ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পাকিস্তানে জুমার নামাজে আত্মঘাতী বোমা হামলা, নিহত ২৫

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬

পাকিস্তানে জুমার নামাজে আত্মঘাতী বোমা হামলা, নিহত ২৫

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ পাকিস্তানের উপজাতি অধ্যুষিত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় মোহমান্দ এজেন্সির আনবার তেহসিলের একটি মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজের সময় আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২৫ জন নিহত ও ৩০ জন আহত হয়েছেন। এক মাসের কম সময়ের মধ্যে এটি ওই অঞ্চলে দ্বিতীয় বড় ধরনের আত্মঘাতী হামলা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ কঠোর ভাষায় এ হামলার নিন্দা করেছেন। খবর ডন ও এএফপির। আধা স্বায়ত্তশাসিত মোহমান্দ এজেন্সির যে গ্রামের মসজিদে এই হামলাটি হয় তার অবস্থান আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ২০১৪ সালের জুন থেকে ওই অঞ্চলে তালেবান জঙ্গীদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়ে এসেছে। মোহমান্দ এজেন্সির উপ-প্রশাসক নাভিদ আকবর বলেন, ‘বিস্ফোরণে মসজিদের একটি অংশ ও বারান্দা ধসে মুসল্লিদের ওপর পড়ে। ধ্বংসস্তূপ থেকে এখনও মৃতদেহ ও আহতদের উদ্ধার করা হচ্ছে।’ আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী সম্ভবত মসজিদের ভেতর ছিল বলে তিনি জানান। কোন গ্রুপ এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ কড়া ভাষায় এ হামলার সমালোচনা করে বলেছেন, ‘চরমপন্থীদের তার সরকারের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের কাপুরুষোচিত হামলায় দেশকে সন্ত্রাসমুক্ত করার লক্ষ্যে চলমান লড়াই থেকে সরকার পিছু হটবে না।’ সরকারী ভবন, আদালত, স্কুল ও মসজিদের মতো স্পর্শকাতর স্থাপনা টার্গেট করে পাকিস্তান তালেবান নিয়মিতভাবে হামলা চালিয়ে এসেছে। কেবল তালেবান নয় পাক-আফগান সীমান্ত অঞ্চলে অনেকদিন ধরেই আল কায়েদা, তালেবান ও অন্যান্য জঙ্গী গ্রুপগুলো সক্রিয় রয়েছে। ঘটনাস্থলে কার্ফু জারি করা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। জুমার নামাজ পড়তে আসা একজন মুসল্লি এএফপিকে বলেন, ‘মসজিদের ভেতর বোমা হামলার পর পর আমি সেখানে পৌঁছাই। দেখতে পেলাম চারপাশে রক্ত আর খ-বিখ- লাশ পড়ে আছে। আহত অনেক লোক যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। আমি আমার পিকআপে করে কয়েকজন আহতকে নিকটবর্তী খার অঞ্চলের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই।’ অন্য আহতদের চিকিৎসার জন্য বাজাউর এজেন্সি, চরসাদ্দা ও পেশোয়ারের হাসপাতালগুলোতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর আগে চলতি মাসের ২ তারিখ উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় মর্দান শহরের একটি আদালত ভবনে তালেবানের শাখা সংগঠন জামায়াত উল আহরার পরিচালিত আত্মঘাতী হামলায় ৫০ জনের বেশি লোক নিহত হয়েছিল। ২০০৪ সাল থেকে অঞ্চলটি গোলযোগপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
×