ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মাইকেল শ্যুম্যান;###;ভাষান্তর : এনামুল হক

চীনের ভেনচার কমিউনিজম

প্রকাশিত: ০৪:০১, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬

চীনের ভেনচার কমিউনিজম

চীনের ঐতিহাসিক শহর হ্যাংচাউয়ের এক প্রান্তে রয়েছে ড্রিম টাউন। এটি আসলে বাক্সের মতো বেশ কিছু অফিস ভবনের সংগ্রহ বিশেষ। সেখানে কিছু ছোট ছোট নতুন কোম্পানির কর্মযজ্ঞ চলছে। একটি কোম্পানি হয়ত পোর্টেবল থ্রি-ডি প্রিন্টার বানাচ্ছে, অন্যটি স্মার্টফোনে বিভিন্ন ধরনের অর্ডার নিচ্ছে, আবার আরেকটি ইন্টারনেটের নতুন এক ব্যবসা শুরু করেছে। এমনি ধরনের ৭১০টি স্টার্টআপ কোম্পানির কাজ হচ্ছে এখানে। এখানে এদের সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন ধরনের সাহায্য সহায়তা দিয়ে লালন করা হচ্ছে। সুতরাং ড্রিম টাউন প্রকৃত অর্থে এই স্টার্টআপদের জন্য একটা ইনকিউবেটর বিশেষ। অন্য কোন দেশ হলে ড্রিম টাউনকে বলা যেত ভেনচার ক্যাপিটেলিস্টদের আদর্শ স্থান। কিন্তু চীন বলে কথা। সেখানে কমিউনিস্ট পার্টি শিল্পোদ্যোগকে উৎসাহিত করতে শুধু পুঁজিবাদের একক হাতের ওপর আস্থা না রেখে দেশজুড়ে ড্রিম টাউনের মতো অসংখ্য ইনকিউবেটর তৈরি করে স্টার্টআপদের পেছনে ঢালাওভাবে সম্পদ বিনিয়োগ করছে। সেখানে ব্যবসায় উদ্যোক্তাদের ভর্তুকি হারে ভাড়া, নগদ অর্থ সাহায্য ও বিশেষ ধরনের ট্রেনিংসহ নানা সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে। যেমন, ধরা যাক চিমেয়ি কোম্পানির কথা। এটি স্মার্টফোনের এক এ্যাপের মাধ্যমে গাড়ি মেরামতের সার্ভিস যুগিয়ে থাকে। কোম্পানিটি তিন বছর ধরে ড্রিম টাউনে বিনা ভাড়ায় আছে। কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেয়া ও সরঞ্জাম কেনার জন্য কোম্পানিটি নগর কর্তৃপক্ষের কাছে সাড়ে চার লাখ ডলারের ভর্তুকির আবেদন করেছে। কোম্পানির এক কর্মকর্তা বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকার পর্যন্ত সবার কাছ থেকে আমরা প্রচুর সাহায্য সমর্থন পাচ্ছি। চীনের অর্থনীতিতে দীর্ঘ সময়ের তেজি অবস্থার সিংহভাগ সময়টা তরুণদের কারখানা অঞ্চলে কাজের জন্য ভিড় জমাতে দেখা যেত। তারা ব্লুজিনস বানাত, আইফোন বানাত। কিন্তু আজকের চীন বিশ্বের শুধু ফ্যাক্টরি ফ্লোর হিসেবেই থাকতে চাইছে না। তার বাইরেও যেতে চাইছে। আগামী প্রজন্ম যাতে আধুনিক অফিসে আরও ভাল বেতনের কাজ খুঁজে নেয় এবং ভবিষ্যত প্রবৃদ্ধির প্রয়োজনে নতুন ধ্যান-ধারণা, প্রযুক্তি ও কাজ সৃষ্টি করে চীনা নেতারা সেটাই চান। এ জন্য তারা ব্যাপক শিল্পোদ্যোগ গড়ে তোলার অনুকূল পরিবেশ দিচ্ছেন যার পরিণতিতে ২০১৫ সালে প্রতিদিন ১২ হাজার নতুন কোম্পানির জন্ম হয়। এই শিল্পদ্যোগের সঙ্গে প্রচুর আর্থিক সহায়তাও দেয়া হচ্ছে। এ জন্য সারাদেশে তৈরি হচ্ছে বিনিয়োগ তহবিল। তা থেকে ক্যাশ সাবসিডি দেয়া হচ্ছে। এ ধরনের ভর্তুকি না থাকলে শুধু ব্যক্তিগত অর্থের ওপর নির্ভর করতে হতো। তাহলে আজকে যে অসংখ্য প্রযুক্তি স্টার্টআপ গড়ে উঠেছে সেটা আর হতো না। আর সংখ্যায় বেশি না থাকলে গুণগত মানও বাড়ত না। তবে এই বিপুল অর্থ ব্যয়ের কারণে চীনের ক্ষুদ্রতম কোম্পানিগুলোর জগতে বুদবুদের মতো স্ফীতি ঘটতে পারে বলে উৎকণ্ঠাও রয়েছে। সরকারী তহবিলের