ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে প্রয়োজন সুন্দরবনকেন্দ্রিক মহাপরিকল্পনা

প্রকাশিত: ০৬:২১, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে প্রয়োজন সুন্দরবনকেন্দ্রিক মহাপরিকল্পনা

২০১০ সালে প্রকাশিত জার্মান ওয়াচের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বৈশ্বিক জলবায়ু ঝুঁকিসূচক’ অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তনে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সবার ওপরে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ইতোমধ্যে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে ঝড়-জলোচ্ছ্বাস আর নদী ভাঙ্গনের প্রকোপ বেড়েই চলেছে- যার বিরূপ প্রভাব লাখ লাখ উপকূলবাসীর জীবন-জীবিকার ওপর পড়তে শুরু করেছে। উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর এক বিরাট অংশ জীবিকা নির্বাহের জন্য কৃষি ও মৎস্য খাতের ওপর নির্ভরশীল। সরকারী এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০০৭ সালের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সিডরে এ দুটো উৎপাদনশীল খাতেই সর্বাধিক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছিল- যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৩০ হাজার ১৯৭ মিলিয়ন টাকা– যা মোট ক্ষয়ক্ষতির প্রায় ২৬ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সিডরে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বহুগুণে বৃদ্ধি পেত যদি দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সুন্দরবন না থাকত। সুন্দরবন- বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ এবং ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ ও অন্যতম রামসার সাইট। এক গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে- সুন্দরবনের বয়স প্রায় সাত হাজার বছরের কাছাকাছি এবং প্রায় চার শ’ বছর পূর্বে এর বিস্তৃতি ছিল পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা এবং বাংলাদেশের বাকেরগঞ্জ জেলা পর্যন্ত। কালের বিবর্তনে সুন্দরবনের আয়তন কমতে কমতে আজ ৬ লাখ ৯৫ হাজার ৬১১ হেক্টরে এসে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন গবেষণা সূত্রমতে জানা যায়, বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত সুন্দরবন প্রায় ৩০০ প্রজাতির উদ্ভিদ, ৪২৫ প্রজাতির প্রাণী এবং ২৯১ প্রজাতির মাছের আবাসস্থল এবং প্রায় ৩.৫ মিলিয়নের অধিক জনগোষ্ঠী জীবন-জীবিকার জন্য সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল। ২০১৪ সালে প্রকাশিত আইইউসিএন- বাংলাদেশের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুন্দরবন আমাদের প্রায় ২২ ধরনের ইকোসিস্টেম সার্ভিস বা বাস্তু-পরিষেবা দিয়ে থাকে। কিন্তু টাকার অঙ্কে এ সেবার মূল্যমান কত হতে পারে সে সম্পর্কে কোন গবেষণা না থাকায় দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে সুন্দরবনের অবদান কখনই যথাযথভাবে মূল্যায়িত হয়নি। এ কারণে সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী সভায় সুন্দরবনের গুরুত্ব বার বার উপেক্ষিত হয়েছে। বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হয়েও সুন্দরবন প্রদত্ত সেবাগুলোর মূল্যমান নির্ধারণ না হওয়াতে বিভিন্ন সময়ে জাতীয় নীতি-নির্ধারকদের কাছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন প্রশ্নে সুন্দরবন অপেক্ষা অধিক গুরুত্ব পেয়েছে মংলা বন্দর, বিদ্যুতকেন্দ্র, শিল্প-কারখানা প্রভৃতি। তারা মনে করেন, এসব খাতে বিনিয়োগ করলে দ্রুত ফল পাওয়া যায়- যা দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে। বিভিন্ন সূত্রে প্রকাশ, সুন্দরবনের আশপাশে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শত শত একর জমি কেনার হিড়িক পড়ে গেছে। পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের অভিমত, এসব শিল্প-স্থাপনা প্রতিষ্ঠা পেলে সুন্দরবনের পরিবেশ-প্রতিবেশ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে, অথচ পরিবেশ অধিদফতর এক্ষেত্রে কোন অনাপত্তি না জানিয়ে বরং অবস্থানগত ছাড়পত্র দিয়েছে। আপত্তি জানালে তো আর নগদ-নারায়ণ পাওয়া যাবে না। বিষয়টি সকলেই কম-বেশি বোঝেন। অতএব, এ ব্যাপারে খোলাসা করে বলার কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। যাহোক, সুন্দরবনের আশপাশে গড়ে ওঠা বিভিন্ন স্থাপনা ও প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পের প্রসারের কারণে যে ম্যানগ্রোভ বনটির অস্তিত্ব বিপন্ন হতে চলেছে সে ব্যাপারে উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট নীতি-নির্ধারকরা তেমন কোন গুরুত্ব দিচ্ছেন না। কারণ, তাঁরা হয়ত জানেন না যে সুন্দরবনের ইকোসিস্টেমের মূল্য কত হতে পারে, অথবা সুন্দরবন ইকোসিস্টেম সার্ভিসের যে একটা বাজার মূল্যমান থাকতে পারে- সে সম্পর্কে তারা যথাযথভাবে অবগত নন। সুন্দরবন ইকোসিস্টেমের বাজার মূল্যমান জানা থাকলে হয়ত সংশ্লিষ্ট নীতি-নির্ধারকরা অনুধাবন করতে পারতেন যে লাভ-ক্ষতির বিচারে সুন্দরবনের পরিবেশ-প্রতিবেশকে হুমকির মুখে রেখে উন্নয়নের নামে সুন্দরবন সংলগ্ন অঞ্চলে ভারি শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠা করলে প্রকল্পগুলো স্থানীয় জনগণ তথা দেশের জন্য লাভজনক হবে কিনা। যদি সার্বিক বিচারে দেখা যায়, গৃহীত প্রকল্প বা প্রকল্পগুলো জনগণের জন্য লাভজনক হবে না বরং ভবিষ্যতে বিপদের কারণ হতে পারে, সে ক্ষেত্রে সরকারের হাতে উন্নয়নের বিকল্প পদ্ধতিগুলোকে বিবেচনায় নেয়ার পাশাপাশি প্রয়োগের সুযোগ থাকে। সরকারের হাতে যখন টাকা থাকে, তখন সরকার চায় দ্রুত বিনিয়োগের মাধ্যমে তা কাজে লাগাতে যাতে করে দ্রুত ফল পাওয়া যায়। এ লক্ষ্যে জনগণের কল্যাণে সরকার উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণ করবে- এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যে সব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সাময়িক লাভের বিপরীতে পরিবেশগত বিপর্যয়ের কারণে স্থায়ী ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে- সে সব প্রকল্পকে ‘না’ বলাই উচিত। অতএব, যে কোন বড় প্রকল্প গ্রহণ করার আগে সরকারের উচিত, আমাদের আর্থিক সক্ষমতা, প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং দায়িত্ববোধের মাত্রাকে বিবেচনায় নেয়া, অন্যথায় লাভের পরিবর্তে ক্ষতিটাকেই অবশেষে বরণ করে নিতে হবে- এমন উদাহরণ খোঁজার জন্য খুব বেশি পেছনে যেতে হবে না। এক যুগ ধরে বনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক। কোনভাবেই আবেগের বশবর্তী না হয়ে বরং চরম বাস্তবতার আলোকে বলতে চাই, প্রযুক্তিনির্ভর যে কোন শিল্প-কারখানার চেয়ে সুন্দরবনের উৎপাদন ক্ষমতা অনেক বেশি। যে প্রকল্পে বিনিয়োগ কম কিন্তু উৎপাদন বেশি এবং উৎপাদিত পণ্যের বাজার চাহিদা আছে সে প্রকল্প তত বেশি লাভজনক। সুন্দরবন তেমনি একটি প্রকল্প যেখানে আর্থিক বিনিয়োগ কম, কিন্তু এর উৎপাদন মাত্রা এবং সেবার পরিমাণ প্রযুক্তিনির্ভর যে কোন প্রকল্প অপেক্ষা অনেক বেশি। সুন্দরবন আমাদের যে সেবা দিচ্ছে তার অনেকগুলোই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমেও হয়ত অর্জন করা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে বায়ুর গুণগতমান রক্ষা, জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সুরক্ষা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জলপ্রবাহ ও মাটি ক্ষয় নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি। পাশাপাশি সুন্দরবন আমাদের খাদ্য, পানি, কাঁচামাল, ঔষধি সম্পদ প্রভৃতি সরবরাহ করছে। সর্বোপরি, সুন্দরবন আমাদের শিল্প-সংস্কৃতির জন্য একটি অনুপ্রেরণা- যার বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে দেশের পর্যটন খাতের বিকাশ ও উন্নয়নে। এ কারণে সুন্দরবনকে যদি প্রকৃতিনির্ভর একটি বিশাল কারখানা বলা হয়- যা দক্ষিণাঞ্চলীয় জনপদ তথা সমগ্র বাংলাদেশের মানুষকে বহুমুখী সেবা দিয়ে যাচ্ছে যুগের পর যুগ ধরে, তাহলে কিন্তু খুব বেশি বাড়িয়ে বলা হবে না। সুন্দরবনের বাস্তু-পরিষেবার মূল্যমান নির্ধারণে ইউএসএইড, উইনরক ইন্টারন্যাশনাল এবং জন রকফেলার ফাউন্ডেশনের যৌথ প্রয়াসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছে- যা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত। উক্ত গবেষণার প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যায়, সুন্দরবনের প্রতি হেক্টর ভূমির বার্ষিক পর্যটন মূল্যমান প্রায় ১ হাজার ৫০ মার্কিন ডলার। গবেষণালব্ধ প্রাথমিক ফলাফলে আরও দেখা যায় যে প্রাকৃতিক দুর্যোগে শুধু বসতবাড়ি ও গৃহ-সম্পদের সুরক্ষায় সুন্দরবনের প্রতি হেক্টর ভূমির বার্ষিক মূল্যমান প্রায় ২০ মার্কিন ডলার। শুধু তাই-ই নয়, সুন্দরবননির্ভর দরিদ্র জনগোষ্ঠী জীবিকা নির্বাহে যে সম্পদ সংগ্রহ করে, তার বার্ষিক মূল্যমান হেক্টর প্রতি দাঁড়ায় প্রায় ৫৩৫ মার্কিন ডলার। সুন্দরবন প্রদত্ত শুধু এ তিন ধরনের বাস্তু-পরিষেবার হেক্টর প্রতি সর্বমোট বার্ষিক মূল্যমান দাঁড়ায় প্রায় ১ হাজার ৬০৫ মার্কিন ডলার। যদি হেক্টর প্রতি অবশিষ্ট বাস্তু-পরিষেবাগুলোর বার্ষিক মূল্যমান নির্ধারণ করা যায়, তাহলে সমগ্র সুন্দরবন প্রদত্ত সেবার বার্ষিক মূল্যমান নিঃসন্দেহে কয়েক শ’ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আমার ধারণা। এ আলোকে বলা যায়, সুন্দরবনের আয়তন যত বাড়বে, বনের স্বাস্থ্য যত সমৃদ্ধ হবে, সুন্দরবন প্রদত্ত সেবার বার্ষিক মূল্যমানও ততই বাড়বে। অতএব, সুন্দরবনকে কিভাবে আরও সমৃদ্ধ করা যেতে পারে সে ব্যাপারে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নীতি-নির্ধারকদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। এ কথা অনস্বীকার্য যে বাংলাদেশের মতো একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশের জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থার দ্রুত উন্নয়নে প্রযুক্তিনির্ভর শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই, তবে তা সুন্দরবনের মতো প্রকৃতিনির্ভর চলমান এক কারখানার উৎপাদন ক্ষমতাকে বিঘিœত করে নয়। মনে রাখা প্রয়োজন, আজকে যা আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিল্প, সময়ের বিবর্তনে হয়ত একসময় তা উৎপাদনে কার্যকারিতা এবং উপযুক্ততা উভয়ই হারাবে এবং সে স্থান দখল করে নেবে নতুন কোন প্রযুক্তিনির্ভর শিল্প-কারখানা। কিন্তু সুন্দরবনের মতো প্রকৃতিনির্ভর শিল্প বা কারখানা শতাব্দীর পর শতাব্দী সচল থাকবে এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় জনগোষ্ঠীকে বহুমাত্রায় বাস্তু-পরিষেবা প্রদান করে যাবে- যদি তা যথাযথভাবে বিজ্ঞানভিত্তিক ও পরিবেশবান্ধব নীতিমালা প্রণয়নসাপেক্ষে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার মাধ্যমে সংরক্ষণ করা যায়। এ জন্য প্রয়োজন সুন্দরবনকে ঘিরে দক্ষিণাঞ্চলীয় জনপদের আর্থ-সামাজিক ও পরিবেশগত উন্নয়নের রোডম্যাপ প্রণয়ন করা। প্রতিবেশী দেশসমূহে প্রকৃতিনির্ভর অর্থনৈতিক উন্নয়নের অনেক মডেল ইতোমধ্যে সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। অতএব, দক্ষিণাঞ্চলীয় জনপদে উন্নয়নের রোডম্যাপে সুন্দরবনকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেয়ার পাশাপাশি এর পরিবেশ-প্রতিবেশকে যে কোন মূল্যে অক্ষুণœœ রেখে সরকার যদি উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করে, তাহলে এক্ষেত্রে উন্নয়নের ধারা যেমন টেকসই হবে, ঠিক তেমনি দেশের পরিবেশ সংরক্ষণে সরকারের আন্তরিকতা, দূরদর্শিতা ও বিচক্ষণতাই প্রকাশ পাবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। এতে করে ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে আমাদের খুব বেশি সময় লাগবে না- যা সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। সুন্দরবনভিত্তিক উন্নয়নের রোডম্যাপ প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহ ও অধীনস্থ বিভাগসমূহের অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি দেশের প্রথিতযশা বিজ্ঞানীদের সম্পৃক্ত করতে হবে- যাদের সুন্দরবনের পরিবেশ- প্রতিবেশ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, প্রকৃতিনির্ভর পর্যটন, পরিবেশ অর্থনীতি, বন সহ-ব্যবস্থাপনা, বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ও নীতিমালা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুনির্দিষ্ট গবেষণালব্ধ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা আছে। অন্যথায়, সুন্দরবনভিত্তিক উন্নয়নের রোডম্যাপ কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হবে- যা বলার অপেক্ষা রাখে না। লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি এ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
×