ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

গুলশান ও শোলাকিয়ার অর্থ আসে মধ্যপ্রাচ্য থেকে অস্ত্র তৈরি হয় ভারতে

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬

গুলশান ও শোলাকিয়ার অর্থ আসে মধ্যপ্রাচ্য থেকে অস্ত্র তৈরি হয় ভারতে

শংকর কুমার দে ॥ জঙ্গী সংগঠন নব্য জেএমবির জন্য মধ্যপ্রাচ্য থেকে ভারত হয়ে হুন্ডির মাধ্যমে গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গী হামলার জন্য একসঙ্গে ১৪ লাখ টাকাসহ জঙ্গী অর্থায়ন ও অস্ত্রের যোগান দেয়া হয় বলে তদন্তকারী সংস্থা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের দাবি। পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে কল্যাণপুরের জঙ্গীবিরোধী অভিযানের দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় বাড়িয়ে আগামী ৩১ অক্টোবর পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছে আদালত। গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গী সরবরাহকারী দেশের উত্তরাঞ্চলের জঙ্গী প্রশিক্ষক শীর্ষস্থানীয় দুর্ধর্ষ জঙ্গী রাজীব গান্ধীকে খুঁজছে গোয়েন্দারা। জঙ্গী হামলায় মোস্টওয়ান্টেড দুই জঙ্গী সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছে বলে ধারণা করছেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিট কর্মকর্তারা। তদন্তকারী সংস্থা কাউন্টার টেররিজম ইউনিট, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে এ খবর জানা গেছে। তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভারতের বিহার রাজ্যের মুঙ্গের শহরের একটি অস্ত্র তৈরির কারখানায় তৈরি হয়েছে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি রেস্টুরেন্টে জঙ্গীদের ব্যবহৃত একে-২২ রাইফেল। একই অস্ত্র পরে অন্য জঙ্গী আস্তানায়ও পাওয়া গেছে। সবকটি একে-২২ রাইফেল একই কারখানার বলেই ধারণা করছেন তদন্তকারীরা। একটি রাইফেলে বিহারের ওই কারখানার সিলও রয়েছে। তদন্তকারীরা নিশ্চিত হয়েছেন বিহার থেকে এসব অস্ত্র চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তের এজেন্টের কাছে পৌঁছানো হয়। তিনিই সীমান্ত পার করে জঙ্গীদের হাতে পৌঁছে দেন। আর দুটি পিস্তল ইউরোপ থেকে নেপাল হয়ে সড়কপথে বাংলাদেশে ঢুকেছে। অর্থের উৎস খুঁজতে গিয়ে তারা এক পাকিস্তানী নাগরিকের সম্পৃক্ততা পেয়েছেন। তিনি বর্তমানে দুবাই অবস্থান করছেন। কত টাকা, কার মাধ্যমে পাঠিয়েছেন তা এখনও নিশ্চিত করেননি তদন্তকারীরা। তদন্তে প্রকাশ পেয়েছে, গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে যে অস্ত্র জঙ্গীরা ব্যবহার করেছে সেই একই অস্ত্র পাওয়া গেছে নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ার আস্তানায়। এটা একে-২২ রাইফেল। গুলশান থেকে উদ্ধার করা তিনটি অস্ত্রের মধ্যে একটির গায়ে বিহারের মুঙ্গের শহরের একটি ফ্যাক্টরির সিল রয়েছে। অন্যগুলো একই অস্ত্র হওয়ায় আমরা ধারণা করছি বিহার থেকে একে-২২ রাইফেলগুলো এসেছে। কিভাবে অস্ত্রগুলো দেশে ঢুকল? বিহার থেকে ওদের লোকের মাধ্যমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে পাঠানো হয়। সীমান্তের