ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শরণার্থীদের পাশে দাঁড়াতে নির্যাতিত ইয়াজিদী নারীর আহ্বান

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

শরণার্থীদের পাশে দাঁড়াতে নির্যাতিত ইয়াজিদী নারীর আহ্বান

ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গীদের হাতে বন্দী ও ধর্ষিত এক ইয়াজিদী নারী সোমবার জাতিসংঘে বিশ্ব নেতাদের প্রতি যুদ্ধ বন্ধ ও লাখ লাখ শরণার্থীর জীবনযাত্রা উন্নয়নের আহ্বান জানিয়েছেন। যখন ওই নেতারা এই বৈশ্বিক সঙ্কট মোকাবেলায় এক স্বেচ্ছামূলক অবকাঠামো গঠনে সম্মত হয়েছেন তখন নাদিয়া মুরাদ বাসি তাহা নামে ওই নারী এই আহ্বান জানালেন। তাকে সম্প্রতি জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক সংস্থার শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। খবর এনডিটিভির। ৭১তম সাধারণ অধিবেশনের আগে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের শরণার্থী ও অভিবাসী বিষয়ক সম্মেলনে ২৩ বছর বয়সী নাদিয়া বিশ্ব নেতাদের বলেছেন, আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, আপনারা যুদ্ধ নাকি শান্তি চান। নাদিয়াকে ২০১৪ সালে ইরাকের একটি গ্রাম থেকে অপহরণ করে মসুলের একটি বন্দীশিবিরে কয়েক মাস আটকে রাখে আইএস। তিনি বলেন, ১২ সন্ত্রাসীর দ্বারা আমি যে ধর্ষণ-যন্ত্রণা সহ্য করেছি তা ১২টি বুলেটের মতো। বিশ্বে রেকর্ডসংখ্যক দুই কোটি ১৩ লাখ শরণার্থী রয়েছে। জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যবিশিষ্ট সাধারণ পরিষদে একটি রাজনৈতিক ঘোষণা গৃহীত হয়েছে। অভিবাসী ও শরণার্থীদের মানবাধিকার রক্ষা, তাদের আবাসন ও শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করা, শরণার্থীরা যেসব দেশে জড়ো হচ্ছেন, সেসব দেশকে সহযোগিতা করা এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে অভিবাসন ব্যবস্থাপনার সমন্বয় করার কথা বলা হয়েছে এই ঘোষণায়। তবে এই ঘোষণার আইনগত কোন বাধ্যবাধকতা নেই, এমনকি প্রতিবছর দেশগুলো ১০ শতাংশ হারে শরণার্থী গ্রহণে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের আহ্বানের উল্লেখও নেই। এই ঘোষণাকে মানবাধিকার সংস্থা ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলো অপর্যাপ্ত বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। এদিকে পাকিস্তানী শিক্ষা কর্মী ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী মালালা ইফসুফজাই এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমাদের বোকা বানাবেন না। এই ঘোষণায় নতুন ও বাস্তবধর্মী কোন অঙ্গীকার নেই। মালালা সিরীয় শরণার্থী শিশুদের শিক্ষার জন্য অর্থ সংগ্রহ করছেন।
×