ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চমেকের হীরকজয়ন্তী

জমকালো আয়োজনে নবীন-প্রবীণ মিলনমেলা

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

জমকালো আয়োজনে নবীন-প্রবীণ মিলনমেলা

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে ২০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার উদযাপিত হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের (চমেক) ৬০তম বর্ষপূর্তির উৎসব। ১৯৫৭ সালের এ দিনে যাত্রা শুরু করেছিল চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ। উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৎকালীন প্রাদেশিক মন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান। দীর্ঘ এ পথ পরিক্রমায় চিকিৎসা সেবায় বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে অসামান্য ভূমিকা রেখে চলেছে এই বিদ্যাপীঠ। বর্ষপূর্তির এ উৎসব পরিণত হয় প্রবীণ ও নবীনদের মিলনমেলায়। পুরো ক্যাম্পাস এলাকায় সৃষ্টি হয় উৎসব আমেজ। সোমবার রাত ১২টা ১ মিনিটে ৬০টি আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানোর মধ্য দিয়ে উৎসবের সূচনা হয়। পরদিন সকালে বের হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। চমেক থেকে বের হওয়া এ শোভাযাত্রাটি মেডিক্যালের পূর্ব গেট ও প্রবর্তক মোড় হয়ে পুনরায় চমেক মাঠে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় ছিল রঙ-বেরঙের ফেস্টুন, প্লেকার্ড ও ঢোল-বাদ্য। এরপর মূল মঞ্চে উৎসব কেক কাটেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। তিনি বেলুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, বিএমএ সভাপতি ডাঃ মজিবুল হক খান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরীফ, চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ জালাল উদ্দিন ও সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন সেক্টরের কর্মকর্তারা। তবে প্রবীণদের অংশগ্রহণে উৎসব প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। চলে স্মৃতিচারণ, আড্ডা ও সাংস্কতিক অনুষ্ঠান। চমেকের বর্ষপূর্তি উৎসবের শোভাযাত্রায় অংশ নেন হাজার হাজার চিকিৎসক, যাঁরা এ কলেজ থেকে পাস করে দেশের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত। বিশেষ এই দিনে পুরনোদের সঙ্গে মিলিত হতে অনেকেই ছুটে এসেছেন দূর-দূরান্ত থেকে। এ যেন অন্যরকমের একটি দিন। মঙ্গলবার দুপুরে আয়োজিত হয় ‘শেকড়ের টানে প্রিয় প্রাঙ্গণে’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। অনুষ্ঠানে সম্মাননা প্রদান করা হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ শাহ আলম বীর উত্তম (মরণোত্তর), খ্যাতিমান চিকিৎসক লুৎফুল আনোয়ার কাদেরি (এলএ কাদেরি), বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভিসি অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত, সাবেক মন্ত্রী ডাঃ আফসারুল আমীন, ডাঃ মোজাম্মেল হক, ডাঃ বদিউজ্জামান ভুঁইয়া এবং অধ্যাপক মোঃ আবুল ফয়েজকে।
×