ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

লিটন ব্রিজ এলাকায় পাখির ডাকে ঘুম ভাঙ্গে

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

লিটন ব্রিজ এলাকায় পাখির ডাকে ঘুম ভাঙ্গে

বিশ্বজিৎ মনি, নওগাঁ ॥ পাখির কিচিরমিচির ডাকে মুখরিত থাকে শহরের লিটন ব্রিজের পশ্চিম মুখে স্বাধীনতা ভাস্কর্য এলাকা। প্রতিদিন বিকেল থেকে পরদিন ভোর পর্যন্ত মুখরিত থাকে পাখির এ কিচিরমিচির শব্দ। পাখির কোলাহলে ভোরে ঘুম ভাঙ্গে এলাকার মানুষের। এসব পাখি কোথা থেকে এসেছে তা জানে না কেউ। লিটন ব্রিজের পাশে স্বাধীনতা ভাস্কর্য। এ ভাস্কর্যের পাশে একটি কাঁঠাল গাছ, সাতটি আম গাছ এবং রাস্তার বিপরীতে বটতলায় মাঝারি পাইকর গাছসহ ছোট-বড় ৯টি গাছ রয়েছে। গত দুই মাস থেকে এসব গাছে আশ্রয় নিয়েছে চড়ুই পাখি। এখন এ স্থানটি ‘পাখির অভয়াশ্রম’ নামে পরিচিত। বর্তমানে এটি পাখিদের নিরাপদ অভয়ারণ্য হিসেবে গড়ে উঠেছে। প্রতিদিন বিকেল ও ভোরে গাছে গাছে পাখির কিচিরমিচির শব্দ জানিয়ে দেয় তাদের সরব উপস্থিতি। এদের সংখ্যা দুই থেকে আড়াই হাজারের মতো হবে। চারপাশের গাছ দখলে নিয়েছে তারা। পাখিদের কিচিরমিচির শব্দ শোনার জন্য, তাদের রাতে গাছের ডালে ডালে ঘুমিয়ে থাকার দৃশ্য দেখার জন্য মানুষের কৌতূহল কম নয়। শুধু গাছের ডালেই নয়, গাছের নিচ দিয়ে বৈদ্যুতিক ও ডিশের লাইনের তারেও তাদের আশ্রয়। প্রতি বছরের এ সময় চড়ুই পাখি ঝাঁকবেঁঁধে এ অভয়াশ্রমে আশ্রয় নেয়। মাসচারেক থাকার পর আবার উধাও হয়ে যায়। বিকেল থেকে পরদিন ভোর পর্যন্ত থাকার পর তারা খাবারের জন্য বেরিয়ে পড়ে। আবার ফিরে আসে বিকেলে। যখন ফিরে আসে তখন তাদের কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত হয়ে উঠে চারদিক। বাউফল পৌর শহরের খেলার মাঠটি দখল হয়ে যাচ্ছে নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ২০ সেপ্টেম্বর ॥ বাউফল পৌর শহরের একমাত্র খেলার মাঠটি (পাবলিক মাঠ) বেদখল হয়ে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক কারণে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। মাঠটি দখল করে কাঠ, নির্মাণসামগ্রীসহ বৈদ্যুতের খাম্বা রাখা হয়েছে। মাঠটির পশ্চিম পাশে একটি পরিত্যক্ত টিনশেড ঘরে গরুর খামার গড়ে তোলা হয়েছে। জানা গেছে, পৌর কর্তৃপক্ষ প্রায় তিন বছর আগে মাঠটির পশ্চিম পাশে প্রায় দেড় শ’ ফুট লম্বা একটি টিনশেড ঘর নির্মাণ করে। কাঁচাবাজারের জন্য অস্থায়ীভাবে এ ঘরটি নির্মাণ করা হয়। এরপর সেখান থেকে ওই কাঁচাবাজার পূর্বের জায়গায় স্থানান্তরিত হলেও ওই ঘরটি আর সেখান থেকে সরিয়ে নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এখন সেখানে গরু-ছাগলের খামার গড়ে তুলেছেন স্থানীয় এক ব্যবসায়ী। ওই টিনশেড ঘরটির পাশে একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। গরু-ছাগলের মলমূত্রের দুর্গন্ধে পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন ক্রীড়াবিদ জানান, এ টিনশেড ঘরটির জন্য একদিকে যেমন মাঠে খেলার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, অপরদিকে সৌন্দর্যহানি ঘটছে বাউফলের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটির। অপরদিকে মাঠটির দক্ষিণ পাশে বিশাল স্থানজুড়ে রাখা হয়েছে পল্লী বিদুতের খুঁটি। মাঠটির পূর্ব পাশের একটি বিশাল অংশ রয়েছে স্থানীয় কাঠ ও নির্মাণসামগ্রী ব্যবসায়ীদের দখলে। শুধু দখলই নয়, পাবলিক মাঠের মধ্যে রয়েছে একাধিক আবাসিক ভবনের স্যুয়ারেজের পানি নিষ্কাশনের নালা। সব মিলিয়ে দখল আর দূষণের কারণে বেদখল হয়ে যাচ্ছে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত একমাত্র খেলার মাঠটি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার অবহিত করা হলেও রহস্যজনক কারণে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
×