ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সমালোচনা সাংবিধানিক অধিকার

প্রকাশিত: ০৩:৩৯, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬

সমালোচনা সাংবিধানিক অধিকার

আলোচনায় সমস্যার সমাধান হয়। সমালোচনায় ভুলের নানা কারণসমূহ সহজেই ভেসে ওঠে। সহজেই সে ভুলের সমাধান করা সম্ভব হয়। গণতন্ত্র মানুষকে উদার করে। উদারতায় মন বড় হয়। মনের ভাব প্রকাশ করতে ভীতি দূর হয়। মত প্রকাশ করা সাংবিধানিক অধিকার। এতে কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সাংবিধানিক পদ-পদবির সম্মান ক্ষুণœ হয় না, ক্ষতি হয় না মানেরও। বরং পদ-পদবির যে ক্ষমতা তা মজবুত হয়। এক্ষেত্রে সবার আগে প্রয়োজন ধৈর্য ও সহনশীলতা। জিদ ও অহঙ্কার পরিহার করা। যে সহে সে রহে- বিচারালয়ে আক্রোশের স্থান নেই। সংবিধান সে অধিকার কাউকে প্রদান করেনি। পাশাপাশি সংবিধান অনুসরণ করে প্রশাসনিক কাজ পরিচালিত হয়। অধিকার-সম্মান ক্ষুণœ ও সাংঘর্ষিক হওয়ার কথা নয়, বরং শব্দ দুটি একে অপরের পরিপূরক। আমি আমার মত প্রকাশ করছি অধিকারের ভিত্তিতে। অধিকার প্রয়োগ ও কণ্ঠরোধ পরস্পর সাংঘর্ষিক। বর্তমানে উচ্চ আদালত বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানাভাবে নাগরিক অধিকার সুরক্ষায় ভাল কাজ করে প্রশংসিত হচ্ছে। সার্বভৌমত্বের মধ্যেই জনগণের বসবাস, সার্বভৌমত্ব আছে বলেই জাতীয় সংসদ। গণতন্ত্রের ব্যাখ্যায় সাধারণ জ্ঞান থেকে বোঝা যায় সরকার ও উচ্চ আদালত জাতির কাছে দায়বদ্ধ। সম্মানও পাচ্ছে সবার ওপরে জাতীয় সংসদ। জাতীয় সংসদ আইন প্রণয়ন করবে এবং সে আইনে বিচার বিভাগ কাজ করবে, সরকার ও নির্বাহী বিভাগ জাতীয় সংসদকে অনুসরণ করবে এটার নামই গণতন্ত্র। কোন ব্যক্তি, সংস্থা, দফতর ও বিভাগ নিয়ে অভিযোগ বা আলোচনা ও সমালোচনা করা হলে আদালত সে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ন্যায়-অন্যায় বিশ্লেষণ করে ব্যবস্থা নেবে এটা সব সময় সাধারণ মানুষ প্রত্যাশা করে। মেছের আলী শ্রীনগর, মুন্সীগঞ্জ
×