ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দেশীয় ফুটবল ইতিহাসের কালো অধ্যায়

আজ সেই ‘ব্ল্যাক’ সেপ্টেম্বর

প্রকাশিত: ০৬:৫০, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

আজ সেই ‘ব্ল্যাক’ সেপ্টেম্বর

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে ‘ব্ল্যাক’ সেপ্টেম্বর আছে দুটি। একটি জার্মানিতে, অন্যটি বাংলাদেশে। হিটলার আমলে ইহুদি নিধনযজ্ঞ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো অলিম্পিক আয়োজনের সুযোগ পায় তৎকালীন পশ্চিম জার্মানি। সেই অলিম্পিকেই ইসরায়েলি এ্যাথলেটদের ওপর হামলা করে ফিলিস্তিনী গেরিলা গ্রুপের একটি দল। তারা ১৯৭২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মিউনিকে গেমস ভিলেজে এই হামলা চালায়। ১১ এ্যাথলেটদের তারা পণবন্দী করে। তাদের মধ্যে দুজন ঘটনার সময়েই নিহত হন। পরে জার্মানির কমান্ডোরা পাল্টা হামলা চালিয়ে গেরিলাদের মেরে ফেলে। এই ঘটনার দশ বছর পর। ঘটনার স্থান বাংলাদেশ। ১৯৮২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর। এই দিনে কারাবরণ করতে হয়েছিল সাবেক ৪ তারকা ফুটবলার কাজী মোঃ সালাউদ্দিন, আশরাফউদ্দিন আহমেদ চুন্নু, গোলাম রব্বানী হেলাল ও কাজী আনোয়ারকে। আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনায় তৎকালীন সামরিক শাসকের নির্দেশে হাতকড়া পরিয়ে গ্রেফতার করা হয় এই ফুটবলারদের। এর পরের ঘটনা দ্রুত বাঁক নিতে থাকে। সমর্থকদের চাপে রাতের অন্ধকারে ট্রেনে করে সালাউদ্দিন ও চুন্নুকে নিয়ে যাওয়া হয় যশোর কারাগারে। আর আনোয়ার ও হেলালের ঠিকানা হয় রাজশাহী। সতীর্থরা যখন এই ৪ জনকে মুক্ত করতে তৎপর, তখন নিশ্চুপ ছিল তৎকালীন ফুটবল ফেডারেশন। তবে বেশি দিন আটকে রাখা যায়নি ফুটবল তারকাদের। ৮ অক্টোবর বন্দী দশা থেকে মুক্তি মেলে তাদের। যদিও আনোয়ারের এক বছর ও এক হাজার টাকা, হেলালকে ছয় মাস ও এক হাজার টাকা এবং সালাউদ্দিন ও চুন্নুকে একমাসের জেল-জরিমানা দেয়া হয়েছিল।
×