ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হেলিকপ্টারটির কক্সবাজার যাওয়ার অনুমতি ছিল না

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

হেলিকপ্টারটির কক্সবাজার যাওয়ার অনুমতি ছিল না

স্টাফ রিপোর্টার ॥ উখিয়ায় বিধ্বস্ত মেঘনা এ্যাভিয়েশনের ‘আর সিক্স সিক্স’ হেলিকপ্টারটির কক্সবাজার রুটে যাওয়ারই অনুমতি ছিল না। অনুমতি ছিল একটির, গেছে অন্যটি। সিভিল এ্যাভিয়েশনকে না জানিয়েই এমন জালিয়াতি করে মেঘনা এ্যাভিয়েশন। একই সঙ্গে ফিরতি ফ্লাইটে কক্সবাজার থেকে যাত্রী নিয়ে ফেরার বিষয়েও এ্যাভিয়েশনকে কিছু জানানো হয়নি। সিভিল এ্যাভিয়েশনের এক পরিচালক মঙ্গলবার জনকণ্ঠকে জানান, মেঘনা এ্যাভিয়েশনের দুটি হেলিকপ্টার রয়েছে। তবে যে হেলিকপ্টারটির কক্সবাজার যাওয়ার রুট পারমিট রয়েছে, গত ১৬ সেপ্টেম্বর সেটি কক্সবাজার না গিয়ে গিয়েছে অন্য হেলিকপ্টারটি। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো, এ কপ্টারটির কেবলমাত্র কক্সবাজার পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি থাকলেও তারা ইনানী বীচে গেছে, যেটা সিভিল এ্যাভিয়েশন আইনের চরম লঙ্ঘন। অপরদিকে, তারা ইনানী বীচে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে নামিয়ে দিয়ে কক্সবাজার থেকে অন্য যাত্রীও বহন করেছে, সেটাও সিভিল এ্যাভিয়েশনকে তারা জানায়নি। এদিকে, বিষয়টি তদন্তাধীন থাকায় এখনও এ নিয়ে মুখ খোলেনি সিভিল এ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, বিষয়টির তদন্ত চলছে, তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত তারা কিছু বলবে না। উল্লেখ্য, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে ইনানী বীচে নামিয়ে দিয়ে ফেরার পথে কক্সবাজারের উখিয়ার রেজু খালের মোহনায় আমেরিকান রবিনসন কোম্পানির আর সিক্স সিক্স টারবাইন মডেলের একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। দরজা খুলে সেলফি তুলতে ও ভিডিও করতে গিয়েই হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বলে পাইলটের বরাত দিয়ে জানিয়েছিলেন কক্সবাজারের উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের। দুর্ঘটনায় বিজ্ঞাপনী সংস্থা অগিলভি এ্যান্ড ম্যাথারের কর্মকর্তা শাহ আলম নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন হেলিকপ্টারের পাইলটসহ আরও চারজন। মেঘনা এ্যাভিয়েশনের হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের একটি ধানক্ষেতে ২০১৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি মেঘনা কোম্পানির পরিচালক তাহমিনা মোস্তফাসহ আহত হয়েছিলেন ছয়জন। ওই ঘটনার তদন্তে প্রকাশিত হয়- যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই সেদিন হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছিল। এদিকে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেঘনা এ্যাভিয়েশনের কর্মকর্তা (এ্যাকাউন্ট কাস্টমার সার্ভিস) মনজুর আলম বলেন, রুট পারমিটের বিষয়গুলো দেখে থাকেন ফ্লাইট অপারেশন অফিসার সাইফুল ইসলাম, আমি কিছু বলতে পারব না।
×