ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে জলাতঙ্কের টিকা সঙ্কট

প্রকাশিত: ০৪:৩৩, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে জলাতঙ্কের টিকা সঙ্কট

স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড় ॥ পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে পাওয়া যাচ্ছে না জলাতঙ্কের টিকা এ,আর,ভি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মহাখালী ঢাকা থেকে এই টিকা সরবরাহ করা হচ্ছে না বিধায় এ,আর,ভি, টিকা প্রদান করা যাচ্ছেনা বলে জরুরী বিভাগে নোটিস দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এতে মহাসংকটে পড়েছে এই এলাকার অসংখ্য দরিদ্র মানুষ। হাসপাতালে এমন নোটিস দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন পঞ্চগড়েরর সাধারণ মানুষ। জানা গেছে, বিভিন্ন কোম্পানি থেকে এই টিকা বাজারজাত করা হলেও দাম অনেক বেশির কারণে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে । বেসরকারী কোম্পানি নোভার্টিজের রাবিপুর নামের এই টিকার এক ডোজের দাম ৬শ’ ৪০ টাকা। ইনসেপ্টার র‌্যাবিক্স ভিসির দাম ৫শ’ টাকা। অন্যান্য কোম্পানিও একই দামে বাজারজাত করছে। কাউকে কুকুর অথবা জলাতঙ্কবাহী অন্য কোন প্রাণী কামড়ালে এই টিকার মোট ৫টি ডোজ নিতে হয়। ৫টি ডোজ নেয়ার জন্য খরচ করতে হয় তিন হাজার থেকে তিন হাজার ৫’শ টাকা। সদর হাসপাতালগুলো থেকে এই টিকা বিনামূল্যে প্রদান করা হলেও সরবরাহ না থাকায় এখন এইসেবা পাচ্ছে না এই এলাকার মানুষ। ফলে যাদের এত টাকা খরচ করে টিকা নেয়ার সামর্থ্য নেই তারা দৌড়াচ্ছেন এলাকার কবিরাজ বা মাহানের কাছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে গত আগস্ট মাসে এই টিকা গ্রহণ করেছে ২শ’ জন। এর মধ্যে কুকুরের কামড়ে ৭২ জন। অন্যান্য প্রাণীর কামড়ে ১২৮ জন। সেপ্টেম্বর মাসের ৫ তারিখের মধ্যে এই টিকা গ্রহণ করেছেন ৩১ জন। এর পরে এই টিকা শেষ হয়ে যায়। বর্তমানে সরবরাহ বন্ধ থাকার কারণে পরিস্থিতি ভয়ানক হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা জানান, সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কুকুরের কামড় বেড়ে যায়। এটা তাদের প্রজনন কাল । এ সময় প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ জন আহত রোগী হাসপাতাল থেকে টিকা না পেয়ে ঘুরে যাচ্ছেন। হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার রাজিউর রহমান রাজু জানান, ‘বেশ কিছুদিন থেকে এ,আর,ভি টিকার সরবরাহ বন্ধ রেখেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। প্রতিদিন অসংখ্য রোগী এসে ভির করে। আমরা তাদের পরিস্থিতির কথা জানাই। হাসপাতালের পক্ষ থেকে উপড়ে লেখা হয়েছে। এখনো আশানুরূপ কিছু বলা যাচ্ছে না।
×