ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাবনায় শাশুড়িকে পিটিয়ে, গলা কেটে গৃহবধূ হত্যা

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬

পাবনায় শাশুড়িকে পিটিয়ে, গলা কেটে গৃহবধূ হত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ১৮ সেপ্টেম্বর ॥ আটঘরিয়ায় পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে পৃথক দুটি ঘটনায় ২ মহিলা হত্যাকা-ের শিকার হয়েছে। শনিবার রাতে উপজেলার মাজপাড়া ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর গ্রামে শাশুড়িকে পিটিয়ে হত্যা করেছে গৃহবধূ রীমা খাতুন। নিহত শাশুড়ি মায়াজান বেগম (৬৫) ওই গ্রামের মৃত ছুরমান আলীর স্ত্রী। ঘাতক পুত্রবধূ রীমা খাতুনকে পুলিশ আটক করেছে। আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক আহমেদ জানান, মায়াজানের ছেলে শাহা আলম ঢাকায় গার্মেন্টে চাকরি করেন। বাড়িতে তার পুত্রবধূ রীমা খাতুনের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায়ই দ্বন্দ্ব-বিবাদ লেগে থাকত। কিছুদিন আগে শাশুড়ির ওপর অভিমান করে বাবার বাড়িতে চলে যান পুত্রবধূ রীমা খাতুন। শনিবার বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে যান রীমা খাতুন। সেখানে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে শাশুড়ি মায়াজানের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ পুত্রবধূ রীমা খাতুন লাঠি দিয়ে তার শাশুড়ি মায়াজান বেগমকে মারধর করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে এলাকাবাসী ঘাতক পুত্রবধূ রীমা খাতুনকে আটক করে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে নিহতের লাশ উদ্ধার ও পুত্রবধূ রীমাকে আটক করে। অপরদিকে আটঘরিয়া পৌর কলেজপাড়া এলাকায় স্বামী পরিত্যক্তা সালমা খাতুনকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার রাতের কোন এক সময় তাকে হত্যা করা হয়। রবিবার সকালে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এলাকাবাসী জানিয়েছে, আটঘরিয়া উপজেলার সঞ্জয়পুর গ্রামের জহুরুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সালমা খাতুনের। গত ৪ বছর আগে স্বামী জহুরুল ইসলাম তার স্ত্রীকে তালাক দেন। তাদের কোন সন্তান ছিল না। এরপর থেকে সালমা খাতুন আটঘরিয়া কলেজপাড়ায় তার বাবার বাড়িতে থাকতেন। শনিবার রাত আটটার পর বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর হঠাৎ করেই নিখোঁজ হন তিনি। এরপর বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও সালমার কোন সন্ধান পায়নি পরিবারের লোকজন। রবিবার সকালে বাড়ির পাশে কলা বাগানের মধ্যে তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। আটঘরিয়া থানায় দুটি পৃথক মামলা হয়েছে।
×