ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সেলফি তোলাই কপ্টার দুর্ঘটনার কারণ কি-না খতিয়ে দেখা হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৬:০০, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

সেলফি তোলাই  কপ্টার দুর্ঘটনার কারণ কি-না খতিয়ে দেখা হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ জেলার উখিয়ার ইনানীর রেজুখালের সাগর মোহনায় হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত ও ক্রুসহ পাঁচ যাত্রী হতাহত হওয়ার পেছনে সেলফি তোলাই দুর্ঘটনার কারণ বলে জানা গেছে। পাইলটের কথা অমান্য করে তার পাশের সিটে বসে ভিডিওচিত্র ধারণ ও সেলফি তোলেন শাহ আলম। ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। সিভিল এ্যাভিয়েশনের সিনিয়র কর্মকর্তা গ্রুপ ক্যাপ্টেন জাফর ও সিনিয়র কনসালট্যান্ট হাসমী শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেছেন। জানা গেছে, দুর্ঘটনার পূর্বে ভিডিওচিত্র ধারণ করতে হেলিকপ্টারের দরজা খোলা রাখা হয়েছিল। এতে হেলিকপ্টারের ভেতরে বাতাস প্রবেশ করে উঠানামা শুরু হয়। শাহ আলম (নিহত) পাইলটের কথা অমান্য করে দরজা খুলে ছবি তুলতে থাকেন। পাইলটের পাশের সিটে বসে তিনি সেলফি এবং ভিডিও করতে দরজা খোলা রাখায় একপর্যায়ে ভেতরে বাতাস ঢুকে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। হেলিকপ্টারের মালিকপক্ষও ওই ঘটনার জন্য পাইলটের কথা অমান্য করে সেলফি তোলাকে দায়ী করছে। মেঘনা গ্রুপের একটি সূত্র জানায়, হেলিকপ্টারে থাকা আহত উইং কমান্ডার শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, হেলিকপ্টারের দরজা খুলে ভিডিও করার সময় শাহ আলমকে বারবার নিষেধ করেছেন পাইলট। কিন্তু তিনি পাইলটের কথা অমান্য করে দরজা খোলা রেখে ভিডিও ছাড়াও একপর্যায়ে সেলফি তোলা শুরু করেন। ওই সময় হেলিকপ্টারের ভেতরে বাতাস প্রবেশ করে। জানা যায়, আকাশসীমায় প্রবেশের আগে গন্তব্যস্থলে অবস্থিত বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার নিয়ম রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বিধ্বস্ত হওয়ার পূর্বে হেলিকপ্টারটি কক্সবাজারে প্রবেশের সময় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেনি বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার বিমানবন্দরের ম্যানেজার সাধন কুমার মোহন্ত। তবে হেলিকপ্টারটির কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, কক্সবাজারের আকাশে প্রবেশের আগে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে ফ্যাক্সবার্তা পাঠানো হয়েছে।
×