ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হচ্ছে ১শ’ শয্যা

জনবল সঙ্কটে সৈয়দপুর হাসপাতাল

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬

জনবল সঙ্কটে সৈয়দপুর হাসপাতাল

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও বিভিন্ন জনবল সঙ্কট নিয়ে সৈয়দপুর উপজেলার ১০০ শয্যা হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে আগামী সপ্তাহে। বর্তমানে হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় চলছে। এ অবস্থায় নেই ওষুধ, জনবল ও এ্যাম্বুলেন্স। রোগীদের বেড জরাজীর্ণ, নেই ব্যবহারের মতো বালিশও। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে হাসপাতালটি ৫০ শয্যাবিশিষ্ট থাকলেও এটিকে ১শ’ শয্যায় উন্নীত করে অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ২০১৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধীনে প্রায় ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে হাসপাতালের সম্প্রসারণে চারতলা ভবন, ডাক্তার ও স্টাফ কোয়ার্টার, ডাক্তারদের স্ব স্ব চেম্বার, উন্নত অপারেশন থিয়েটার নির্মাণ করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহখানেকের মধ্যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এটি স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করবে। হাসপাতালের ভবন ও রোগীর শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হলেও রোগীদের বেডের ফোম ছেঁড়াফাটা, নেই প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র। সবকিছু বাইরে থেকে কিনতে হয় এমন অভিযোগ রোগীদের। এছাড়া হাসপাতালে জনবল সঙ্কটের কারণে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। এ হাসপাতালে সিনিয়র কনসালট্যান্ট মেডিসিন একজন, সিনিয়র কনসালট্যান্ট সার্জারি একজন, জুনিয়র কনসালট্যান্ট প্যাথলজি একজন, জুনিয়র কনসালট্যান্ট ইএনটি একজন, জুনিয়র কনসালট্যান্ট এ্যানেসথেসিয়া একজন, আরএম প্যাথলজি একজন ও রেডিওলজিস্টের পদ থাকলেও এসব শূন্য রয়েছে। বর্তমানে একজন ডেন্টাল সার্জন, একজন এমও এবং একজন জুনিয়র কনসালট্যান্ট গাইনি মিলে অনুমোদিত পদে আছেন কেবল তিনজন। হাসপাতালের স্টাফ নার্স, সহকারী নার্স, ফার্মাসিস্ট, এমএলএসএস, কুক মশালচি, সুইপারসহ ৬৩টি পদ অনুমোদিত থাকলেও ১৭টি পদে কোন জনবল নেই। ফলে চিকিৎসক ও নার্স সঙ্কটে উপজেলার বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিকের তিনজন সেকমো আর তিনজন ডাক্তার দিয়ে প্রতিদিন জরুরী আন্তঃ ও বহিঃবিভাগে রোগীদের চিকিৎসাসেবা চলছে। হাসপাতালের কোন জরুরী রোগীকে রেফার্ড করলে রোগীর স্বজনদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। কারণ হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্সটি দীর্ঘদিন ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে। এ্যাম্বুলেন্সের দু’জন চালক বসে বসে অলস সময় পার করছে। এলাকাবাসী সৈয়দপুর হাসপাতালটিকে অতিগুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে জানায়, সৈয়দপুর ও আশপাশের খানসামা, চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর, তারাগঞ্জ প্রভৃতি এলাকাসহ হাইওয়ে রোডে সড়ক দুর্ঘটনা অহরহ ঘটছে। ফলে আহতদের চিকিৎসার জন্য সর্বপ্রথম সৈয়দপুর হাসপাতালে আনা হয়। কিন্তু প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা পাওয়া যায় না। জনবল সঙ্কটে হাসপাতালটি নিজেই রোগী হয়ে পড়ে রয়েছে। সেখানে নতুন ভবন তৈরির মাধ্যমে ১০০ শয্যা করা হলো হাসপাতালটি। নীলফামারী সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুর রশীদ জানান, জনবল সঙ্কটসহ সমস্যার কথা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
×