ওপারে জঙ্গীদের লোক রয়েছে। তারাই অস্ত্রগুলো রিসিভ করে। পরে সেখান থেকে সীমান্ত পার করে জঙ্গীদের হাতে পৌঁছে দেয় তাদের নেটওয়ার্কের লোকজনই। অস্ত্র ও টাকার দুটি রুট খুঁজে পাওয়ার পর এই নেটওয়ার্কের কয়েকজনকে গ্রেফতারের জন্য খোঁজা হচ্ছে। যা বলেন পুলিশ কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলার ঘটনায় অর্থ ও অস্ত্র দেশের বাইরে থেকে এসেছে। ওই ঘটনার আগে একটি হুন্ডি চালানে একসঙ্গে ১৪ লাখ টাকা আসে। এই অর্থ কে গ্রহণ করেছে, তাও আমাদের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। সোমবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ ধরনের তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছেন সিটিটিসি কর্মকর্তা। তিনি বলেন, নব্য জেএমবি এ হামলা ঘটানোর আগে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করেছে। হামলার আগে ১৪ লাখ টাকা একসঙ্গে হুন্ডির মাধ্যমে এসেছে, যা অস্ত্র ও বাসা ভাড়ায় ব্যবহার করেছে তারা। অর্থের উৎসের কিছু তথ্য পেয়েছি বলে জানিয়ে তিনি বলেন, তবে তদন্তে আরও নাম আসবে। এই টাকা দেশের কেউ বিদেশে বসে পাঠিয়েছে, নাকি বাইরের কেউ পাঠিয়েছে তা খতিয়ে দেখছি আমরা। তবে বাংলাদেশে ওই অর্থ কে গ্রহণ করেছিল তা জানতে পারলেও অর্থদাতা হিসেবে সুনির্দিষ্টভাবে কাউকে তারা এখনও শনাক্ত করতে পারেননি বলে জানান সিটিটিসির এই কর্মকর্তা। সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশের কার্যালয়ে পুলিশের জঙ্গী দমন অভিযানের অগ্রগতির তথ্য সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরে মনিরুল ইসলাম বলেন, অর্থটা বাইরে থেকে এসেছে। কিন্তু সেটি বাংলাদেশের কেউ বিদেশ থেকে পাঠিয়েছেন, না কি বাংলাদেশ থেকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পাঠিয়েছে যাতে ধরা না পড়ে- সেটি এখনও তদন্ত সাপেক্ষ। তিনি বলেন, হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ আসার পর যে গ্রহণ করেছে তার পরিচয় পাওয়া গেছে। তাকে ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হুন্ডির মাধ্যমে মোট কত টাকা বাংলাদেশে জঙ্গীবাদে ঢুকেছে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন অঙ্ক বলেননি কাউন্টার টেররিজম ইউনিট কর্মকর্তা। তবে এক দফায় মোট ১৪ লাখ টাকা জেএমবি জঙ্গীদের হাতে আসার তথ্য পেয়েছেন বলে জানান এই কর্মকর্তা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জনাব মনিরুল বলেন, অস্ত্র সীমান্ত পেরিয়ে এসেছে। প্রস্তুতকারক দেশের নাম এখানে লেখা নেই। তাই বলতে পারছি না, কোন দেশ তৈরি করেছে। তবে এটি ইন্ডিয়ার ভেতর দিয়ে এসেছে। এটা আমরা তদন্তে পেয়েছি। কারা অস্ত্র কোথা থেকে এনেছে- তাও তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন জানিয়ে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল বলেন, তাদের গ্রেফতারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে নজিরবিহীন জঙ্গী হামলায় ১৭ বিদেশী নাগরিকসহ ২২ জন নিহত হন। পরদিন সকালে সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডো অভিযানে হামলাকারী ৫ জঙ্গীসহ ছয়জন নিহত