম্বরে। এই লক্ষ্যে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর একটি চিঠিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে পরের এক বছরের মধ্যে কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির নির্দেশ দেয়। তবে এ বিষয়ে খুব বেশি অগ্রগতি হয়নি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কৌশলগত বিনিয়োগকারী খুঁজে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা ছিল। কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের যোগাযোগের কারণে এখন সেই শঙ্কা কিছুটা দূর হয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। নিয়মানুযায়ী কৌশলগত বিনিয়োগকারী হবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদিত দেশী বা বিদেশী কোন স্টক এক্সচেঞ্জ, কোন বিনিয়োগ ব্যবস্থাপক কোম্পানি, বিনিয়োগ ব্যাংক বা কোন স্বনামখ্যাত প্রতিষ্ঠান। স্টক এক্সচেঞ্জের ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কৌশলগত বিনিয়োগকারীর সঙ্গে শেয়ার বিক্রির চুক্তি না হলে কমিশন অবশ্য সময় বাড়াতে পারবে। জানা গেছে, কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের কাছে সিএসইকে অভিহিত মূল্যে ১৫৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকারও বেশি শেয়ার বিক্রি করতে হবে। আর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জটিকে অভিহিত মূল্যে প্রায় ৪৫১ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করতে হবে।
×