ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাইট টু কপি এবং কপিরাইট আইন

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬

রাইট টু কপি এবং কপিরাইট আইন

রাইট টু কপি অর্থাৎ কপি করার অধিকার এবং কপিরাইট আইনের মধ্যে ভারসাম্য বিধান করে দিল্লী হাইকোর্ট একটি যুগান্তকারী রায় দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে- একাডেমিক বা শিক্ষামূলক কাজে পুরো বই ফটোকপি করলেও তাতে কপিরাইট লঙ্ঘন হবে না। এ রায়কে স্বাগত জানিয়েছে ভারতের বিদ্যোৎসাহী সমাজ। কারণ এতে শিক্ষার স্বাধীনতা ও জানার অধিকারের প্রতি সম্মান দেখানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বহু ফটোকপির বিষয়টি অনেক দিন ধরেই জনপ্রিয়। কারণ বেশি দাম দিয়ে বই কেনা সব শিক্ষার্থীর পক্ষে সবসময় সম্ভব হয় না। এ কারণের অনেক নামীদামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছেও ফটোকপি ব্যবসা ফুলে ফেঁপে উঠছিল। বিষয়টি ভারতের পাঁচটি বৃহৎ প্রকাশনা সংস্থা আদালতের দারস্থ হয়েছিল। তারা চেয়েছিল দিল্লী স্কুল অব ইকোনমিক্সের কাছে অবস্থিত ফটোকপি শপটির ওপর যেন ইনজাঙ্কশন আরোপ করা হয়। কিন্তু আদালত রায়ে বলেছে- একাডেমিক কাজে ফটোকপি করলে কপিরাইট রাইট লঙ্ঘন হবে না। প্রকাশকরা তাদের আর্জিতে আরও উল্লেখ করে যে, কেবল ফটোকপির দোকানগুলোই নয়, ইউনিভার্সিটির শিক্ষকরাও বাণিজ্যিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য ফটোকপি করে থাকেন। উদাহরণস্বরূপ তারা দিল্লী ইউনিভার্সিটির কথা উল্লেখ করেন। তারা দাবি করেন ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরিগুলো অবাধে ফটোকপি করার সুযোগ দিয়ে কপিরাইট আইন-১৯৫৭ লঙ্ঘন করছে। তারা দাবি করেন, ইউনিভার্সিটিগুলো যদি ফটোকপি করতেই চায় তবে তাদের উচিত হবে প্রকাশকদের রয়্যালটির অর্থ প্রদান করা। কিন্তু তাদের সব দাবি আদালত নাকচ করে দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের ফটোকপির সুযোগ দেয়ার অর্থ তাদের কাছে লাইব্রেরি থেকে বই ইস্যু করার মতোই। বিচারপতি আর এল এন্ডলোর দেয়া ৯৪ পৃষ্ঠার রায়টি শুক্রবার প্রকাশিত হয়। আদালতের রায়ে এটাও বলা হয় যে, আন্তর্জাতিক কপিরাইট আইনে তা লঙ্ঘনের সংজ্ঞা যাই দেয়া হোক, প্রতিটি দেশের আইনসভা এর সংজ্ঞা পুনর্নির্ধারণের অধিকার রাখে। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস (ইউকে), কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস ইন্ডিয়া, টেইলর এ্যান্ড ফ্রান্সিস গ্রুপ (ইউকে) এবং টেইলর এ্যান্ড ফ্রান্সিস গ্রুপ ইন্ডিয়া প্রাইভেট লি. মামলাটি করেছিল। -ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
×