হন। জিম্মি অবস্থা থেকে উদ্ধার করা হয় ১৩ জনকে। ওই হামলায় জঙ্গীরা একে-২২ সেমি অটোমেটিক রাইফেল ও নাইন এমএম পিস্তলের পাশাপাশি হাতে তৈরি গ্রেনেড (আইইডি) ও ছুরি-চাপাতির মতো ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করেছিল বলে পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়। আর গুলশান হামলার এক সপ্তাহের মাথায় ৭ জুলাই ঈদের সকালে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাতের মাঠের কাছে ফের হামলা হয়। ওই হামলায় নিরাপত্তার চৌকিতে দায়িত্বরত দুই পুলিশ সদসসহ চার জন নিহত হন। নিহত হন এক হামলাকারী জঙ্গী। শোলাকিয়ার হামলাতেও পিস্তলের মতো আগ্নেয়াস্ত্রের পাশাপাশি গুলশানের মতো একই ধরনের বিস্ফোরক, চাপাতি, ছুরি ব্যবহার করা হয়। গুলশান, শোলাকিয়া, কল্যাণপুরের স্টর্ম ২৬, নারায়ণগঞ্জের হিট স্ট্রং ২৭, মিরপুরের রূপনগরের শীর্ষ জঙ্গী নেতা মেজর (অব) জাহিদ নিহত হওয়ার ঘটনা, আজিমপুরের জঙ্গীবিরোধী অভিযানের ঘটনা পর্যালোচনা ও তদন্ত করছে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। প্রধান ট্রেইনার ছিলেন তারেক ॥ গুলশান, শোলাকিয়ায় জঙ্গী হামলায় জড়িতদের প্রধান ট্রেইনার ছিলেন আবু রায়হান তারেক। দেশের উত্তরাঞ্চলের গাইবান্ধায় জঙ্গীদের ট্রেনিং দিয়েছেন এই জঙ্গী নেতা। জঙ্গীবিরোধী অভিযানে নিহত হয়েছেন আবু রায়হার তারেক। এছাড়া কল্যাণপুরের অভিযানে জীবিত উদ্ধার রিগ্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অনেক তথ্য মিলেছে বলে জানা গেছে। গুলশান, শোলাকিয়ায় জঙ্গী হামলা ও কল্যাণপুর ও নারায়ণগঞ্জে জঙ্গীবিরোধী অভিযানে নব্য জেএমবির জঙ্গী সংগঠনটির জঙ্গীদের বিষয়ে একটা বড় ধরনের চিত্র আমরা উদ্ধার হয়েছে তদন্তে। এর পেছনে কে বা কারা জড়িত, তা অনেকটা নিশ্চিত। তদন্তে যাদের নাম এসেছে তাদেরই কেউ কেউ অভিযানে নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে। কেউ জীবিত আটক হয়েছে। কয়েকজনকে আটকের জন্য অভিযান চলছে। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় বৃদ্ধি কল্যাণপুরের জঙ্গী আস্তানায় অভিযানে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে সময় পেয়েছে পুলিশ। হতাহত সন্দেহভাজন জঙ্গীদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক মোঃ শাহজাহান আলম। সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে সময়ের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ সাজ্জাদ হোসেন। আবেদনের শুনে মহানগর হাকিম মাযহারুল ইসলাম ৩১ অক্টোবর প্রতিবেদন দাখিল করতে আদেশ দেন। এর আগে ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছিল আদালত। গত ২৬ জুলাই কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কে জাহাজ বাড়ি নামে পরিচিত তাজ মঞ্জিলের ছয় তলা ভবনের পঞ্চম তলায় অভিযানে গিয়ে রাতে হামলার মুখে পড়েন পুলিশ সদস্যরা। পরে মঙ্গলবার ভোরে সেখানে সোয়াটের বিশেষ অভিযানে নিহত হন সন্দেহভাজন নয় জঙ্গী। নিহত নয়জনের মধ্যে আটজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এরা হলেন- দিনাজপুরের আব্দুল্লাহ (২৩), পটুয়াখালীর আবু হাকিম নাইম (২৪), ঢাকার ধানম-ির তাজ-উল-হক রাশিক (২৫), ঢাকার গুলশানের আকিফুজ্জামান খান (২৪), ঢাকার বসুন্ধরার সেজাদ রউফ অর্ক (২৪), সাতক্ষীরার মতিউর রহমান (২৪) এবং নোয়াখালীর জোবায়ের হোসেন (২২) এবং রংপুরের পীরগাছার রায়হান কবির (২০)। ওই বাসায় অস্ত্র, বিস্ফোরকের পাশাপাশি আইএসের পতাকা ও কালো পাঞ্জাবি পাওয়ার কথা জানালেও পুলিশের ধারণা, হতাহতরা সবাই বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গীদল জেএমবির সদস্য। হতাহত দশজন ছাড়াও ইকবাল, তামিম চৌধুরী, রিপন, খালিদ, মামুন, মানিক, জোনায়েদ খান, বাদল, আজাদুল ওরফে কবিরাজের নাম আসামির তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে মিরপুর থানায় দায়ের করা মামলায়। কে এই রাজীব গান্ধী ॥ গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলায় জড়িতদের মধ্যে রাজীব গান্ধী নামে একজনের নাম পাওয়া গেছে। তার নামটি প্রকাশ করেছেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। এতদিন গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জঙ্গী হামলার মূল হোতাদের মধ্যে এতদিন তামিম চৌধুরী, মেজর জিয়া, নুুরুল ইসলাম মারজানকে শনাক্তের কথা বলেছিল পুলিশ। এই প্রথম রাজীব গান্ধী নামের এক দুর্ধর্ষ শীর্ষস্থানীয় জঙ্গীর নাম প্রকাশ পেল। কে এই রাজীব গান্ধী? তদন্তকারীরা তার কয়েকটি নাম পেয়েছেন। এর মধ্যে রাজীব, সুবাশ গান্ধী, রাজীব গান্ধী ও গান্ধী। তিনি উত্তরাঞ্চলের জঙ্গী কমান্ডার হিসেবে কাজ করতেন। গুলশান হামলা সংগঠনের জন্য অভিজ্ঞ জঙ্গীর প্রয়োজন ছিল। রাজীব গান্ধী গুলশানের জন্য ২ জন ও শোলাকিয়ার জন্য জঙ্গী সংগ্রহ করেন। তার সাংগঠনিক নাম পেলেও প্রকৃত নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, রাজীব গান্ধী দেশের ভেতরে রয়েছে। উত্তরবঙ্গের কোথাও সে আত্মগোপনে থাকতে পারে বলে মনে করেন তদন্তকারীরা। দুই জন ভারতে চলে যেতে পারে ॥ নব্য জেএমবির কমান্ডিং পর্যায়ের ৪ জনকে চিহ্নিত করেছেন তদন্তকারীরা। এর মধ্যে দু’জন পালিয়ে ভারতে চলে গেছে। ভারতে নব্য জেএমবির পালিয়ে যাওয়া দুই নেতা হলো খোকন এবং খালিদ। এ ধরনের তথ্যের কথা জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। নব্য জেএমবির ৭০ শতাংশ শক্তি খর্ব ॥ জেএমবির ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ শক্তি খর্ব করা হয়েছে। এই দাবি করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। গুলশান, কল্যাণপুর, শোলাকিয়া, নারায়ণগঞ্জ, মিরপুরের রূপনগর, আজিমপুর ঘটনায় নব্য জেএমবির কমান্ডিং পর্যায়ের নেতা, সমন্বয়কারী এবং প্রশিক্ষক নিহত হয়েছে। এর মধ্যে কল্যাণপুরের অভিযানে ৪ জন কমান্ডিং পর্যায়ের নেতা, মিরপুরের রূপনগরে প্রশিক্ষক জাহিদুল ইসলাম (মেজর মুরাদ), জঙ্গীদের জন্য বিভিন্ন জায়গায় বাসা ভাড়া করে দেয়ার সমন্বয়কারী জঙ্গী তানভীর (করিম) এবং মূল সমন্বয়কারী তামিম চৌধুরী নারায়ণগঞ্জে নিহত হওয়ার ঘটনার ধারাবাহিকতায় নব্য জেএমবির ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ শক্তি খর্ব হয়েছে বলে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট কর্মকর্তার দাবি।
×