ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রের দ্বিতীয় ধাপের কাজ শুরু

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রের দ্বিতীয় ধাপের কাজ শুরু

মেজবাহউদ্দিন মাননু, কলাপাড়া, ২০ সেপ্টেম্বর ॥ কলাপাড়ায় ১৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রের ভূমি উন্নয়নের কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে দ্বিতীয় ধাপের কাজ। দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে এসব কর্মকা-। প্রকল্প এলাকায় বেড়িবাঁধ ও বালুভরাট, হেলিপ্যাড, ওয়াচ টাওয়ার ও ভিভিআইপি গেস্টহাউস নির্মাণসহ প্রথম ধাপের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের কাজকে ঘিরে ধানখালী ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়ায় প্রকল্প এলাকায় চলছে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ। বর্তমানে প্রায় দেড় শতাধিক চায়নার শ্রমিক টেস্ট পাইলিং ও মাটি প্রটেকশনের কাজ করছেন। বিদেশী শ্রমিকসহ সার্বিক নিরাপত্তার জন্য বসানো হয়েছে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প। পায়রা সমুদ্র বন্দরসহ বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে এ তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র দেশের ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। আগামী ২০১৯ সালের মধ্যেই প্রকল্পটি চালু করে জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুত সরবরাহ করার সম্ভাবনা রয়েছে। জানা গেছে, নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ এবং চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট এ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন (সিএমসি) যৌথভাবে পায়রা তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু করে। প্রায় এক হাজার দুই একর ভূমি অধিগ্রহণ ও ভূমি উন্নয়ন কর বাবদ ‘ল্যান্ড এ্যাকুইজেশন, ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এ্যান্ড প্রটেকশন ফর পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট থার্মাল পাওয়ার প্লান্ট’ শীর্ষক এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৮২ কোটি ৬২ লাখ টাকা। ২০১৯ সালের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করার কথা রয়েছে। প্রকল্প এলাকায় মধুপাড়া ও নিশানবাড়িয়া মৌজার মরিচবুনিয়া, দাসের হাওলা, মাছুয়াখালি, গরাৎ খাঁ, চর নিশানবাড়িয়া ও মধ্য দাসের হাওলা গ্রামের ১৩৫টি বাড়িঘর ছিল। যা ইতোমধ্যে শিফ্ট করা হয়েছে। এছাড়া ওইসব গ্রামগুলোর অন্তত ১২০০ পরিবারের প্রায় এক হাজার একর কৃষি জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, বালু ভরাট, চারপাশের বাঁধ নির্মাণ কাজ প্রায় ৭০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। বাউন্ডারি ওয়াল, মাটি প্রটেকশন, টেস্ট পাইলিং, রামনাবাধ নদী সংলগ্ন অস্থায়ী জেটি ও ক্ষতিগ্রস্তদের আবাসনের কাজ চলছে। এজন্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে চায়না শ্রমিকরা বিরামহীনভাবে কাজ করছেন। তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রের এনইপিসি প্রকৌশলী মি. টম জানান, পরিকল্পনা অনুসারে শ্রমিকরা এখানে কাজ করছে। এখানকার পরিবেশ খুবই ভাল, এলাকার মানুষও সহযোগিতা করছে। আমাদের কাজে কোন সমস্যা হচ্ছে না। প্রকল্পের উপ-প্রকৌশলী মোঃ নাজমুল হক জানান, দ্রুত গতিতে কাজ চলছে। প্রতিদিন চায়না প্রতিনিধিদের সঙ্গে কাজের বিষয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড এর সহকারী প্রকৌশলী জর্জিস তালুদার জানান, প্রকল্প এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের আবাসনের কাজ চলছে। আগামী এক বছরের মধ্যে ১৩৫টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে। আশা করি ২০১৯ সালের মধ্যেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুত দেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
×