ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

যৌতুকের জন্য স্ত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন

প্রকাশিত: ০৪:২৫, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬

যৌতুকের জন্য স্ত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেরানীগঞ্জ, ১৮ সেপ্টেম্বর ॥ কেরানীগঞ্জের ব্রাহ্মণকিত্তা এলাকায় যৌতুক না পেয়ে হোসনে আরা আক্তার শারমিন (৩২) নামে এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আগুনে হোসনে আরার শরীরের ৮০ ভাগ পুড়ে গেছে। গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। হোসনে আরার শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করলেও রবিবার তা ফাঁস হয়ে যায়। ঘটনার পর স্বামী জুয়েলসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা পলাতক রয়েছেন। হোসনে আরার ছোট ভাই মেহেদী হাসান জানান, যৌতুকের জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায়ই হোসনে আরাকে নির্যাতন করত। নির্যাতনের হাত থেকে বোনকে রক্ষায় তারা কিছু টাকাও দিয়েছিলেন। সম্প্রতি আবারও ২ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য তার বোনের ওপর নির্যাতনের খড়গ নেমে আসে। এবার দাবিকৃত টাকা না দিতে পারায় শনিবার সকালে হোসনে আরার স্বামী জুয়েল, শাশুড়ি জরিনা বেগম, দেবর হারুন, হারুনের স্ত্রী ও সন্তানরা মিলে তাকে বেদম মারধর করে। খবর পেয়ে হোসনে আরার মা মোমেনা বেগম দেখা করতে গেলে নির্যাতনকারীরা তাকেও মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। এরপর বেলা ১২টার দিকে বাড়ির আঙ্গিনায় হোসনে আরার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় স্বামী জুয়েল। খবর পেয়ে আবারও মোমেনা বেগম মেয়ের বাড়িতে গেলে তাকে ঘরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। পরে মা স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মেয়েকে উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসা হয় হোসনে আরাকে। জানা যায়, প্রায় ১৫ বছর পূর্বে ব্রাহ্মণকিত্তা এলাকার বাসিন্দা জুয়েলের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় হোসনে আরার। বিয়ের সময় জুয়েলকে যৌতুক হিসেবে নগদ টাকা ও আসবাবপত্র দেয়া হয়। ১১ বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে তাদের। সম্প্রতি ২ লাখ টাকা না দিলে অন্যত্র বিয়ে করবে বলে জুয়েল সাফ জানিয়ে দেয়।
×