ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মানা হচ্ছে না গতিসীমার নির্দেশ;###;মহাসড়ক দখল নিয়েছে লোকাল সার্ভিস;###;২০ দিনে নিহত ৩ শতাধিক

রক্তাক্ত মহাসড়ক

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

রক্তাক্ত মহাসড়ক

রাজন ভট্টাচার্য ॥ রক্তাক্ত মহাসড়ক। কমছে না সড়ক দুর্ঘটনা। থামছে না মৃত্যুর মিছিল। চলতি মাসে ৩০০ মানুষের জীবন প্রদীপ নিভেছে দুর্ঘটনায়। যা অন্য সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেসকল হাইওয়েতে রোড ডিভাইডার নেই সেখানেই মুখোমুখি সংঘর্ষসহ দুর্ঘটনার মাত্রা বেড়েছে। সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় দুর্ঘটনার জন্য অবশ্য পাঁচটি কারণ চিহ্নিত করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, ওভারটেকিং, মাদকাসক্ত চালক, মহাসড়কে লোকাল গাড়ি চলা ও ব্যক্তিগত পরিবহনের ব্যবহার। বুয়েটের এক্সিডেন্ট রিচার্স ইনস্টিটিউট বলছে, অন্য সময়ের তুলনায় দুর্ঘটনা বেড়েছে সাত ভাগ। এবারের ঈদে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৭৬জন। দুর্ঘটনার সংখ্যা দেড় শতাধিক। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী জনকণ্ঠকে বলেন, ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১২ দিনে সারাদেশে ২০০টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ২৫০ জনের বেশি। আহত সহস্রাধিক। তিনি বলেন, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো ও অনভিজ্ঞ চালক দিয়ে ব্যক্তিগত পরিবহনের ব্যবহার বেশি হওয়ায় দুর্ঘটনার মাত্রা বেড়েছে। সব মিলিয়ে চলতি মাসের শুরু থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা তিন শতাধিক। প্রয়োজন গাড়ি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ॥ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক্সিডেন্ট রিচার্স ইনস্টিটিউট (এআরআই) পরিচালক অধ্যাপক ড. মোয়াজ্জেম হোসাইন জনকণ্ঠকে বলেন, ঈদের সময় পরিবহন চালক, মালিক থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। চালকের লক্ষ্য থাকে অতিরিক্ত ট্রিপ দেয়া। কিন্তু দেখা গেছে চালকের তাড়া থাকলেও যানজটের কারণে প্রচুর সময় নষ্ট হয়। আবার যখন রাস্তা ফাঁকা থাকে তখন গাড়ি বেপরোয়া গতিতে চালানো হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে ছাদেও যাত্রী পরিবহন করা হয়। দীর্ঘ সময় গাড়ি চালানোর কারণে চালক যে ক্লান্ত সেদিকে কারও কোন খেয়াল নেই। এসব কিছুই সড়ক দুর্ঘটনার কারণ বলে মনে করেন তিনি। দুর্ঘটনা রোধে পরামর্শ দিয়ে এই বিশেষজ্ঞ বলেন, যে কোন মূল্যে সড়কে বেপরোয়া যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে হবে। কোন অবস্থাতেই গাড়ি বেপরোয়া চালানো যাবে না। এজন্য প্রতিটি পরিবহনে গতি নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বসানোর পরামর্শ দেন তিনি। ঢাকা-মাওয়া-কুমিল্লা ও টাঙ্গাইল রুটে দুর্ঘটনা বেশি ॥ বাস ট্রাক ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি রমেশ চন্দ্র ঘোষ জনকণ্ঠকে বলেন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কগুলো এখন ভাল। কোন সমস্যা নেই। অথচ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছেই। এমন বাস্তবতায় বেপরোয়া গতিতে গাড়ি না চালানোর পরামর্শ দেন তিনি। বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে প্রতিটি গাড়িতে গড়ি নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। সেইসঙ্গে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চলাচল রোধ করতে সরকারী নজরদারি বাড়ানোরও পরামর্শ দেন তিনি। শ্যামলী পরিবহনের মালিক রমেশ বলেন, এ বছর দুর্ঘটনা বেড়েছে ঠিক। কিন্তু বড় বড় ও নামী দামী পরিবহনগুলোর ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার মাত্রা একেবারেই কম। দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক দুর্ঘটনার হার সবচেয়ে কম দাবি করে তিনি বলেন, কিছু সংখ্যক লোকাল পরিবহন মহাসড়কে চলে আসায় দুর্ঘটনার মাত্রা বেড়েছে। সোমবার মাওয়া এলাকায় স্থানীয় দুটি গাড়ির মধ্যে সংঘর্ষে দুর্ঘটনা ঘটে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো একের পর এক লোকাল বাসগুলো মহাসড়ক দিয়ে ঢাকা আসছে। আবার ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছে সিটি পরিবহনগুলো। অথচ এসব গাড়ি মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ। কিন্তু দেখার যেন কেউ নেই। কোন অবস্থাতেই লোকাল গাড়িগুলো হাইওয়েতে চলাচল নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হচ্ছে না। ঢাকা-কুমিল্লা-মাওয়া-টাঙ্গাইল এলাকায় লোকাল গাড়ি সবচেয়ে বেশি চলাচল করে। তাই এসব পয়েন্টে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যাও সবচেয়ে বেশি। অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালকের গাড়ি চালানো বন্ধের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। এককভাবে চালকরাই শুধু দায়ী নয়। এক্ষেত্রে দায় সবাইকেই নিতে হবে। এত আলোচনা সমালোচনা ও প্রাণ বিসর্জনের পরেই যাত্রী-মালিক থেকে শুরু করে চালকদের মধ্যে আশানরূপ সচেতনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না বলেও মনে করেন তিনি। জানতে চাইলে নৌ-সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে জনকণ্ঠকে বলেন, মূলত তিনটি কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে। তিনি বলেন, আমাদের পর্যবেক্ষণ হলো বেপরোয়া গাড়ি চালানো ও চালকদের সচেতনতার অভাব, সড়ক-মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশের গাফিলতিসহ যাত্রীদের সচেতনতার অভাব। সকলে সচেতন থাকলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকটাই রোধ করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। সিটি সার্ভিস, মাইক্রোবাস ও নিষিদ্ধ পরিবহনের দৌরাত্ম্য ॥ মহাসড়কে অবাধে চলছে রাজধানীতে চলা সিটি সার্ভিসগুলো। যদিও ঈদের আগে এসব পরিবহন মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এছাড়াও নসিমন, করিমন, মহেন্দ্রসহ মহাসড়কে নিষিদ্ধ পরিবহন চলছে অবাধে। গত কয়েক দিনের সড়ক দুর্ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অদক্ষ চালক, বেপরোয়া ড্রাইভিং, নিষিদ্ধ পরিবহন চলাচলসহ বেপরোয়া বাস চালানো দুর্ঘটনার মূল কারণ। শুক্রবার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে বরসহ একই পরিবারের ৮ জন নিহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ১০টার দিকে উপজেলার শশই নামক স্থানে সিলেটগামী এনা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৭৮৫১) এর সাথে মৌলভীবাজার থেকে আসা বরযাত্রীবাহী নোহা মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রোÑচ-১৩-৯২২৬) এর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসে থাকা বরযাত্রীসহ ৭জন মারা যায়। গুরুতর আহত অজ্ঞাত একজন জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে লোকাল সার্ভিস মহাসড়কে চলা বা বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে। নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি বলছে, ঈদ-উল-আযহার ছুটিতে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ১০৩ জন নিহত ও ৪২৪ জন আহত হয়েছেন। নিহতের তালিকায় ৯ জন নারী ও ১৩টি শিশু রয়েছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থেকে গতকাল ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আট দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সড়ক, মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর আট জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ২৩ জন। ১৭ সেপ্টেম্বর ১৭ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৩০জন। ১৮ সেপ্টেম্বও ১০ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ১৮জন। ১৯ সেপ্টেম্বর ৯ জেলায় দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ১৭জন। ২০ সেপ্টেম্বর বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে ৭জন। ১৪ সেপ্টেম্বর ১১ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিজতের সংখ্যা ১৯জন। ডিভাইডার না থাকায় মুখোমুখি সংঘর্ষ ॥ ঈদের আগে পরে সড়ক দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, যেসব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নেই সেখানেই সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা বেশি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মিজানুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, যেসব হাইওয়েতে রোড ডিভাইডার নেই সেখানেই সড়ক দুর্ঘটনা বেশি ঘটেছে। দুই গাড়ির মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। তিনি বলেন, মুখোমুখি সংঘর্ষের কারণে হতাহতের সংখ্যাও বেড়েছে। এ বছর ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ সড়ক ফোর লেন হওয়া