সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ সঙ্গীত জীবনের ৫০ বছর অতিক্রম করছেন উপমহাদেশের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা। এ উপলক্ষে দেশে-বিদেশে কিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর লন্ডনের সিটি প্যাভিলিয়ন হলে গানে গানে শ্রোতাদের মাতাবেন বাংলাদেশের গর্ব, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী রুনা লায়লা। গত ১৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার পূর্ব লন্ডনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছে আয়োজক সংগঠন ইউকে ডক্টর শেফ লিমিটেড। ইউকে ডক্টর শেফ লিমিটেডের পরিচালক ডাঃ অর্পিতা রায়ের পরিচালনায় এই সংবাদ সম্মেলনে শিল্পী রুনা লায়লা নিজে উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার এটিএন বাংলার সিইও হাফিজ আলম বকস ও চ্যানেল এসের ফারহান মাসুদ খানসহ বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকরা। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সঙ্গীত সন্ধ্যা থেকে সংগৃহীত অর্থ মানবকল্যাণে ব্যয় করার জন্য চ্যারিটি সংস্থাকে দেয়া হবে। প্রসঙ্গত, গানের জগতে খুব ছোটবেলায় সম্পৃক্ত হন রুনা লায়লা। সঙ্গীত জীবনের অর্ধশতকে রুনা লায়লার সাফল্যের ঝুড়িতে জমা হয়েছে অসংখ্য পুরস্কার। তিনি প্রথম প্লেব্যাক করেছিলেন ‘জুগনু’ নামে উর্দু চলচ্চিত্রে। ষাটের দশকে বাংলা চলচ্চিত্রের গানে প্রথম কণ্ঠ দেন তিনি। বাংলা চলচ্চিত্রে প্রথমবারের মতো মাহমুদুন্নবীর সঙ্গে ‘গানের খাতায় স্বরলিপি লিখে’ শিরোনামের দ্বৈত সঙ্গীতে কণ্ঠ মেলান রুনা লায়লা। জনপ্রিয় এ শিল্পী এ পর্যন্ত ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া তিনি অর্জন করেছেন স্বাধীনতা পদক, ভারতের সায়গল পুরস্কার, ন্যাশনাল কাউন্সিল অব মিউজিক পুরস্কার (স্বর্ণপদক)-সহ অনেক পুরস্কার। ‘শিল্পী আমি’, ‘বন্ধু তিন দিন তোর বাড়িত গেলাম’, ‘সাধের লাউ’, ‘দমাদম মাসকালান্দার’, ‘অনেক বৃষ্টি ঝরে’ ও ‘দে দে পেয়ার দে’-এর মতো জনপ্রিয় গানসহ দশ হাজারেরও বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কিংবদন্তি এ শিল্পী।
