ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণের পর পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬

কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণের পর পিটিয়ে হত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ১৬ সেপ্টেম্বর ॥ উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের হরিদ্রাবাড়ীয়া গ্রামের মৃত আবদুল জব্বার চৌকিদারের কলেজপড়–য়া কন্যা হেলেনাকে (২১) গণধর্ষণ শেষে পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হেলেনার মা সেলিনা বেগম মানসিক রোগী। পনেরো বছর পূর্বে পিতাকে হারিয়ে হেলেনা পটুয়াখালী সরকারী শিশুসদনে লালিত পালিত হয়। ওইখানে থেকে এসএসসি পাস করে। গত বছর পটুয়াখালী করিম মৃধা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে পটুয়াখালী সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়। ঘটনার দিন রাতে বাড়িতে কেউ ছিল না। হেলেনা একা ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা ঘরের পিছনে সিঁদকেটে ঘরে প্রবেশ করে এবং তাকে একা পেয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে। পরে তাকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। তার মাথায় তিনটি, চোখে, গলায় ও ডান হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ ওই ঘর থেকে রক্তমাখা কাঁথা ও লাঠি উদ্ধার করেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য খবির উদ্দিন আকন জানান, পার্শ্ববর্তী ঘরের ছাত্রীর খালা জয়নব বিবি রাত ১টার দিকে হেলেনার গোঙ্গানির শব্দ শুনে বাইরে এসে চিৎকার দেয়। প্রতিবেশীরা ছুটে এসে হেলেনাকে বিবস্ত্র ও রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে ওই রাতে ট্রলারে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে ক্লাবঘাট নামকস্থানে তার মৃত্যু হয়। তিনি আরও জানান, ওই রাতে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নূরুল ইসলামকে জানালে তিনি পুলিশে খবর দেন। শুক্রবার সকালে বরগুনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ তোফায়েল, সহকারী পুলিশ সুপার কাজী কাইয়ুম (পিপিএম) ও আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা পুলক চন্দ্র রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত ছাত্রীর ভাই মোঃ মিজানুর রহমান জানান, খালা জয়নব বিবির পরিবারের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ছিল। তারা আমার পরিবারের লোকজনকে বিভিন্ন সময় জীবননাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। আমাদের সম্পত্তি ভোগদখলের জন্যই তারা পরিকল্পিতভাবে বাইরের লোক দিয়ে আমার বোনকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করেছে। আমি এ নৃশংস হত্যাকা-ের বিচার চাই। আমতলীর থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা পূলক চন্দ্র রায় জানান, ওই ঘর থেকে রক্ত মাখা একটি কাঁথা ও একটি লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে।
×