ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘মেকানিক রিজারেকশান’ ও ‘পেটস ড্রাগন’

প্রকাশিত: ০৩:৫৮, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬

স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘মেকানিক রিজারেকশান’ ও ‘পেটস ড্রাগন’

হলিউডের প্রায় সব চলচ্চিত্রই সাধারণ দর্শকদের কাছে সব সময় এক অপার রহস্য হয়ে ধরা দেয়। নতুনত্বকেই অবচেতন মনে সবাই স্বাভাবিক হিসেবে নেয়। হোক না তা রোমান্টিক চলচ্চিত্র কিংবা কল্পকাহিনীনির্ভর; সব জায়গাতেই সাধারণের চিন্তার বাঁধা অতিক্রম করার মাঝে চলচ্চিত্রকাররা খুঁজে পান অমৃতের স্বাদ। আর এখনকার সময়ে এ্যাকশন ঘরানার চলচ্চিত্রের জন্য তো হলিউড দুনিয়ার জুড়ি মেলা ভার। এ্যাকশন ছবিগুলোর দুর্দান্ত স্টান্ট পর্দায় অবলীলায় ফুটিয়ে তুলতে যে কয়েকজন অভিনেতার নাম প্রথমে আসে তার মাঝে জেসন স্টেটহ্যাম একজন। যার নাম শুনলেই আর দ্বিতীয় কাউকে ভাবার প্রয়োজন পড়ে না। রুপালি পর্দায় ধুমধাম মারামারি করে যেন এ্যাকশন ঘরানার চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রতিবিম্ব হয়ে উঠেছেন তিনি। ‘দ্য ট্রান্সপর্টার’, ‘দ্য এক্সপেন্ডেবল্স’, ‘রিভলবার’, ‘স্ম্যার্চ’-এর মতো মারধরে ভরপুর ছবির সুবাদে তার খ্যাতিও দুনিয়াজোড়া। গত ৯ সেপ্টেম্বর স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে হলিউড জনপ্রিয় তারকা জেসন স্টেটহ্যামের ছবি ‘মেকানিক : রিজারেকশান’। ডেনিস গানসেল পরিচালিত এ ছবিতে জেসন স্টেটহ্যামের সঙ্গী হয়েছেন নায়িকা জেসিকা আলবা। আরও রয়েছেন টমি লি জোন্স, নাটালি বার্ন, মাইকেল ইয়োহ, স্যাম হ্যাজেলডাইন প্রমুখ। মেকানিক সিরিজের তৃতীয় ছবি ‘মেকানিক : রিজারেকশান’। প্রথম ছবি ‘দ্য মেকানিক’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭২ সালে। ২০১১ সালে ছবিটি রিমেক করা হয়। পাঁচ বছর পর নতুন সিক্যুয়েল দর্শকদের সামনে আসছে জেসন স্টেটহ্যামের হাত ধরে। ছবির গল্পের পটভূমিতে দেখা যায় স্টিভ ম্যাকহানার [বেন ফস্টার] এর মৃত্যুর পর অর্যার বিশপ [স্টেটহ্যাম] কৌশলে মৃত্যুর দায় থেকে বেঁচে যান। কিন্তু বিশপের সবচেয়ে বড় শত্রু যখন তার প্রেমিকাকে হরণ করে তখন বিশপ পৃথিবীব্যাপী তাদের হত্যার জন্য হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকে। শেষ পর্যন্ত সে তার মিশনে সফল হয় কি-না, তা নিয়ে ছবির গল্প সামনের দিকে এগিয়ে যায়। ছবিতে প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করেছেন ৩৫ বছর বয়সী অভিনেত্রী জেসিকা আলবা। ‘হানি’, ‘সিন সিটি’, ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’ ছবিগুলো দিয়ে এরই মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। তাছাড়া একই দিনে স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে এ্যাডভেঞ্চার চলচ্চিত্র ‘পেটস ড্রাগন’। যেখানে দেখা যাবে ড্রাগনের সঙ্গে মানুষের বন্ধুত্বের রোমাঞ্চকর দৃশ্য। ওয়াল্ট ডিজনি পিকচার্সের এ ছবির চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন ডেভিড লোয়েরি। এতে অভিনয় করেছেন ব্রাইস ডালাস হাওয়ার্ড, রবার্ট রেডফোর্ড, ওয়েস বেন্টলি, কার্ল আরবান, ওনা লরেন্স, ওকস ফেগলি প্রমুখ। মানুষ ও ড্রাগনের বন্ধুত্ব আর রোমাঞ্চকর অভিযানকে ঘিরে নির্মিত হয়েছে ছবিটির কাহিনী। এক দুর্ঘটনায় বাবা-মায়ের তাৎক্ষণিক মৃত্যু হলেও বেঁচে যায় পাঁচ বছর বয়সী পেট। বনের ভেতর এক ড্রাগনের মুখোমুখি হয় সে, যার চোখ হলুদ আর অনেকগুলো পাখা। ড্রাগনটিকে এলিয়ট বলে ডাকে পেট। কারণ তার বইয়ে এমন একটি চরিত্র সম্পর্কে সে পড়েছে। এক পর্যায়ে তাদের দু’জনের খুব ভাল বন্ধুত্ব হয়ে যায়। যার ফলশ্রুতিতে টানা ছয় বছর একসঙ্গে বনে বসবাস করে তারা। একদিন করাতিদের একটা দল আসে বনে। নাটালি নামের একটি মেয়ে পেটকে অনুসরণ করে। গাছে উঠে তাকে অনুসরণ করতে গিয়ে আহত হয় মেয়েটি। তার বাবা, মা এবং পার্ক রেঞ্জার তাকে দেখতে আসে। যখন তারা পেটেকে খুঁজে পায় সে তখন দৌড়ে পালাতে চায়। কিন্তু জ্যাকের ভাই গেভিনের হাতে ধরা পড়ে। পেটকে শহরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে গ্রেইস, জ্যাক ও নাটালি। এলিয়ট যখন বুঝতে পারে পেট নেই, তখন উতলা হয়ে খুঁজতে থাকে। কিন্তু গেভিনের নজরে পড়ে যায় সে। করাতি দল নিয়ে বনের ভেতর তাড়া করে তাকে। ইতোমধ্যে পেটকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বনে ফিরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে পালায় সে। পুলিশ এবং গ্রেইস তাকে পাকড়াও করে এবং ধরে ফেলে। পরের দিন বনে নিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করে পেটকে তাদের সঙ্গে থাকার আমন্ত্রণ জানায় গ্রেইস, নাটালি ও জ্যাক। পেট যখন তার বন্ধু এলিয়ট সম্পর্কে বলে তখন গ্রেইস বুঝতে পারে তার বাবা তাকে এমন এক ড্রাগনের গল্প বলেছিল। গেভিন এবং তার অনুসারীরা যখন এলিয়টকে খুঁজতে যায় সে তাদেরকে প্রতিহত করে এবং তাদের অনুসরণ করে পেটের সন্ধানে শহরে যায়। সেখানে গিয়ে যখন দেখে পেট খুব সুখেই আছে, তখন দুঃখ ভারাক্রান্ত হয়ে নিজের ঘরে ফিরে যায় সে।
×