ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানে তরুণদের উৎসাহিত করা উচিত ॥ আরজে মুকুল

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬

শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানে তরুণদের উৎসাহিত করা উচিত ॥ আরজে মুকুল

রেডিও জকি মুকুল। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে রেডিও জকি হয়ে সবার দৃষ্টি কেড়েছেন। রেডিও জকিকে শিল্প হিসেবে পরিচিতি ঘটানোর ক্ষেত্রে তার অবদান সর্বাগ্রে। বর্তমানে তিনি ঢাকা এফএম রেডিওর অনুষ্ঠান প্রধানের দ্বায়িত্বে নিয়োজিত। দেশের এফএম রেডিও সম্পর্কে কথা হয় তার সঙ্গে। আমাদের দেশের এফএম রেডিওর বর্তমান অবস্থা কেমন? মুকুল : আমাদে দেশে এফএম রেডিও চালু হয় ২০০৬ সালের দিকে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক পরে এ দেশে এফএম রেডিও আসে। এটি শুরুর সময়ে এর যে বেইজ ছিল, এখন তা কমে গিয়েছে। এটা দিয়ে অনেক কিছু করা সম্ভব কিন্তু সে জায়গায় পৌঁছতে পারেনি। এফএম রেডিও নিয়ে এখানে স্টাডি কম। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে অনেক সিনিয়র ও অভিজ্ঞ লোকেরা এর সাথে জড়িত থাকে, যেটা আমাদের দেশে নাই। এতে যদি প্রফেশনালিজম আসে তাহলে হয়ত ভাল কিছু হবে। এফএম রেডিওতে ভাষা বিকৃতি সম্পর্কে আপনার অভিমত কী? মুকুল : আঞ্চলিক কথা বলা কিন্তু ভাষা বিকৃতি নয়, যেটা আমাদের দেশে নাটক কিংবা বিজ্ঞাপনে চলে আসছে। এ ব্যাপারে আমি পুরোপুরি জকিদের দোষ দিতে চাই না। তবে গণমাধ্যম হিসেবে প্রমিত উচ্চারণ করা উচিত। বাংলা-ইংরেজী মিশিয়ে কথা বলা খুবই খারাপ। এই মিশ্রণের জন্য ভাষার বিকৃতি হচ্ছে। সরকারীভাবে এ বিষয়ে নজরদারির পাশাপাশি বাংলা শেখার ক্ষেত্রে ওয়ার্কশপ বা গ্রুমিং করা উচিত। এফএম রেডিও কিভাবে তরুণদের উৎসাহিত করতে পারে? মুকুল : গান কিংবা ভাল ভাল শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানে তরুনরা উৎসাহিত হয়। এছাড়া রেডিও জকিদের সুন্দর কথা ও উচ্চারণ তরুণদের আকর্ষণ করে। এফএম রেডিওতে বিদেশি গান প্রচার বেশি হয়, এ সম্পর্কে আপনি কী মনে করেন? মুকুল : সঙ্গীতের কোন নির্দিষ্ট বাউন্ডারি নাই। তবে আমাদের বাংলা গান অনেক সমৃদ্ধ, রেডিওগুলোর উচিত এ গানকে বেশি প্রাধান্য দেয়া। আপনার রেডিও জকি হওয়ার প্রথম দিকের কথা বলুন। মুকুল : আমি থিয়েটার স্কুলের ছাত্র ছিলাম। থিয়েটারের মানুষ জকিতে তেমন নাই। ২০০৭সালে আমি রেডিও আমার এফএমে জকি হিসেবে যোগ দেই। পরে রেডিও ফুর্তি ও পিপলস রেডিওতে কাজ করি। সর্বশেষ এখন ঢাকা এফএমে প্রোগ্রাম হেড হিসেবে কাজ করছি। রেডিও জকিদের জন্য আপনার স্কুল সম্পর্কে বলুন। মুকুল : আমার স্কুলের নাম ভোকাল। এখানে উচ্চারণ, কবিতা আবৃত্তি, নিউজ পাঠ এবং মানুষকে বিনোদিত করার পাশাপাশি বিভিন্ন্ শিক্ষামূলক বিষয়ে পাঠ দান দেয়া হয়। এ স্কুল থেকে জকিদের ২২তম ব্যাচ শেষ হয়েছে। খুব শীঘ্রই ২৩ তম ব্যাচের ক্লাস শুরু হবে। এ পর্যন্ত এখান থেকে ৪০ টি ছাত্র বিভিন্ন রেডিওতে কাজ করছে। আপনার আগামী পরিকল্পনা কী? মুকুল : আমি রেডিও জকিকে খুব ভালবাসি। আজীবন এর সঙ্গে জড়িত থাকব। তবে আমার আগামীর পরিকল্পনা হচ্ছে ফিল্ম তৈরি করা। এ ব্যাপারে খুব শিগ্রই দেশের বাইওে যাব এ বিষয়ে পড়া-লেখা করতে। -গৌতম পাণ্ডে
×