ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জাপানে ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতের আশঙ্কা

প্রকাশিত: ০৪:২০, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

জাপানে ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতের আশঙ্কা

জাপানের জীবন্ত আগ্নেয়গিরিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় সাকুরাজিমা আগ্নেয়গিরিতে আগামী ৩০ বছরের মধ্যে ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয় ও সাকুরাজিমা আগ্নেয়গিরি গবেষণা কেন্দ্রের প্রকাশিত যৌথ গবেষণা প্রতিবেদনে মঙ্গলবার এ কথা জানা গেছে। খবর বিবিসির। ব্রিটেনের ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, জাপানের কায়ুশু দ্বীপে অবস্থিত সাকুরাজিমায় অগ্ন্যুৎপাতের আশঙ্কা বাড়ছে। এ আগ্নেয়গিরি সেনডাই পারমাণবিক প্রকল্প থেকে ৪৯ কিলোমিটার দূরে ও কাগোশিমা শহরের কাছেই অবস্থিত। এতে ১৯১৪ সালে শেষবারের মতো অগুœ্যৎপাত হয়েছিল। সে সময় ৫৮ জন লোক নিহত হয়। আগ্নেয়গিরিটিতে আবারও ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতের আশঙ্কা প্রকাশ করে প্রধান গবেষক ড. জেমস হিকি বলেন, ১৯১৪ সালের অগ্ন্যুৎপাতে যে পরিমাণ লাভা উদ্গীরণ হয়েছে সে পরিমাণ লাভা জমতে প্রায় ১৩০ বছর সময় লাগতে পারে। আর এ থেকেই ধারণা করা যায়, আগামী ২৫ বছরের মধ্যেই বড় ধরনের লাভা উদ্গীরণ শুরু হতে পারে সাকুরাজিমায়। প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’ এলাকায় অবস্থিত জাপান দ্বীপপুঞ্জে শতাধিক আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এর মধ্যে সাকুরাজিমা থেকে নিয়মিতই ছাইভস্ম বের হয়। ছোট ছোট বিস্ফোরণ হতে থাকে বছরজুড়েই। সবশেষ এমন বিস্ফোরণ হয় গত ফেব্রুয়ারিতে। গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আগ্নেয়গিরিটিতে প্রতি বছর এক কোটি ৪০ লাখ কিউবিক মিটার লাভা জমা হচ্ছে। নিয়মিত ছোটখাটো উদ্গীরণে যে পরিমাণ লাভা বের হতে পারছে তার চেয়েও অনেক দ্রুতহারে জমছে আরও বেশি লাভা। আর এ থেকেই বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, বড় ধরনের অগুœ্যৎপাতটি খুব সম্ভবত ঘটবে আগামী ৩০ বছরের মধ্যেই। জাপানের কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ মোকাবেলা গবেষণা কেন্দ্রের সহযোগী অধ্যাপক ড. হারুহিশা নাকামিচি বলেন, সাকুরাজিমায় ১৯১৪ সালের অগ্ন্যুৎপাতের পর থেকে ১০০ বছর এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে। তেজস্ক্রিয় দূষণের কবলে ফ্লোরিডার ভূগর্ভস্থ পানি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হওয়া একটি গর্ত দিয়ে চুইয়ে প্রায় ৯৮ কোটি লিটার তেজস্ক্রিয় পানি ভূগর্ভস্থ পানীয় জলের প্রধান উৎসের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। খবর বিবিসির। ফ্লোরিডার টাম্পার কাছে একটি ফসফেট সার কারখানার নিচে তৈরি হওয়া বিশাল গর্ত দিয়ে ওই তেজস্ক্রিয় পানি ভূগর্ভে চুইয়ে যায়। এ দূষিত পানিতে সার তৈরির সময় উপজাত হিসেবে তৈরি হওয়া স্বল্পমাত্রার তেজস্ক্রিয় উপাদান ফসফোজিপসাম মিশে আছে। তবে এতে জনসাধারণের জন্য কোন ঝুঁকির কারণ নেই বলে দাবি করেছে সার কোম্পানি মোজাইক। তারা আরও জানিয়েছে, দূষিত পানি জনসাধারণের পানি সরবরাহ ব্যবস্থা পর্যন্ত পৌঁছেনি এবং পাম্প ব্যবহার করে দূষিত পানি সরিয়ে নিচ্ছেন তারা। ‘ভূগর্ভস্থ পানির গতি খুব ধীর হয়’ বলে মন্তব্য করেছেন মোজাইকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ডেভিড জেলারসন। তবে ফ্লোরিডা জীববৈচিত্র্য কেন্দ্রের পরিচালক জ্যাকি লোপেজ বলেন, যখন তারা বলে ‘উদ্বিগ্ন হবেন না’, তাদের বিশ্বাস করা কঠিন। কারণ তারা তিন সপ্তাহ ধরে ঘটনাটি গোপন রেখেছিল।
×