ও রোড ডিভাইডারের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা কম হয়েছে। তাই দেশের সকল গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রশস্ত করা বা চার লেন নির্মাণ করতে হবে। এছাড়া রাস্তার পাশে অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা জরুরী বলেও মনে করেন তিনি। বাংলাদেশ ট্রাক কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি রুস্তম আলী জনকণ্ঠকে বলেন, ঈদের আগে ও পরে সবচেয়ে বেশি গাড়ি রাস্তায় চলে। তেমনি যাত্রীচাপও বাড়ে সমানতালে। পণ্যবাহী পরিবহনে যাত্রী নেয়ার দৃশ্য সহজেই চোখে পড়ে। অথচ রাস্তায় যেন এসব দেখার কেউ নেই। সড়ক দুর্ঘটনার জন্য বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোকে দায়ী করে তিনি বলেন, অনভিজ্ঞ ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যে কেউ ইচ্ছা করলেই এখন চালক হতে পারে। তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী সড়কে বড় বড় গাড়ি বাড়ানোর কথা থাকলেও ছোট গাড়ির উপদ্রব বাড়ছে বেশি। জেলা ও উপজেলা শহরে চলা ছোট বাস থেকে শুরু করে নসিমন, করিমন, অটোরিক্সাসহ সরকারীভাবে নিষিদ্ধ পরিবহনগুলো এখন মহাসড়ক দখল করে রেখেছে। এসব পরিবহনের চালকরা মোটেও দক্ষ নয়। তারা ইচ্ছেমতো গাড়ি চালায়। ফলে দুর্ঘটনা রোধ হচ্ছে না। তিনি বলেন, অভিজ্ঞ চালক তৈরির জন্য সরকারকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি দক্ষ চালক গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই বলেও মনে করেন এই পরিবহন নেতা। দুর্ঘটনার জন্য পাঁচ কারণ চিহ্নিত করেছে মন্ত্রণালয় ॥ চলমান সড়ক দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিত করতে রবিবার জরুরী বৈঠকের আয়োজন করে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়। বিআরটিএ এলেনবাড়ি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী, বিআরটিএ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, যাত্রী অধিকার নিয়ে কাজ করছে এমন সংগঠনের প্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সকল সেক্টরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সড়ক দুর্ঘটনার জন্য প্রধান কারণ হিসেবে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর বিষয়টি উঠে আসে। এছাড়াও ওভারটেকিং, মহাসড়কে লোকাল বাসে যাত্রী পরিবহন করা, মাদকাসক্ত চালক ও মাইক্রোবাসে যাত্রী পরিবহন করা। জানতে চাইলে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) সচিব শওকত আলী জনকণ্ঠকে বলেন, দুর্ঘটনা বেশি হওয়ায় বৈঠকে সবাই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি দ্রুত তা রোধ করার পরামর্শও আসে বৈঠকে। তিনি বলেন, প্রথমে আমরা দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিত করেছি। সবার কথা একটাইÑ দুর্ঘটনার জন্য মূলত চালকরাই দায়ী। বেপরোয়া চালানোর কারণেই বেশিরভাগ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, সম্প্রতি সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে মহাসড়কে ৮০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে গাড়ি না চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এবারের ঈদে দেখা গেছে, এই নির্দেশনা কেউ মানেনি। বিশেষ করে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরার সময় বেপরোয়াগড়িতে গাড়ি চালানোর কারণে দুর্ঘটনার মাত্রা বাড়ছে। তিনি বলেন, সকলের সঙ্গে আলোচনা করে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে স্বল্প ও মধ্যমেয়াদী পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এসব পরিকল্পনাসমূহের মধ্যে রয়েছে, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো রোধ ও মাদকাসক্ত চালক নিয়োগ না দিতে মালিকদের কঠোরভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম বৃদ্ধি, সংবাদমাধ্যমে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান প্রচার, সতর্কবার্তা দেয়া। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরও কঠোর নজরদারি বাড়াতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, রাস্তা ভাল। তবুও সড়ক দুর্ঘটনা হচ্ছে। এটাই সবচেয়ে কষ্টের বিষয়। হাইওয়েতে যারা গাড়ি চালিয়ে অভ্যস্ত নয় তারা দিব্যি বাস, মাইক্রোসহ অন্যান্য পরিবহন নিয়ে নেমে যাচ্ছে। কিন্তু সড়ক সম্পর্কে এসব চালকের কোন ধারণা নেই। এরকম চালকদের নিয়ন্ত্রণ করার কোন বিকল্প নেই।
×