সঙ্গে সঙ্গে ভেনচার ক্যাপিটেলের অর্থে দেশ সয়লাব হয়ে যাচ্ছে। গত বছর প্রায় ৪ হাজার ৯শ’ কোটি ডলারের ডিল হয়েছে। তার ফলে এদিক দিয়ে চীন যুক্তরাষ্ট্রের পরই দ্বিতীয় স্থানে এসে গেছে। কিছু অর্থনীতিবিদ ও শিল্পদ্যোক্তা এই ভেবে উদ্বিগ্ন যে সরকার এমন এক উন্মাদনায় ইন্ধন যোগাচ্ছে যার চূড়ান্ত পরিণতিতে ব্যবসা মার খেতে পারে। সম্পদের অপচয় এবং আর্থিক ক্ষতি ঘটতে পারে। সাংহাইয়ের কাছে সুজাউ নামক একটি শহরেই কেবল ৩০ হাজার স্টার্টআপকে স্থান দেয়ার জন্য ২০২০ সাল নাগাদ ৩শ’ ইনকিউবেটর খোলা হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। চীনে নির্দিষ্ট কিছু শিল্প পরিচালনার জন্য আনুকূল্যপ্রাপ্ত কোম্পানিগুলোকে সহজশর্তে ঋণ ও ভর্তুকি দেয়ার দীর্ঘ ইতিহাস আছে। এতে খারাপ-ভাল দুই রকমের পরিণতিই হয়েছে। এই কৌশলে শিল্পায়নে গতিসঞ্চার হলেও অনেক বাহুল্যও ঘটেছে। দেশটা খালি এ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে ছেয়ে গেছে। সিমেন্ট কারখানাগুলো অলস পড়ে আছে। ইস্পাত কারখানগুলো মাঝে মাঝে থুতু ফেলার মতো করে উৎপাদন করছে। এসব কিছুতে অর্থনীতির স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়তে পারে। বহুলাংশে সরকারের সাহায্য সমর্থনের কারণে চীনের ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে আজ যে অবস্থা হয়েছে অর্থাৎ এই খাত যে হারে উৎপাদন করছে সে হারে বিক্রি করতে পারছে না সেই অবস্থা স্টার্টআপদের বেলায়ও ঘটতে পারে। সেটা পরের কথা। আপাতত স্টার্টআপে যে একটা জোয়ার আসছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। সেই ড্রিম টাউনেই ফিরে যাওয়া যাক। দৃষ্টান্ত হিসেবে আবার আনা যাক গাড়ি মেরামত সার্ভিস কোম্পানি চিমেয়িকে। ৩৯ বছর বয়স্ক লি ও তার তিন বন্ধু মিলে ২০১৩ সালে তাদের নিজেদের অর্থে (বর্তমান যা সাড়ে ৭ লাখ ডলার) এই কোম্পানি গঠন করে। বার্ষিক একটা ফি’র বিনিময়ে চিমেয়ি ফাটা টায়ার মেরামত, পেইন্ট করা কিংবা অচল ইঞ্জিন সচল করার জন্য স্টাফদের পাঠিয়ে থাকে। চিমেয়ি ড্রিম টাউনে আকাক্সিক্ষত স্থানটি পায় ২০১৪ সালে। তার জন্য দুই ডজনেরও বেশি স্টার্টআপকে প্রতিযোগিতায় হারাতে হয়েছিল। চিমেয়ির এখন ৪টি নগরীতে কর্মচারী আছে ২৮৪ জন। এ বছরের শেষ নাগাদ সংখ্যাটা এক হাজারে উন্নীত করার পরিকল্পনা আছে তাদের। লি জানিয়েছেন, তার কোম্পানি গত বছর প্রায় ১ কোটি রেনমিনবি মুনাফা করেছে। আশির দশকে চীন সংস্কারের পথ ধরে পুঁজিবাদী অর্থনীতি চালু করার পর ঝেজিয়ান প্রদেশটি রফতানিমুখী শিল্পের প্রধান ভিত্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়। এই শিল্পই দেশের দ্রুত প্রবৃদ্ধি ঘটাতে ইন্ধন হিসেবে কাজ করে। কারখানাগুলো মোজা ও প্লাস্টিকের ক্রিস্টমাস ট্রির মতো পণ্য উৎপাদন করতে থাকে। এখন ব্যবসার এই উদ্যমটা ঝেজিয়ানের রাজধানী হ্যাংচাউয়ে প্রযুক্তি স্টার্টআপদের পেছনে চালিত করা হচ্ছে এবং নগরীটি চীনের স্টার্টআপ জোয়ারের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। হ্যাংচাউয়ে রয়েছে চীনের সবচেয়ে বিখ্যাত ইন্টারনেট কোম্পানি সুবৃহৎ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলিবাবা। হ্যাংচাউ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভবিষ্যত