ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রিপোর্ট করল কৃষ্ণারা

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬

রিপোর্ট করল কৃষ্ণারা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘এএফসি অনুর্ধ ১৬ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ’-এর চূড়ান্ত পর্বের খেলা আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ থেকে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে। এই পর্বে বাংলাদেশ অনুর্ধ ১৬ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলসহ এশিয়ার শীর্ষ ৮ দল অংশ নেবে। এ উপলক্ষে শুক্রবার থেকে বাংলাদেশ দলের আবাসিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্প বাফুফে ভবনে শুরু হয়েছে। এই আবাসিক ক্যাম্পে বাংলাদেশ অ-১৬ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের মোট ২৩ ফুটবলার দুপুর ১২টার মধ্যে প্রয়োজনীয় ক্রীড়া সামগ্রীসহ বাফুফে ভবনে দলের হেড কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের কাছে রিপোর্ট করে। উল্লেখ্য, ডাক পাওয়া ২৩ জনের ২২ জনই সদ্যসমাপ্ত এএফসি অ-১৬ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া বাংলাদেশ দলের সদস্য। বাদ পড়েছে রুমা। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছে জোৎস্না। জানা গেছে, শুক্র ও শনিবার মেয়েদের বিশ্রাম দেয়া হবে। রবিবার থেকে মাঠে অনুশীলন শুরু হবে। ছোটনের আশাবাদ স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘আমাদের অনুর্ধ ১৬ মহিলা দলের খেলা দেশবাসী যেমন দেখেছে, তেমনি বাফুফে কর্তারাও দেখেছেন। আড়াই মাসের নিরবিচ্ছিন্ন অনুশীলনে মেয়েরা যেভাবে প্রতি ম্যাচে প্রাধান্য বিস্তার করে খেলে প্রতিপক্ষকে গোলের বন্যায় ভাসিয়েছে এবং অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে মূলপর্বে নাম লিখিয়ে ইতিহাস রচনা করেছে, তাতে তারা অনেক সমালোচনা এবং প্রশ্নের যোগ্য জবাব দিতে পেরেছে। এখন আমরা একটা পর্যায়ে পৌঁছে গেছি। সামনে নতুন লক্ষ্য, নতুন চ্যালেঞ্জ। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য যা দরকার, সেটাই করেছে বাফুফে। তারা দলের উন্নয়নের জন্য আগামী এক বছরের জন্য একটি মেগা প্ল্যান করেছে, যা একজন কোচ হিসেবে আমারও প্রত্যাশা ছিল। বাফুফের এই উদ্যোগ অবশ্যই ইতিবাচক, একে আমি সাধুবাদ জানাচ্ছি।’ কথাগুলো গোলাম রব্বানী ছোটনের। বাংলাদেশ অনুর্ধ ১৬ মহিলা জাতীয় ফুটবল দলের সফল ও গর্বিত কোচ। তিনি আরও যোগ করেন, ‘এই পরিকল্পনা যদি সঠিকভাবে আগামী এক বছর পর্যন্ত আমরা কন্টিনিউ করতে পারি, তাহলে আমাদের এই দলটি অবশ্যই মূলপর্বের আসরে ভাল ফল করবে বলে আমি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করছি।’ শনিবার থেকে অনুর্ধ ১৬ দলের অনুশীলন ক্যাম্প শুরু হয়েছে। রিপোর্ট করেছেন ২৩ ফুটবলার। তারা আগামী ২০১৭ সালে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য এএফসি অ-১৬ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপের মূলপর্বে খেলবে। তবে আগামী নবেম্বরে মহিলা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপেই আগে খেলতে হবে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলকে। এই দলের ক্যাম্প কবে থেকে শুরু হবে? ছোটন বলেন, ‘এ মাসের শেষদিকে টুর্নামেন্টের গ্রুপিং ড্র অনুষ্ঠিত হওয়া মাত্রই আমরা দল ঘোষণা করব।’ ওই দলে অনুর্ধ ১৬ দলের কতজন থাকবে? ‘এটা এখনই বলতে পারছি না। তবে একাধিক ফুটবলার তো থাকবেই।’ আলাদা হচ্ছে ফিফা ব্যালন ডি’অর স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ২০১০ সাল থেকে ‘ব্যালন ডি’অর’ ও ‘ফিফা বর্ষসেরা’ একীভূত করে দেয়া হচ্ছিল ‘ফিফা ব্যালন ডি’অর’ এ্যাওয়ার্ড। তবে মাত্র ছয় বছর একসঙ্গে এ পুরস্কার দেয়ার পর আবারও আগের মতো আলাদা হয়ে যাচ্ছে পুরস্কারটি। এখন থেকে আগের মতো ব্যালন ডি’অর ও ফিফা বর্ষসেরা আলাদাভাবে দেয়া হবে। ১৯৫৬ সাল থেকে শুরু হয় ব্যালন ডি’অর। আর ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার এ্যাওয়ার্ড চালু হয় ১৯৯১ সালে। এরপর ২০০৯ সাল পর্যন্ত দুটি পুরস্কার আলাদাভাবে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রতিবারই দেখা যেত একই ব্যক্তির হাতে উঠে দুটি পুরস্কার। যে কারণে ২০১০ সাল থেকে এক চুক্তির মধ্য দিয়ে ব্যালন ডি’অর ও ফিফা বর্ষসেরা একীভূত করা হয়। সেই থেকেই ফিফা ব্যালন ডি’অর পুরস্কার দিয়ে আসছিল ফ্রেঞ্চ ফুটবল ম্যাগাজিন ও ফিফা। কিন্তু চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় আবারও তা আলাদা হয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ফ্রেঞ্চ ফুটবল ম্যাগাজিন। যখন ফিফা ও ফ্রেঞ্চ ফুটবল কর্তাদের মধ্যে চুক্তি হয় তখন ফিফার সভাপতি ছিলেন সেপ ব্লাটার। ভাল সম্পর্কের কারণেই চুক্তিটি হয়েছিল। কিন্তু দুর্নীতির দায়ে নিষিদ্ধ হয়ে ব্লাটার এখন আর ফিফায় নেই। তার জায়গায় এসেছেন নতুন সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্টিনো। কিন্তু এই সুইসের সঙ্গে শুরু থেকেই সম্পর্ক ভাল না ফ্রেঞ্চ ফুটবলের। যে কারণে চুক্তিটা আর নবায়ন হয়নি। তাই তো ফিফা বর্ষসেরা ও ব্যালন ডি’অর আবারও ভিন্ন পথে বেঁকে গেছে। ফ্রেঞ্চ ফুটবল আলাদা হওয়ায় ফিফারও হয় তো আগের ‘ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার’ এ্যাওয়ার্ড চালু করতে হবে। তবে এখন পর্যন্ত ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানায়নি।
×