শিল্পদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণের ময়দান। আলিবাবার সুপ্রশস্ত ক্যাম্পাসের আশপাশের তল্লাটটা একদা ছিল নগরীর উপকণ্ঠের অনুন্নত এলাকা। এখন সেটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে বিকাশমান টেক কেন্দ্র। সেখানে আছে ড্রিম টাউনের মতো নবনির্মিত অফিস ভবন সমূহ যেখানে উচ্চাভিলাষী কলেজ গ্র্যাজুয়েট, নবীন বিনিয়োগকারী ও ভেনচার ক্যাপিটেলিস্টদের প্রাধান্য। স্থানীয় রেস্তরাঁগুলোও পরিণত হয়েছে ধ্যান-ধারণা বিনিময়ের আখড়ায়। ফেং জিয়াও হলেন এই নতুন জাতের শিল্পদ্যোক্তাদের এক আদর্শ বিশেষ। ৩৯ বছর বয়স্ক ফেং ১১ বছর আলীবাবায় কাটিয়েছেন। প্রধানত কাজ করেছেন সেলস ও মার্কেটিংয়ে। আলীবাবায় প্রচুর সুযোগ ছিল ক্যারিয়ারের উন্নতি সাধনের। কিন্তু ফেং একেবারে আনকোরা অবস্থা থেকে যাত্রা শুরু করতে চেয়েছিলেন। তার স্টার্টআপের জন্ম আলীবাবার ক্যাফেটারিয়ায়। সেখানে দিনের পর দিন খেয়েছেন আর মায়ের হাতের রান্না মিস করেছেন। তার মনে হয়েছে এবং অন্যদের সঙ্গে আলাপে জানতেও পেরেছেন যে, বাড়ি থেকে অনেক দূরে এই কর্মস্থলে দীর্ঘ সময় কাজের মধ্যে আটকেপড়া আরও অনেকের এই সংক্রান্ত অনুভূতিও একই রকম। ফেং এবং আলীবাবার আরও দুই কর্মচারী ২০১৪ সালে চাকরি ছেড়ে দিয়ে খাবারের ডেলিভারি সার্ভিস চালু করেন এবং তার নাম দেন মিশি। তাদের পরিকল্পনা ছিল পেশাদার যেসব লোকের কাজে ব্যস্ততার জন্য রান্না করার মতো সময় নেই সেই সব লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ ঘটিয়ে দেয়া, যারা ঘরে তৈরি খাবার বানাতে আগ্রহী। তারা এক বন্ধুর খালি বাসায় দোকান খুলে বসেন। প্রাইভেট বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১ কোটি ৯০ লাখ ডলার সংগ্রহের পাশাপাশি মিশি হ্যাংচাউ নগর সরকারের নজরে পড়ে। তাদের আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়। হ্যাংচাউয়ে ভর্তুকি ভাড়ায় অফিস রুম দেয়া হয়। চীনা নেতাদের চোখে হ্যাংচাউ এখন জাতির অর্থনৈতিক ভবিষ্যত। দেশটি এতদিন স্বল্পমূল্যের পণ্য রফতানির এবং এ্যাপার্টমেন্ট টাওয়ার, কলকারখানা ও মহাসড়কের অতি বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগের ওপর দারুণভাবে নির্ভর করে অবিশ্বাস্য হারে প্রবৃদ্ধি ঘটিয়ে চলেছিল। চীন এত বেশি সংখ্যক ইস্পাত কারখানা নির্মাণ করেছিল যে ওগুলোর দ্বারা যুক্তরাষ্ট্রে যত ইস্পাত উৎপাদিত হয় তার দশগুণ বেশি উৎপাদন করা সম্ভব। কিন্তু আজ উৎপাদনে ব্যয় বাড়ছে। তাতে অনেক রফতানি শিল্পের প্রতিযোগিতা ক্ষমতা হারিয়ে যাচ্ছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দীর্ঘ চাঙ্গাভাব বিরাজ করার সময় এত বেশি কলকারখানা নির্মিত হয়েছে এবং ঋণের পাহাড় এমন জমে উঠেছে যে তাতে অর্থনীতির ওপর গুরুভার চেপে বসেছে। এ অবস্থায় চীনের নীতিনির্ধারকরা প্রবৃদ্ধির নতুন চালিকাশক্তি হিসেবে অন্য কিছুর ওপর দৃষ্টি দেয়াকে উৎসাহিত করছেন। যেমন সার্ভিস ও হাইটেক খাত। শিল্পদ্যোক্তাদের এই ফোকাস হ্যাংচাউয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটিয়ে দিচ্ছে। নগরীর মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ২০১৫ সালে বেড়ে ১০.২ শতাংশে পৌঁছায়, যেখানে জাতীয় প্রবৃদ্ধির হার হলো ৬.৯ শতাংশ। হ্যাংচাউয়ের সার্ভিস খাতই ছিল এই শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি, যার মধ্যে অনেক স্টার্টআপও রয়েছে। সার্ভিস খাতে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ১৪.৬ শতাংশ। চীনারা জানে যে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে সবাইকে নিয়োগ দেয়া সম্ভব নয়। তাই তরুণদের নিজেদেরই নিজেদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। আর সে জন্য নতুন কিছু উদ্ভাবনের চেষ্টা করতে তরুণদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। মিশি হচ্ছে এমন কিছু উদ্ভাবনের একটা দৃষ্টান্ত। খাবার ডেলিভারির এই স্টার্টআপটি এক শ’ ফুলটাইম চাকরি সৃষ্টি করেছে এবং ১০ হাজারেরও বেশি হোম শেফের আয় বাড়িয়েছে। আরেক দৃষ্টান্ত দেয়া যেতে পারে আই বিংকের সফটওয়্যার কোম্পানি ইউন র‌্যান ইন্টারনেট অব থিংগস। আই বিংকে হ্যাংচাউ ইনকিউবেটরে যোগ দেয়ার জন্য ২০১৪ সালে প্রকল্প প্রস্তাব জমা দেয়ার সময় তার স্টার্টআপ কোম্পানিটি এত ছোট ছিল যে, কর্মচারী ছিল মাত্র ৪ জন। তবে এর প্রভূত সম্ভাবনা থাকায় কর্র্তৃপক্ষ আর্থিক ভর্তুকির ব্যবস্থা করে। গোটা চীনেই স্থানীয় সরকারগুলো স্টার্টআপের পেছনে বিপুল অর্থ ব্যয় করছে। শেনঝেনে কর্তৃপক্ষ সৃজনশীল স্টার্টআপগুলোর জন্য ভাড়ার ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দিচ্ছে। দক্ষিণ-পশ্চিমের মেট্রোপলিস চেংদুর কর্তৃপক্ষ ২০ কোটি রেনমিনবির একটি তহবিল প্রতিষ্ঠা করেছে এবং তা থেকে স্টার্টআপদের ৫০ লাখ রেনমিনবি পর্যন্ত ভর্তুকি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। চীনের দক্ষিণে গুয়াংদং প্রদেশে স্টার্টআপদের লোকসানের একটা অংশ সরকার বহন করার ব্যবস্থা করেছে। জিয়ানজি প্রদেশে স্বল্প পরিচিত ইংটানেও ইনকিউবেটর তৈরির পরিকল্পনা চলছে। তবে হ্যাংচাউ সরকারের মতো সক্রিয় কমই আছে। সেখানে কোম্পানিগুলোর চাঁদায় ও সরকারী অনুদানে ৪৭০ কোটি রেনমিনবির একটি ভেনচার ক্যাপিটেল ফান্ড গড়ে তোলা হয়েছে। এই তহবিল থেকে স্টার্টআপদের ব্যয় মেটাতে সাহায্য করার জন্য বছরে ১০ কোটি রেনমিনবি দেয়া হবে। চীনে নতুন ব্যবসায় সাহায্যের এই সরকারী উদ্যোগ অনেক সময় অপচয় ও বাহুল্যে পর্যবসিত হয়। স্টার্টআপদের কাজে গতি সঞ্চারের চেষ্টা করতে গিয়ে রাষ্ট্র নিজে এমন অতি ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে যেখানে অতি অভিজ্ঞ ভেনচার ক্যাপিটেলিস্টেরও সাফল্য অর্জনের চেয়ে ব্যর্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে হ্যাংচাউয়ের কর্মকর্তা এসব ত্রুটিবিচ্যুতি ও ঘাটতি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছেন। সেখানে পাইকারিভাবে সবাইকে ঢালাও অর্থ সাহায্য দেয়া হচ্ছে তা নয়। বরং সাহায্যপ্রাপ্তির জন্য কিছু শর্তও জুড়ে দেয়া হচ্ছে এবং সবকিছুর ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণও আছে। ড্রিম টাউনের মতো ইনকিউবেটরে সকল স্টার্টআপই ঢুকতে পারবে এমন কোন কথা নেই। এক্ষেত্রেও প্রতিযোগিতা আছে এবং তা তীব্র। প্রতিটি প্রতিযোগিতায় সচরাচর ৩০টি স্টার্টআপ অংশ নেয়। তবে অনধিক ৪টি স্টার্টআপ ড্রিম টাউনে প্রবেশের সুযোগ পায়। সূত্র : নিউইয়র্ক টাইমস
×